Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd
কেন ?
কারন কেউ যখন ছবি তুলছে সে কখনও মিথ্যা বলতে পারে না, পরে কেউ গল্প সাজাতে পারে।
ছবিতে সত্য ছাড়া মিথ্যা লিপিবদ্ধ থাকতে পারে না, ইডিট করলেও ধরা পরবে।
তারমানে ক্যামেরা কলমের চেয়ে অনেক শক্তিশাল ও সত্যবাদী লেখক।
ক্যামেরা একটি পবিত্র রেকর্ডার, যেখানে কলম দিয়ে স্বয়ং ঈবলিশেও কোন শয়তানির মহাকাব্য লিখতে পারে কিন্তু খোদ ঈবলিশ ক্যামেরা দিয়ে মিথ্যা বলতে পারে না। এই ক্যামেরা হাতে যখন কেউ ছবি তুলছে সে স্রষ্টার কাজ করছে।
সে সত্য রেকর্ড করছে।
বাংলাদেশের জন্য ক্যামেরা সবচেয়ে বড় অশির্বাদ। এই ক্যামেরারই হতে হবে জনগণের চোখ। এদেশে কেউ কিছু দেখতে পায়না বলে, চোর চুরি করতে করতে কেউ কি করছিস জিজ্ঞাসা করলে বলে নামাজ পরছি। ক্যামেরা দিয়ে দেখে ফেললেই ওর সমস্ত ফিকির শেষ।
ক্যামেরার একটা ছবি যত বড় সত্য বলতে পারে দুনিয়ার কোন মানুষ সেই সত্য বলতে পারবে না।
এই ছবিটি দেখুন পেছনে ক্যামেরা হাতে রেকর্ডরতকে পেটানো আর নামাজরত কাউকে পেটানো কিভাবে ভিন্ন হতে পারে !
তাই ছবি তোলার সময় কাউকে পেটানো, একজন মানুষ হিসাবে আমার কাছে, নামাজ পড়া অবস্থায় কোন মুসলমানকে বা পূজারত অবস্থায় কোন হিন্দুকে পেটানো সমান কথা।
যাই হোক, প্রথমআলোর সাংবাদিক হোক আর অন্যকোন পত্রিকার সাংবাদিক হোক বা কোন ব্লগার হোক বা সৌখিন ফটোগ্রাফার হউক তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বা ছবি তোলার সময় যখন সরকারের পেটোয়া বাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের স্বিকার হলে, তখন আমাদের অবশ্যই তাদের পাশে দাড়াতে হবে। তানা হলে এই অন্ধকার দেশের মুক্তি নাই।
আমরা জনগণের চোখ ক্যামেরাকে একদিন আদালতের ভিতরে নিতে চাই।
আগের দিনে যেমন বটগাছ তলায় বিচার হতো।
ক্যামেরা দিয়ে আমরা দেশটাকেই খুলে দিতে চাই আরা এই চাইরআনা দামের মাথামোটা ফুলিশ ফটোসাংবাদীক পেটায় । এতবড় সাহস, ঐ সবশালা পুলিশের পেছনে ক্যামেরা লাগাইয়া দেন, কে কখন কার সাথে সব রেকর্ড করতে হবে।
মূল লেখাঃ সহজপৃথিবীর বাংলাব্লগ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।