আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

** একটি দর্শনীয় স্থান ** শশীলজের ভেনাস ** ঘুরে আসুন।

সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। বন্ধুরা এসেছে দিনাজপুর থেকে। সূর্য মাথায় করেই রওনা দিলাম। প্রেসক্লাব থেকে হেঁটে আমলাপাড়া পৌরসভা। পৌর ভবন পার হতেই সুউচ্চ দেয়াল, শশীলজের সীমানা প্রাচীর।

দীর্ঘ নারিকেলগাছগুলো হাতছানি দিচ্ছিল অবশ্য দূর থেকেই। প্রাচীর ধরে এগিয়ে গেলে কাচারি মসজিদ। এর পরই লজে প্রবেশের প্রধান ফটক। ফটকের দুই ধারে ঝাঁকড়া সব বয়সী গাছের সারি। অতিথিকে রোদ থেকে আগলে রাখতে তারা সদা তৎপর।

ফটকটি সুউচ্চ আর প্রশস্ত। নানা কারুকাজ তার গায়ে। বন্ধুরা জানতে চেয়েছিল, ময়মনসিংহে দেখার মতো কী কী আছে? আমি শশীলজকেই ১ নম্বর দিয়েছিলাম। ভেতরে বড়সড় খোলা জায়গা, সবুজ ঘাসে ঢাকা। বাড়িটি ছিল মুক্তাগাছার মহারাজ শশীকান্তের।

মহারাজ সূর্যকান্তের দত্তক পুত্র ছিলেন শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী। ব্রিটিশ সরকার ১৯২০ সালে তাঁকে মহারাজা উপাধি দেয়। ১৯১৮ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত তিনি ময়মনসিংহ পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। ৯ একর জায়গার ওপর বাড়িটি। প্রধান ভবনটি ছিল দোতলা।

শশীকান্ত প্যারিস থেকে একটি মিউজিক সিঁড়ি এনে বাড়িতে লাগিয়েছিলেন। চলার সময় গান বেজে উঠত। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে বাড়িটি বিধ্বস্ত হয়। এরপর ফের নতুন করে গড়া হয়। ১৯৫২ সালে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় ময়মনসিংহ মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ।

নাজিম ভাই বললেন, এবার চলেন ভেতরে যাই। ফটক পার হতেই ভেনাসের দেখা পেলাম। ইনি রোমানদের সৌন্দর্য ও ভালোবাসার দেবী। এখানে স্নান সারতে এসেছেন। ভাস্কর্যটি দারুণ সুন্দর! চত্বরটি গোলাকার।

দুটি সরু পথ গিয়ে মিশেছে মূল ভবনে। অধ্যক্ষের কক্ষটি বাম পাশে। মূল ভবনের ঘরগুলো বড় বড়। বারান্দার মেঝেও মূল্যবান পাথরে বাঁধাই করা। দরজা-জানালার কাঠে নানা নকশা।

ভবনের মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় শ্বেত পাথরের একটি বড় ফোয়ারা। ফোয়ারার ওপরে ঝুলছে ঝাড়বাতি। আমরা কল্পনায় ঝাড়বাতির রঙিন আলোয় ফোয়ারা ছুটতে দেখলাম। হাঁটতে হাঁটতে ভবনের পেছন দিকে এলাম। একটি বড় ও গভীর পুকুর আছে এখানে।

শান বাঁধানো পুকুরঘাটের ওপরে আছে একটি দোতলা ভবন। কেউ বলে স্নানঘর, কেউ বলে সাজঘর। লজের সর্বত্রই সবুজে ছাওয়া। কড়ই, মহুয়া, নাগেশ্বর, গন্ধবিলাস, হিং, দেবদারু, কাঠগোলাপ, অশোক, বকুল, জামরুল, কর্পূর, রাবার, অর্জুন, বটসহ আরো অনেক গাছ দেখতে পেলাম। তিনটি নাগলিঙ্গমও আছে বাড়ির পেছন দিকে।

