২৭ মে ২০১২ গ্রীষ্মের এই তপ্ত রোদের মাঝে পিচ-গলা রাস্তার উপর দিয়ে ব্যস্ত এই শহরের কোন এক রিকশাচালক বা ভ্যান-চালক বা কোন এক কায়িক শ্রমিক প্রাকৃতিক বৈরিতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিকূলতা সব কিছুকে অগ্রাহ্য করে ইস্পাত দৃঢ় মনোবল দ্বারা শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে রোদে পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে এক মনে কাজ করে যাচ্ছে, অথবা কোন এক কৃষক পরম মমতায় চাষবাসের জন্য জমিতে মাটির পরিচর্যা করছে, নির্ভেজাল পরিশ্রম। এদের সংখ্যায়ই বেশী।
অন্যদিকে এরই মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ে শেখ হাসিনার সহায়তায় বাংলাদেশের ইতিহাসে যুক্ত হল আরও এক কাল অধ্যায়। আবাসন খাতে বিনিয়োগের নামে বাংলাদেশের বুকে আরেকবার ছুরি বসিয়ে দিয়ে ভারতের ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের-সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক)। রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হুদা এই চুক্তিতে সাইন করে ঊর্মিচাঁদের পাশে নিজের নামটি লেখালেন।
আর এই কোম্পানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শেখ মনির ছোট ছেলে ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসের ছোট ভাই শেখ ফজলে হোসেন ফাহিমকে। এ সময় কোম্পানির চেয়ারম্যান সুব্রত রায় সাহারা (দিল্লী কোর্ট ২০১১ সালে এই সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে, ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় ফটকাবাজির জন্য। )’ শেখ ফজলে হোসেন ফাহিমের হাতে বিজনেস কার্ড তুলে দিয়ে তাঁকে পরিচয় করে দেয়।
সুব্রত রায় সাহারা বলেছে, 'আমরা ছোট জায়গায় কাজ করি না। বড় জায়গার জন্য সরকারি অনুমতি দীর্ঘায়িত হয়।
তবে আমাদের গতির সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব। 'ঢাকায় উপশহর তৈরির জন্য সরকারের কাছে এক লাখ একর জমি চাওয়া হয়েছে। এ জন্য কোনো অর্থ দিতে হবে না। সরকার শুধু সার্বভৌম গ্যারান্টি দেবে। সাহারা ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে প্রকল্প নিয়ে কাজ করবেন বলেও জানায়।
সুব্রত রায় সাহারা বাংলাদেশে জমির দাম চড়া বলে উল্লেখ করলে আহমেদ আকবর সোবহান বলেছে, কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় জমির দাম বেশি। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে জমির দাম অপেক্ষাকৃত কম। সে বাংলাদেশের উন্নয়নে সাহারা গ্রুপকে সম্ভব সব রকমের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য সাহারা গ্রুপের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানায়। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানায় সাহারা গ্রুপের চেয়ারম্যান।
আসলে সাহারা ঢাকার আশেপাশের জলাশয় ভরাটের মাধ্যমে দেশের ভিতর এবং বাইরের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে দেশকে একটি জঞ্জাল রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
আজকের মীরজাফর লর্ড ক্লাইভদের দাপটে বারংবার ক্ষতবিক্ষত হওয়া এই দেশ বড় ক্লান্ত।
১) BDR ধ্বংস করা হয়েছে।
২) grameenphone কে বিনা লাইসেন্স ফিতে ব্যবসা করার সুযোগ তার সাথে নামমাত্র ফিতে railway র ফাইবার অপটিক ব্যাবহার করার অনুমতি প্রদান। চুক্তি অনুযায়ী দশ বছর পর Telenor তাঁদের শেয়ারের অংশ হস্তান্তর করার কথা,অথচ তা না করে এখন লাইসেন্স রিনিউ হচ্ছে।
৩) airtel কে বিশেষ কারসাজির মাধ্যমে নাম মাত্র ট্রান্সফার ফিতে ব্যবসা করার সুযোগ।
সাথে আবার ডাটা ট্রানজিট এর সুযোগ দেয়া হয়েছে। teletalk কে অকেজো করে রাখা হয়েছে।
৪) দুই দুই বার শেয়ার বাজার ধ্বংস করা হয়েছে।
৫) ফারাক্কা বাঁধের অনুমতি, তিস্তার পানি বণ্টন, টিপাই-মুখ বাঁধ।
৬) কানকো ফিলিপ্সের সাথে চুক্তি।
............
অনেক নাম এখন এই দেশের মানুষের মুখে মুখে সময়ের সাথে সাথে দীর্ঘায়িত হচ্ছে মীরজাফর, ঊর্মি-চাঁদ রাজবল্লভ,ঘসেটি বেগম......... শে......। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।