আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৌর ভবনে দেরিতে আসার সাজা

সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট। ভারতের মুম্বাইয়ে উল্লাসনগরের পৌর ভবনের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন দেড় শতাধিক লোক। তাঁরা কেউ সেবা নিতে আসা সাধারণ নাগরিক বা দর্শণার্থী নন, পৌরসভারই কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই দাঁড়িয়ে থাকা হচ্ছে কর্মস্থলে দেরিতে আসার সাজা। নির্ধারিত সময় ১০টা ১০ মিনিটের পর কর্মস্থলে আসায় প্রচণ্ড রোদে নগর ভবনের ফটকের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ওই কর্মীদের।

সম্প্রতি তাঁদের এই ব্যতিক্রমী সাজা দিয়েছেন দেড় মাস আগে নির্বাচিত উল্লাসনগরের মেয়র আশা ইদনানি। দেরিতে কর্মস্থলে আসা কর্মীদের ফটকের বাইরে রেখেই ক্ষান্ত হননি ইদনানি, তাঁদের সাজা দেখতে সহকারী অঙ্কুশ কদম ও পৌর কাউন্সিলর সুনীল গঙ্গানিকে নিয়ে ভবনের ফটকের পাশে বসে ছিলেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর ফটক খোলার নির্দেশ দেন মেয়র। কর্মীদের এই শাস্তি প্রসঙ্গে মেয়র ইদনানি বলেন, ‘লোকজন দূর-দূরান্ত থেকে অর্থ ব্যয় করে পৌর ভবনে আসেন। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিক সময়ে না আসায় কোনো কাজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাদের।

এই দুর্ভোগ লাঘবের একটা উপায় খুঁজছিলাম। তাই সোমবার নিরাপত্তা প্রহরীকে ১০টা ৩৫ মিনিটে পৌর ভবনের ফটক বন্ধ করতে বলি। এ সিদ্ধান্তের কিছুক্ষণের মধ্যে ফটকের বাইরে জড়ো হয় দেড় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। ’ জানা গেছে, নগর দপ্তরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী মেয়রের আদেশে শাস্তির মুখোমুখি হলেও যথাসময়ে অফিসে এসে এ থেকে রেহাই পেয়েছেন তড়িত্ প্রকৌশল কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা। তা ছাড়া ১১টায় এসেও মেয়রের শাস্তি থেকে বেঁচে গেছেন কর বিভাগের কর্মকর্তা বিজয়া কাঁথে।

ওই কর্মকর্তা জানান, তিনি ১১টায় এসে মেয়রকে ফটকের পাশে বসে থাকতে দেখেছেন। কথাও বলেছেন। কথা বলে কাজের টেবিলে গিয়ে বসেছেন। তবে এর আগে ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু বলবেন না। এদিকে পৌরসভার কর্মীদের দেরিতে আসা বন্ধে এর মধ্যে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র ইদনানি।

এতে বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তা দেরিতে এলে তাঁকে যথাযথ কারণ দর্শাতে হবে। এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটলে শাস্তি পেতে হবে তাঁকে। ইদনানির এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কাউন্সিলর গঙ্গানি বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মেয়রের দপ্তরে অভিযোগ করেন পৌরসভার বাসিন্দারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মস্থলে দেরি করা কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।