হাঁটতে হাঁটতে আপনা থেকেই মনে এলো_'আমার এ পথ চলাতেই আনন্দ'। Collected from: কালের কণ্ঠ কিভাবে যাবেন ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে এনা, সৌখিনসহ আরো অনেক পরিবহনের বাসে ময়মনসিংহ যাওয়া যায়। ভাড়া ১৮০ টাকা। মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে শশীলজে যেতে ভাড়া লাগে ৩০-৩৫ টাকা। তবে রিকশাচালককে বলতে হবে রাজবাড়ী মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ।

আর রেলস্টেশন থেকে রিকশায় শশীলজে যেতে ভাড়া লাগে ১৫-২০ টাকা। ঢাকার বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রের সময়সুচিঃ জাতীয় শিশু পার্ক, শাহবাগ বুধবার শুধু দুস্থ ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য খোলা। দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা (অক্টোবর-মার্চ); দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)। বুধবার ছাড়া সোম থেকে শনিবার খোলা দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা (অক্টোবর-মার্চ); দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)। সাপ্তাহিক বন্ধ : রবিবার।

প্রবেশমূল্য : জনপ্রতি আট টাকা। প্রতিটি রাইডে চড়ার জন্য মাথাপিছু ছয় টাকার টিকিট দরকার। ফোন : ৮৬২৩৩০৪। ঢাকা চিড়িয়াখানা, মিরপুর-১ সোম থেকে শনিবার খোলা থাকে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা (অক্টোবর-এপ্রিল)।

সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা (মে-সেপ্টেম্বর)। সাপ্তাহিক বন্ধ : রবিবার। প্রবেশমূল্য : ১০ টাকা। আগে আবেদন করলে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সফরের জন্য ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয় (এতিম ও শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ছাড়)। ফোন : ৮০৩৫০৩৫।

জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন), মিরপুর প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা (মার্চ থেকে নভেম্বর), সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা (ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি)। প্রবেশমূল্য পাঁচ টাকা। শিশুদের জন্য দুই টাকা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য তিন টাকা। ফোন : ৮০৩৩২৯২।

ফ্যান্টাসি কিংডম, আশুলিয়া প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। শুক্রবারসহ অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ফোন : ৯৮৯৬৪৮২, ৮৮৩৩৭৮৬, ৭৭০১৯৪৪-৪৯। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সেগুনবাগিচা সোম থেকে শনিবার খোলা থাকে। সাপ্তাহিক বন্ধ : রবিবার।

সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি); সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর)। ফোন : ৯৫৫৯০৯১-২। বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর, বিজয় সরণি শনি থেকে বুধবার খোলা থাকে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক বন্ধ : বৃহস্পতি ও শুক্রবার। সরকারি ছুটি ও সেনাবাহিনীর ঐচ্ছিক ছুটির সময় বন্ধ থাকে।

ফোন : সেনানিবাস এঙ্চেঞ্জ-৯৮৭০০১১, ৮৭৫০০১১ (জাদুঘর এঙ্টেনশন-৭৫৪২)। লালবাগ কেল্লা, লালবাগ সোমবার খোলা থাকে দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মঙ্গল থেকে শনিবার খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা (অক্টোবর থেকে মার্চ), সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর)। সাপ্তাহিক বন্ধ : রবিবার। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।

প্রবেশমূল্য : জনপ্রতি ১০ টাকা; তবে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ৫০ টাকা। ফোন : ৯৬৭৩০১৮। জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শনি থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা (অক্টোবর থেকে মার্চ); সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর)। সাপ্তাহিক বন্ধ : বৃহস্পতিবার।

সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে। ফোন : ৮৬১৯৩৯৬-৯৯। শিশু একাডেমী জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ : শুক্র ও শনিবার। রবি থেকে বৃহস্পতিবার খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে।

ফোন : ৯৫৫৮৮৭৪। আহসান মঞ্জিল জাদুঘর শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শনি থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা (অক্টোবর থেকে মার্চ); সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর)। সাপ্তাহিক বন্ধ : বৃহস্পতিবার। সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে।

ফোন : ৭৩৯১১২২।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।