নিগৃহিতের সর্বশেষ সংবাদ:
২৯ মে ২০১২:
প্রতিবাদ চলছে কিন্তু কমছে না নির্যাতন , লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য জনগন । আবারো আদালত প্রাঙ্গনে লাঞ্ছিত হলেন সাংবাদিকবৃন্দ। আদালত প্রাঙ্গনে এবার প্রকাশ্যে তরুণীর শ্লীলতাহানির পুলিশের চেষ্টায়
বাধা দেওয়ায় সাংবাদিক-আইনজীবীদের মারধর, লাঠিপেটা চললো। যারা নিরাপত্তার দিবেন তাদের হাতেই নিরাপত্তা ভূলণ্ঠিত। যারা সংবাদ সংবাদ সংগ্রহ করে মানুষের কাছে পৌছাবেন তারাই আবারো সংবাদের শিরোনাম হলেন ...................
আর কত সাংবাদিক হতাহত????????????????? প্রতিবাদ আর কত জোরালো হলে এসব থামবে আর কোন আশার বানী নয়........চাই বাস্তবায়ন ............
আমি কোন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক না ।
একটা পত্রিকায় টুকটাক কাজ করি (নামটি উল্লেখ নাইবা করলাম) । একসময় সাংবাদিক বললে যাদের সাথে মেয়ে বিয়ে দিতো না বলে প্রচারিত আছে আজ সাংবাদিক পরিচয়টাই অনেক সম্মানের বলেই মনে করি। যে পরিচয়টা দিতে নিজেও গর্ব বোধ করি।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সাংবাদিক বন্ধুরা কাজ করে যায়। প্রখর রোদ , গরম , তুমুল ঝড়, রাজনৈতিক অস্থিরতা, টিয়াস গ্যাস , মুহুর্মুহ গুলির ভয়, আগুনের প্রকোপ, কাক ডাক ভোর থেকে গভীর রাত প্রর্যন্ত মানুষের কাছে সর্বশেষে সর্বশেষ সংবাদটি পৌছে দেয়ার জন্য তারা কিনা করেন ।
জাতির বিবেক বলা হয় সাংবাদিকদের। সংবাদ কর্মীরা মানুষের কর্নকুহরে বিভিন্ন সংবাদ পৌছিয়ে দেয়ার জন্য সদা তৎপর থাকে।
সংবাদ কর্মীর পরিচয়টা সবসময় সম্মানিত করে কিন্তু ইদানিং মনে হচ্ছে এ পরিচয়টা সাংবাদিকদের ভিকটিম বানিয়ে দিচ্ছে। যারা মানুষের কাছে সংবাদ পৌছে দেয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাই আজ পত্রিকা টেলিভিশনের সংবাদ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আজকে সাংবাদিক আক্রান্তের খবর , কালকে প্রাণ হারালেন সাংবাদ কর্মী, আরেকদিন সাংবাদিক পেটানোর খবর, অন্যকোনদিন সাংবাদিক পা হারালেন, আবার দেখা যায় সাংবাদিকদের সমাবেশ , কর্ম বিরতি ইত্যাদি কত সংবাদের শিরোনামই হয়ে যাচ্ছেন জাতির বিবেকেরা।
যাদের দ্বারা দেশে বিদেশের মানুষ নানা সংবাদ জানতে পারে, আজ তাদের কথাগুলোই অন্যকোন সাংবাদিক বন্ধু পৌছে দিচ্ছেন সকলের কাছে কিন্তু যেসময় তার ব্যস্ত থাকার কথা কোন সংবাদ সংগ্রহের কাজে।
ইদানিং খুব বেশী সাংবাদিকগন নিউজ করার পরিবর্তে নিজেরাই নিউজ হচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।
এবছরে সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যা আর নিহতের চিত্র দেখুন.............
