ক’দিন ধরে একটা লেখা ঘুরছে ব্লগে, ফেসবুকের পাতায় পাতায়। সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারাগারে আটক একজন বাবার জন্য একজন মেয়ের লিখা। মেয়ে অবশ্যই বাবার পক্ষে কথা বলবে,লিখবে। কিন্তু বাবা যখন অপরাধী হয় আর শিক্ষিত একজন মেয়ে বাবার সে অপরাধ চোখে দেখেনা।
তখন প্রশ্ন জাগে ভালোবাসার কাছে কী অপরাধ গ্রহণযোগ্য।
বেশ কয়েক বছর আগে দুটো খবর পড়েছিলাম পত্রিকায় হৃদয়ে এক বিন্দু হীরের মতন উজ্জ্বল সে খবর এখনো। পুত্রের গুন্ডামিতে অতিষ্ঠ হয়ে, পাড়া প্রতিবেশীদের অভিযোগে মা ছেলেকে পুলিশের কাছে সমর্পণ করেন। আইনের কাছে তুলে দেন এমন আরেক ছেলেকেও বাবা। এরা বাংলাদেশের অসংখ্য জনতার একজন।
সমাজে খুব নামী,দামী কেউ নন। এলাকা ভিত্তিক ছোট ঘটনা। ছেলেদের কুকীর্তি, মস্তানী সন্ত্রাসে আশে পাশের গুটি কয় মানুষের মাঝে ভয় ত্রাসের বিরাজ করে গোটা বাংলদেশে এর প্রভাব পরে না। এই মাতা, পিতার প্রভাব আমাদের সমাজে খুব একটা পরে না। কেউ তাদের অনুকরণ করেনা।
তবু এই মাতা, পিতার আচরণ নমস্ব, গ্রহণযোগ্য। যে মেয়ে তার অসাধু পিতার জন্য ফরিয়াদ করেন তিনি এমন বাবা মা এর খবর হয়তো জানেন না। বা জানলেও ভাবেন এ আর এমন কী আমজনতা আর আমরা কি এক!
উনি বাবার জন্য জনগনের অনুকম্পা জাগানো লেখা লিখেছেন। সেই লেখা যেন আরো হৃদয়স্পর্শী হয় তাই বিজ্ঞপনের মতন তিনি তার নিজের ছবিটিও লেখার সাথে জুড়ে দিয়েছেন । যেটা কুরুচির চুড়ান্ত।
তার মনের গোপন অভিসন্ধী মনে হয়েছে। অনেকে তার শ্রীমুখের,তনুর বলৎকার করেছেন দেখেছি ব্লগে। সেটা হয়তো তার আকাঙ্খার বিপরীতে চলে গেছে।
বাংলাদেশের মানুষ যে এখন অনেক সচেতন ভূমিস্বত্বহীন নীল চাষি নয়। মাথা নিচু করা প্রজা নয় আর।
জমিদারী, ব্রিটিশযুগ পেরিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম ভূমির শৃঙ্খলহীন মানুষ এটা অনুমান করতে হয়তো ভুল করেছেন। ইতিহাস জানলে জানা উচিৎ খুদিরাম প্রীতিলতা স্বাধীন সচেতন প্রতিবাদী বহু আগে থেকেই এদেশে। আর যদি মনে করে থাকেন দুহাজার বারোর প্রজন্ম আগের ইতিহাস জানে না। অর্ন্তজাল প্রেমে বিভোর ভার্চুয়াল হিপনোটাইজে বিভোর থাকবে। ভুল ধারনা ভুল পরকীয়ায় ভুলানোর চেষ্টা আদিম আহ্বানে।
এ মাটির মানুষ মুক্ত, স্বাধীন এবং সচেতন। ন্যায় এবং সত্যের জন্য প্রয়োজনে বাবার বিরুদ্ধে কথা বলুন আবেগময় সুযোগ সন্ধানী না হয়ে আত্মসচেতন হোন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।