আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কী করে এই লোডশেডিং এর যুগে লেটেস্ট মুভি/লেটেস্ট গেইমস/দুর্লভ ক্র্যাক সফটওয়্যার দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়ে ডাউনলোড করবেন? (এত্তগুলা ছবি দিয়ে শিশুদের বোঝার উপযোগী করে তৈরি করা)

কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি । এই মিশনের টার্গেট ২টা। ১) লোডশেডিং এর মাঝেও বড় বড় ফাইল ডাউনলোড ২) লেটেস্ট মুভি/গেইমস খুঁজে পাওয়া ও ডাউনলোড এই মিশনে সফল হতে হলে আপনার লাগবে ৩টা মোক্ষম অস্ত্র। ১) কম্পুটার ২) চোখ ৩) ব্রাউজার ৪) আরেকটা স্পেশাল ফ্রি সফটোয়্যার যেটার নাম পরে পাবেন। নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন “আক্কেল” জিনিসটা ১গ্রামও খরচ করা লাগবে না।

শুধু ফলো করেন নিজের স্টেপগুলা আর এমনি এমনি সব হয়ে যাবে। প্রিপারেশন স্টেপঃ [ Vuze, utorrent, bittorrent, emule সহ দুনিয়ার যত টরেন্ট ফাইল আছে কোনটা যদি আপনার পিসিতে ইন্সটল থাকে, এখনই দৌড়ায়া আনইন্সটল করেন। এখনই মানে এখনই। কেন? ভাবতেছেন আপনারটা একাই ১০০, আপনারটাও সব পারে? আরে মিয়া, সফটোওয়ারের মালিকও আপনি না, ট্যাকা দিয়েও কিনেন নাই – তাইলে হুদাই দরদ না দেখিয়ে যা বলতেছি সেটাই করেন। আস্তে আস্তে বুঝাচ্ছি কেন এইটা বলছি।

খুবই ইম্পর্ট্যান্ট] ১) http://www.thepiratebay.se তে যান। এইটা একটা চরম সাইট। আম্রিকা পাগলের মত এইটার মালিকরে খুঁজতাছে। কিন্তু লাভ হইতাছেনা। হে পালায়া আছে।

ওদের সার্ভার বন্ধ করার এমন কোন চেষ্টা নাই যে করা হয় নাই। কিন্তু ওদের দুইটা সার্ভারের একটা আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে অজ্ঞাত স্থানে। আরেকটা ছোট ড্রোন প্লেন দিয়ে কোন দেশের আকাশে যেন উড়তেছে। আর সাধারণ ভাড়া করা সার্ভার ত আছে ! ২) সাইটে যান। আর সার্চ দেন।

যা খুঁজতেছেন সেটা কোন ক্যাটাগরিতে পরে তা টিক চিহ্ন দিয়ে নিলে সুবিধা। ৩) হায় হায়! আপনি ত লেটেস্ট মুভির নাম জানেন না। তাইলে? ভয় পাবেন না। মনীষী আকাশ_পাগলা আছে না? ভাল মত দেখেন সার্চ বক্সের আশে পাশে। লেখা আছে Top 100।

গত ৪৮ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে যেগুলা তার লিস্ট। সেখানে একবারে সব ক্যাটেগরির টপ চার্ট পাবেন আবার আলাদা আলাদা ক্যাটেগরি অনুযায়ীও খুঁজে পাবেন। সেখানেই লেটেস্ট মুভি, মোবাইলের গেমস খুঁজে পাবেন। ৪) এরপর দেখেন ট্রিকস। এইখানে নাম আর আপলোডের তারিখ অনুযায়ী সাজানো আছে।

কিন্তু এক পাশে SE মানে Seeds এর সংখ্যা দেয়া। ঐটার উপরে ক্লিক করেন। তাহলে যেই ফাইলগুলার সিড সবচেয়ে বেশি সেগুলা উপরে চলে আসবে। সিড এটাই প্রমাণ করে যে এই ফাইল বিশ্বাসযোগ্য। ৫) উপরের চার পাঁচটা লিংক Open in new tab বা মাউসের চাকার উপর ক্লিক দিয়ে নতুন ট্যাবে খুলুন।