২৮ মে ২০১২:
সাংবাদিক নির্যাতনের সর্বশেষ সংবাদ বিডিনিউজকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা কেন এ হামলা তা এখনো পরিস্কার নয় কিন্তু হামলা যে পরিকল্পিত তা হামলা ধরন দেখলেই বুঝা সহজ। সহকর্মীদের বাঁচাতে আহত হলে নিজেদের অফিসের সামনেই বিজিনিউজের সংবাদ কর্মীরা। রক্তে রঞ্জিত ফ্লোর দেখলেই হামলার ভয়াবহতা অনুমান করা যায়।
নিজেদের অফিসের সামনেই নিজেরাই নিরাপদ নন।
২৬ মে ২০১২:
সাংবাদিক পরিচয়টা দেয়াই যেন অপরাধ হয়ে গেছে খালেদ সরকার, সাজিদ হোসেন ও জাহিদুল করিম ভাইয়ের। সংবাদ সংগ্রহ করার বদলে
পুলিশের পিটুনিতে প্রথম আলোর তিন ফটোসাংবাদিক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন এরা। সাংবাদিক পেটানো খুব আনন্দের এভাবে উৎসব করে রক্তাক্ত করলেন খালেদ সরকার, সাজিদ হোসেন ও জাহিদুল করিমদের।
১১মে ২০১২:
স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে এসে বরিশালের দৈনিক মতবাদ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শহীদুজ্জামান টিটু বাসচাপায় নিহত হয়ে অনলাইন পত্রিকাগুলো সহ সকল দৈনিকের অনলাইন সংস্করনের শিরোনাম হলেন।
তার মৃত্যুর সংবাদ পরদিন পত্রিকায় আসার আগেই সেদিন সন্ধ্যায়ই শিরোনামে যোগ হলো রাজধানীতে বাসচাপায় দুই সাংবাদিক নিহত । যোগ হলো আরেকটি নাম ইংরেজি দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিভাস চন্দ্র সাহা। নিজের প্রিয় কার্যালয়ে গিয়ে সংবাদ তৈরী করা আর হলো না বিভাস চন্দ্র সাহার বরং তিনিই হয়ে গেলেন সংবাদের শিরোনাম।
১২ ফেব্রুয়ারী ২০১২:
গভীর রাতে সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হয়ে রাজধানীর রাজারবাগে নিজ বাসায়। তারা ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।
যে মুহুর্তে এটা লিখছি তখন পর্যন্ত ১০৯ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর প্রধানমন্ত্রীর ৪৮ ঘন্টা আর ফুরালো না। এখনো অন্ধকারেই রয়ে গেল জাতি। জাতির বিবেক হিসেবে জাতির চোখ ঘুলে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেই তাদের হত্যা করা হয় বলে ধারনা করা হয়। কবে হবে এর অবসান???????
৩ জানুয়ারী ২০১২ :
রাজনীতিবিদদের হাতে নির্যাতনের ঘটনা পুরাতন হলেও নতুন মাত্রা যোগ করলো সাংসদ কামাল মজুমদারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ । ছাত্র ভর্তির নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের খবর পেয়ে আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার অপর্ণা সিংহ গিয়ে সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে স্বয়ং সাংসদের হাতে লাঞ্চিত হন তিনিসহ মোট ৪ জন সাংবাদিক।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২:
গাজীপুরে বাসচাপায় সাংবাদিক নিহত হন সাপ্তাহিক ক্রাইম জনতা পত্রিকার সাংবাদিক হায়দার আলী। গুরুতর আহত স্ত্রী হন শয্যাশায়ী।
২৮ ডিসেম্বর ২০১১:
সাংবাদিকদের প্রিয় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিআরটিসির একটি বাসের চাপায় গুরুতর আহত হন দৈনিক কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিখিল ভদ্র। বাসচাপায় পা হারালেন সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, সকল মানুষ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করে , মানবন্ধন করে আর নিখিল ভদ্রের আহত হওয়ার প্রতিবাদে সেখানেই প্রতিবাদমুখর হতে হয় সহ সাংবাদিক বন্ধুদেরকে। নিখিল ভদ্রের দুরন্তভাবে ছুটে চলা পা কি ফিরিয়ে দিতে পারবে ? তিনি কি সংবাদ সংগ্রহের কাজে আর উদ্যোমী শক্তি নিয়ে ছুটে চলতে পারবেন?????
৯ জানুয়ারী ২০১২:
প্রতিদিনের মতো মেয়ে অথৈ সিদ্ধেশ্বরীতে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে নামিয়ে দিয়ে প্রেসক্লাবে ফিরছিলেন।
কিন্তু তার আর প্রেসক্লাবে যাওয়া হয়নি। পথেই বাসের চাপায় । প্রাণ হারান দিনেশ দাস অথৈকে আর তার বাবা স্কুলে দিয়ে আসবে না , অথৈর বাবা দিনেশ দাশ আর সংবাদ সংগ্রহের জন্য দিবারাত্রি ছুটে বেড়াবেন না। অবেলায় চলে গেলেন আরেকজন কর্মঠ সাংবাদিক।
১৫ মে ২০১২:
নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ব্যাপারে রিপোর্ট করায় স্বরাস্ট প্রতিমন্ত্রীর ভাজিতার নেতেৃত্বে হামলার পর এবার সে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।
জোর যার মুল্লুক তার এ যেন তারই প্রমাণ।
২০ এপ্রিল ২০১২:
সাংবাদিককে জড়িয়ে । তাকেও পেটালেন কেয়া চৌধুরী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা!
