যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে নাকি একলা চলতে হয় ..........
ডাফি তার প্রিয়তমা ‘সারিন্যা অ্যান কামসুক’কে বিয়ে করেন তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান চলাকালে। এসময় কালো টাক্সিডো (ডিনার জ্যাকেট) পরিহিত ডেফ শ্বেতশুভ্র বিয়েল পোষাকে সজ্জিত (মৃত) অ্যানের অনামিকায় বিয়ের আংটি পরিয়ে দেন। দি ইনকুইজিটর পত্রিকা জানায়, আংটি পড়ানোর সময়ে বিক্ষিপ্তচিত্ত ডেফকে হতবিহ্বল দেখাচ্ছিল। এ বিয়ের ঘটনা কারও কাছে বেশ রোমান্টিক আবার কারও কাছে গা ছমছমে ভীতিকর ঠেকেছে।
গত ১০ বছর ধরে তারা একে অপরকে ভালোবেসে গেছেন।
থাইল্যান্ডের ‘আমফুর মুয়াং’ নামক এক মন্দিরে এই বিচিত্র বিয়ের আনুষ্ঠানকিতা সম্পন্ন হয়।
থাই-আসিয়ান নিউজ (টিএএন) নেটওয়ার্ক জানায়, ডেফি এবং অ্যান দীর্ঘ সময় ধরে পরিণয় সূত্রে আব্দ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের এ সম্পর্কের মধুরেণ সমাপয়েৎ হতে একটাই বাধা ছিল। ডেফ চেয়েছিলেনবিয়ের আগে পড়ালেখাটা শেষ করে নিতে আর অ্যান চেয়েছিলেন ক্যারিয়ারটাকে আরও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে নিতে।
পাতাইয়া ডেইলি নিউজ জানায়, তারা দু’জনই থাইল্যান্ডের ইস্টার্ন এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পড়ালেখা করতে এসে তারা একে অপরের প্রেমে পড়েন ১০ বছর আগে।
কিন্তু মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা তাদের সুখস্বপ্নকে ছাড়খার করে দেয়। গত গত ০৩ জানুয়ারি অ্যান সড়ক দুর্ঘটায় মারা যান।
এদিকে, মৃত প্রেমিকাকে বিয়ে করার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ডেফি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আপনাদের চোখে আমার এই কাজটি অনেক বড় একটি ভালবাসার নিদর্শন মনে হতে পার। কিন্তু এই ভুলটি শোধরানোর জন্য আমরা অতীতেও ফিরে যেতে পারবো না।
মনে রাখবেন, জীবন অনেক সংক্ষিপ্ত।
তাই আপনার মনের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন। আপনার ভালোবাসার মানুষকে কদর করুন। তা হোক আপনার বাবা, মা কিংবা আপনার ভাই বা বোন। কারণ, এরপর আপনি আবার সুযোগ নাও পারেন।
’
ডেফির এ আচরণকে অনেকেই নিছক পাগলামি বা অপার্থীব আচরণ মনে করলেও অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে সহানুভূতিও জানিয়েছেন।
ঘরকন্যার বদলে বিয়ের পরপর কনেকে অন্তিম শয়ানে শায়িত করার মধ্য দিয়ে এই অদ্ভূত বিয়ের ঘটনার যবনিকাপাত হলেও বাকি জীবন প্রেমিক ডেফির মনের মন্দিরে এই ঘটনা নিশ্চিতই আবেগ আর অনুভূতির নিরন্তর ফল্গুধারা হয়ে বইতে থাকবে। এই ঘটনার মাধ্যমে ডেফি নিজেকে মমতাজ বেগমের সমাধির ওপর তাজমহল বানানোর সাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী সম্রাট শাহজাহানের স্তরে নিয়ে গেছেন। কিংবা বলা যায়- ডেফির কাজটা স্থান-কাল আর ব্যক্তির অবস্থঅন ভেদে তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে, জীবিতের মৃত বিবাহের এ ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় খবরে পরণত হয়েছে।
সূত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।