এবার দেখেন নিচে প্রচুর কমেন্ট আছে। অন্তত ২-১ টা কমেন্টে চোখ বুলান। সন্দেহজনক কিছু থাকলে টের পাবেন। (এই রে, এখানে বোধহয় কিছু আক্কেল খরচ করা লাগতে পারে। তবে ৯০% ক্ষেত্রে এক বিন্দু সমস্যা হয় না।

সুতরাং ৯০% নিশ্চিন্ত থাকুন !! ) ৬) এখন সবকিছু মিলিয়ে (সিড আর অল্প বিস্তর ক্ষেত্রে কমেন্ট) যেটা সবচেয়ে ভালো লাগলো, সেই লিংকের নিচে সবুজ অক্ষরে Get This Torrent লেখা। আমি যেই স্ক্রিনশট দিলাম, আমার ব্রাউজারে এডব্লকার ইন্সটল করা। তাই এড দেখাচ্ছেনা। নইলে এড ব্যানারে ডাউনলোড নাউ টাইপ কথা থাকতে পারে। যাক, সেগুলায় ক্লিক মারবেন না।

আমি যেখানে দেখাইছি, ওখানে মাউসের রাইট ক্লিক দিবেন। মেন্যুতে Copy link address এ ক্লিক করবেন। এইটা কাজে লাগবে ২ মিনিট পরে। কিন্তু সিরিয়ালে এখনই আসলো বলে দেখিয়ে দিলাম। ৭) এখন চলে আসি সেই অমোঘ অস্ত্রতে।

বিট কমেট নামিয়ে ইন্সটল করে ফেলেন। এখন হালকা কিছু সেটিং লাগবে। তার আগে এর স্পেশালিটি বলে নেই। ডাউনলোড লিংকঃ http://www.bitcomet.com/doc/download.php Azurus Vuze কিন্তু ম্যাগনেট লিংক ক্লিপবোর্ড থেকে নেয় না। এইটা নেয়।

এইটার প্রিভিউ ফিচার আমার এ পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী। টরেন্ট ফাইলগুলাকেও খুব দ্রুত অপটিমাইজ করে ইন্টিগ্রেট করে নেয়। র‍্যাম বলতে গেলে নেয়ই না। emule এর লিংকগুলাও নিতে পারে। এইটা চালাতে জাভা বা অন্যকিছু ইন্সটল করা লাগে না।

ধরেন একটা ফাইল নামাবেন। সেটা জিপ করা। কিন্তু আপনি আগেই দেখতে চান যে ভিতরে কী কী আছে ! বিট কমেট আপনাকে অটো সেটা দেখাবে। এরমধ্যে নির্দিষ্ট কয়েকটা টিক দিয়ে সে কয়টা নামাবেন। একটা মুভির স্যাম্পল হিসেবে অল্প কয়েক মেগাবাইট নামিয়ে উপরে প্রিভিউ বাটনে চাপ দিলে ঐ মুভিটা দেখতে পারবেন।

তখন বুঝতে পারবেন যে প্রিন্ট কেমন ! ভুজের সাথে এর যা একটু তুলনা। বাকিগুলার চেয়ে বহু উপরে। ৮ ) বিট কমেটের উপরে দেখেন। উপরের বারে লেখা আছে Tools. এখানে ক্লিক করে options এ যান। অপশনসের উইন্ডো ওপেন হবে।

ওখানে ডান দিকের চার্ট থেকে প্রথমেই পাবেন Connection। সেটার ভিতরের সেটিংসে আমার দেয়া স্ক্রিনশটের মত করে নিন। এখানে ম্যাক্স আপলোড রেট ০ বা আনলিমিটেড দেয়া থাকে। আমি সর্বনিন্ম(সিস্টেমে যা সাপোর্ট করে) ১০ কেবিপিএস দেই। ৯) এরপরে Directories এ যান।

যেখানে ফাইলগুলা সেইভ করতে চান, সেই ফোল্ডার সিলেক্ট করে দিন। ১০) এরপর Integration থেকে হুবহু আমার দেয়া স্ক্রিনশটের মত করে নিন। বিশেষ করে উপরের দিকের ৪টা বক্সে টিক চিহ্ন দিতে ভুলবেন না। ১১) ওকে দিয়ে সেইভ করে কম্পু রিস্টার্ট দেন। ১২) সেই স্টেপ ৬ এ আসেন।