১৬ মে ২০১২:
আবারো জাতির বিবেকেরা নির্যাতনের শিকার হলেন পুলিশের হাতে। আদালত চত্বরে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের পেটালো পুলিশ , যেসব সাংবাদিকগন পেশাগত দায়িত্বপালনে বিরোধীদলীয় নেতাদের মামলার নিউজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন প্রকার সম্মান না দেখিয়ে লাঠির বাড়ি উপহার দিলেন তাদের।
আহতরা হলেন, বাংলা ভিশনের সিনিয়র প্রতিবেদক বদরুল আলম নাবিল, মাই টিভির সিনিয়র প্রতিবেদক ইউসূফ আলী, এটিএন বাংলার রকিবুল হক পিন্টু, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের সাজিদ হক, দিগন্ত টেলিভিশনের খলিলুর রহমান, দিনকালের আরিফুজ্জামান মামুন, বৈশাখী টেলিভিশনের মাহমুদ শরীফ, সময় টিভির মিজানুর রহমান, বাংলানিউজের মহসীন, আমাদের সময়ের মনোজিৎ মিত্র এবং জাস্ট নিউজের সালমান তারেক ।
২৭ জানুয়ারী ২০১২:
সংবাদ প্রচারের জের ধরে চ্যানেল আই ও রেডিও আমার জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি ও জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিউল বারী রাসেলকে প্রকাশ্যে পেটালেন কালাই পৌর মেয়র আহত অবস্থায় রাসেলকে জয়পুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র কি বললেন ?????????//
রাসেলকে তিনি মারপিট করেননি। তাহলে রাসেল আহত হলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘হয়তোবা তাঁর সর্মথকদের কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে পারে। ’
হায় সেলুকাস..............
১৪ এপ্রিল ২০১২
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই সাংবাদিককে পেটালো পুলিশ পুলিশের হাতে নিগৃহীত এই দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক সমকালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের ফিচার বিভাগের প্রতিবেদক পিন্টু রঞ্জন।
নারী নির্যাতনের রিপোর্ট করতে গিয়ে তারা সেখানে ৩ কনস্টেবলের হাতে প্রহৃত হন।
২০ জানুয়ারি ২০১২:
এমপি সাহেব অনুষ্ঠান হলে ঠিকই সাংবাদিকদের কদর করেন তার নিউজ ছাপানোর জন্য কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় 'এমপির দেহরক্ষী বলে কথা' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে মহেশপুরে সাংবাদিক পেটালেন এমপি ক্যাডাররা । শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্থানীয় সংবাদদাতা।
৬ মে ২০১২ :
হরতালে হরতালবিরোধীদের আক্রমনের ছবি তুলতে গেলে
যশোরে ৬ সাংবাদিককে পেটালো হরতালবিরোধীরা । একপর্যায়ে টিভি ক্যামেরাম্যানদের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ক্যাসেট বের করে নেয়া হয়।
আর কাছে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পুলিশ নিবর দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ন থাকে।
৫ এপ্রিল ২০১২:
দৈনিক করতোয়ায় দুস্থ মহিলাদের নামে বরাদ্দকৃত ভিজিডির চাল উদ্ধার,গুদাম সিলগালা শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ
বালিয়াডাঙ্গীতে লোহার রড দিয়ে সাংবাদিক পেটালো সন্ত্রাসীরা রমজান আলী দৈনিক করতোয়া পত্রিকার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রতিনিধি। সত্য প্রকাশ করাই ছিলো তার অপরাধ ????????????
২০০৮:
সাংবাদিককে বাড়ি থেকে পেটাতে পেটাতে থানায় নিলো পুলিশ
২০১১ সালে :
ৎবিশ্বে ১০৬ সাংবাদিক নিহত, আহত শতাধিক ।
এরকম আরো অসংখ্য ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিক বন্ধুরা।
বিজয় স্মরনী সিগন্যাল:
২৩ মে সন্ধ্যা ৬.৩০ টা
প্রচন্ড জ্যাম পেরিয়ে সাইড রোড দিয়ে সিগন্যালে এসে দাড়ালাম।
বেশ কিছুটা দূর থেকে সার্জন এগিয়ে এসে গাড়ীর কাগজ পত্র চাইলেন। কাগজ পত্র দেখাতেই মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাইলে অফিসে যাবো বললাম।
অন্যান্য মটর সাইকেলগুলো যারা একটু ঘুরে এসেছে তারা মামলার ভয়ে কিছুটা দুরে গিয়ে দাড়ালো ।
আমাকে হাতের কাছে পেয়ে কিছুটা ঝাড়ার চেষ্টা করলেন।
সাংবাদিক পরিচয় দিতে আরো ক্ষেপে গেলেন...........