ঐভাবে লিংকটা কপি করেন। আর কী লাগে, দেখবেন বিট কমেটে একটা পপ আপ মেন্যু আসছে। সেখান থেকে সিলেক্ট করেন কী কী ফাইল ডাউনলোড করতে চান। ব্যাস, ওকে দিলেই খেলা শুরু। ১৩) উপরের স্টেপগুলো ফলো করলে/ বিট কমেটের সেটিংস আমার মত করে নিলে কম্পুটার অন হলেই বিট কমেট দিয়ে ডাউনলোড শুরু হবে।

কিন্তু আপনি ব্রাউজিং এর জন্য কম্পুটার ব্যবহার করবেন। তখন? সিম্পল। ডেস্কটপ স্ক্রিনে নিচে স্টার্ট বাটনের অপর কোণায় যেখানে টাইম দেখায় তার আশেপাশে বা তিনকোণা চিহ্নের ভিতরেই বিটকমেটের আইকন আছে। সেখানে রাইট ক্লিক করে এক্সিট এ চাপ দেন। ১৪) রিস্টার্ট দেন কম্পুটার।

যখন কম্পুটার বুট হবে তার আগে F2 / Delete /Esc মানে BIOS আনতে আপনার পিসিতে যা চাপা লাগে তাই চাপেন। ১৫) [আপনি এই স্টেপটা বাদও দিতে পারেন। কোন সমস্যা নেই। ] বিজ্ঞাপণের সাথে পণ্যের দুএকটা কথা পার্থক্য হলে কিছু হয় না। এই স্টেপে কিছু আক্কেল খরচ করা লাগতে পারে।

তবে আমি নিশ্চিত কোনভাবেই সেটা ১ মিলিগ্রামের বেশি না। আগে বলি এই স্টেপের উদ্দেশ্যঃ কম্পুটার চলা অবস্থায় কারেন্ট গেলে(পিসি অফ হয়ে গেলে) যখন কারেন্ট আসবে তখন অটো অন হয়ে যাবে। আবার কম্পুটার বন্ধ অবস্থায় কারেন্ট গেলে, আবার কারেন্ট আসলেও কম্পুটার অন হবে না। ত কম্পুটার যখন অন হবে, তখন উইন্ডোজ আসবে। উইন্ডোজ আসলে অটো আপনার মডেম কানেক্ট হবে (নিশ্চয়ই সেটিংসে অটোমেটিক কানেক্ট দেয়া।

নইলে কাস্টমার কেয়ারে কল দিয়ে জেনে নেন যে কী করে সফটওয়্যারটা অটো কানেক্টে দিবেন)। আর, বিট কমেটও অটো রান হবে। আর অটো ডাউনলোড শুরু করবে। ওরেহ !! সকাল বেলা ডাউনলোড দিয়ে অফিসে চলে যান। ভার্সিটি যান।

এসে দেখবেন ডাউনলোড শেষ। অটো ! রাতে দিয়ে ঘুমান। যতই কারেন্ট যাক, দেখবেন সকালে গরম গরম মুভি রেডি BIOS এ আসলে ভয়ের কারণ নাই। আমি আছি না ! তবে, একেকজনের মাদারবোর্ডের মডেলের একেকরকম ইন্টারফেস। তাই আমি একটা জেনারেল আইডিয়া দিচ্ছি।

ভালমত উপরের বার টা দেখেন। একটা ট্যাব থাকবে যার নাম Power। সেটার ভিতরে ঢুকেন। সেখানে একটা অপশনে থাকবে Restore on AC Power Loss অথবা After AC power failure। মানে হচ্ছে, যদি আপনার পাওয়ার চলে যায়, তাহলে কম্পু কী করবে? উত্তর হিসেবে Power On বা Power off বা Remember যেটাই থাকুক আপনি “রিমেম্বার” এ নিয়ে আসবেন।

ব্যাস খেলা শেষ। কম্পুটার নিজেই এখন মনে রাখবে যে কারেন্ট যাওয়ার সময় এটা অন ছিলো নাকি অফ ছিলো ! উৎসর্গঃ Click This Link এর বন্ধুরা http://wings.rizvanhasan.com/archives/622 এখানে প্রকাশিত -- ব্যক্তিগত ব্লগ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।