সাংবাদিক তো কি হয়েছে?????
তেমন কিছু বললাম না বলে আর তার বাক্য বিনিময় থেমে গেল।
সাংবাদিক পরিচয়টা দিতে সার্জন রাগান্বিত হলেন কেন ..... সে প্রশ্ন আমার এখনো...........
ফার্মগেট মোড়:
গ্রীনরোড থেকে ফার্মগেট মোড়ে এসে উঠলাম। সেই মুহুর্তেই কোন ভিআইপি সে পথ অতিক্রম করছিলেন। গলি থেকে মেইন রোড়ে উঠায় আমার জানা থাকার কথা না কোন ভিআইপি এ পথে যাচ্ছেন..........। গলির মুখে কোন পুলিশও নেই যিনি বাধা দিবেন।
একটু সামনে এগুতেই একজন ট্রাফিক সার্জনের খপ্পরে পড়লাম । সাংবাদিক পরিচয়ে পেয়ে ক্ষেপে গেলেন ..... সাংবাদিক গিরি ছুটায়া একদম দিমু....... ? বললাম জানি না কেউ যে যাচ্ছেন...
উল্টো শুনলাম: ধরলে ঠিকই বুঝাতে পারবেন....
আবার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অনেক জায়গায় সম্মানও পেয়েছি। সেগুলো আজকের বিষয় না। আজকে তাদের নিয়েই আলোচনা করছি যারা জাতিকে যে কোন সংবাদ পৌছে দেয়ার জন্য সদা তৎপর থাকেন , যারা সকল বাধা উপেক্ষা করে জাতিকে সচেতন রাখার চেষ্টা চালান অনবরত সেই জাতির বিবেকেরা হত্যা, নির্যাতন , হামলার স্বীকার হচ্ছেন , আহত , পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অহরহ।
একজন সাংবাদিক শ্রম , মেধা, সময় ব্যয় করে নিজেকে তৈরী করেন কিন্তু তার লেখনিকে স্তব্দ হয়ে যাচ্ছে খুব কম সময়ের ব্যবধানে।
কখনো কখনো শক্তি দিয়ে উম্মক্ত কলমকে চেপে ধরা চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু তা কি সম্ভব।
জাতির বিবেকেরা যদি নিরাপত্তাহীনতা থাকে তাদের অফিস বা বাসায় , আইন শৃংখলা বাহিনী বা রাজনীতিবিদদের হাতে এভাবে নির্যাতিত হলে বা এভাবে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হন মুক্ত চিন্তার বাহকেরা তাহলে জাতিকে জাগ্রত করার কাজ কারা করবে...........???
সাংবাদিক সমাজের কলমের খচখচ শব্দ, ক্যামেরার ক্লীক ক্লীক শব্দ , ফ্লাসের ঝলকানির পরিবর্তে যখন তারা রাস্তায় বসে আন্দোলনের ডাক দেয় , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনায় ঘেরাও এর ঘোষনা দিতে হয় , ক্যামেরা , ডায়েরী , কলম , বুম রাস্তায় রেখে কর্ম বিরতির ঘোষনা দিতে বাধ্য হয় তখন এ জাতির জন্য দুর্ভাগ্য ছাড়া অন্য কিছু্ থাকে না।
এখন সময় এসেছে আমজনতা আর সাংবাদিক সমাজ হাতে হাত রেখে একাত্মতা ঘোষনা করার।
*আর কোন হত্যা চাইনা
*আর কোন সাংবাদিক নির্যাতন দেখতে চাইনা
*আর কোন সাংবাদিক ঘাতক বাস ট্রাকের হাতে প্রাণ দিবে তা দেখতে চাইনা
*কোন রাজনৈতিক নেতার হাতে সাংবাদিক নির্যাতিত হবে দেখতে চাইনা
*পুলিশের হাতে নির্যাতন দেখতে চাইনা
*নতুন কোন সন্ত্রাসী হামলা চাইনা।
*সাগর রুনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার সহ বিচার দেখতে চাই
*ঘাতক বাস ট্রাকের ড্রাইভারের বিচার চাই
*পুলিশী নির্যাতনের বিচার চাই
*নির্যাতনকারী রাজনৈতিক নেতাদের বিচার চাই।
পরিচয়টি গোপন করা নয় , আমরা জাতির বিবেক হিসেবে আরো জোড়ালো ভূমিকা রাখতে চাই।
সাংবাদিক , ব্লগার, আমজনতার প্রতি নগন্য এ ব্লগারের আহবান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।