আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুকুরছানারা...এবার তোরা মানুষ হ (সম্পাদিত)

যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে...যা হবে ভালোই হবে... আমি জানিনা এটা কবেকার ছবি । প্রেক্ষাপট কি ছিলো তাও জানা নেই। কিন্তু একটা জিনিস তো স্পট যে লাঠি হাতে ওটা একটা কুকুর। আর কুকুরদের লেজে ঘি মাখান,তেল মাখান, হাইড্রোলিক প্রেসে চাপান--লাভ নেই। নোয়াখালীর ভাষায় বললে- যে কল হেই মাথা ।

এটা নিশ্চিত হয়ার জন্য আপনাকে লেজ ধরে টানাটানি করতে হবে না । কুকুর গুলোর সাম্প্রতিক ঘেউ ঘেউ শুনলেই হবে। অনেক বছর ধরে সাধনা করে আমাদের সরকারগুলো একদল কুকুরছানা তৈরি করেছে । এই কুকুরছানা গুলা প্রভুর নির্দেশে যেকোন সময়, যে কারও উপর হামলা করতে পারে। তবে এই বিশেষ প্রজাতির কুকুরগুলোর আবার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট আছে- তারা একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের প্রভু পরিবর্তন করে ।

একদল মানুষ কুকুরছানা গুলোকে মানুষ করার চেষ্টা করেছিলো । কিন্তু ছানাগুলো যে মানুষ হতে চায় না! কুকুর আমি সর্বকালে, সর্বলোকে। আমায় মানুষ করে কে?! বটে! এই বুদ্ধিহীন শিক্ষকে্রা কি তাদের অতীত ভুলে গেছেন?!শ্রেণীকক্ষে তারা যে এই কুকুরছানা গুলোকে মানুষ করতে চাওয়ার অন্যায় অপরাধ করেছিলেন এক সময় তা কি তারা ভুলে গেছেন?? বেত্রাঘাত গুলোর কথা কি তাদের মনে নেই?? তারা কি বুঝতে পারেননি এই কুকুরছানা গুলো একসময় তাদের কামড়ে দেবে? চালাক কুকুরছানা! সুযোগের যথার্থ ব্যবহার। অতীতে পাওয়া বেত্রাঘাতের যথার্থ প্রতিশোধ। থাক! আমরা কুকুরকে কুকুর থাকতে দেই।

ধর্মে তাদের অপবিত্র বলেছে, আবার প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে। আমাদের সরকার'ও বোধ করি তাদের প্রয়োজনেই কুকুর পালছে। আমরা তো আর কুকুর হতে পারি না! তাই আমরা তাদের কামড় খেয়েই যাবো। কুকুর আসিয়া এমন কামড় দিল পথিকের পায় কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে বিষ লেগে গেল তায়। ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা বিষম ব্যথায় জাগে, মেয়েটি তাহার তারি সাথে হায় জাগে শিয়রের আগে।

বাপেরে সে বলে ভর্ৎসনা-ছলে কপালে রাখিয়া হাত, “তুমি কেন বাবা, ছেড়ে দিলে তারে তোমার কি নেই দাঁত !” কষ্টে হাসিয়া আর্ত কহিল “তুই রে হাসালি মোরে, দাঁত আছে বলে কুকুরের পায় দংশি কেমন করে ! কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তা ব’লে কুকুরে কামড়ানো কি রে মানুষের শোভা পায় ?” শিক্ষক নামের 'বোকা' মানুষ গুলো ১৬ই জুন থেকে মানুষ গড়ার কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। কারখানা চালু থাকতেই দেশে অগা-মগায় ভরে যাচ্ছে, বন্ধ হলে যে কি হবে তা আল্লাহ মালুম। হয়তো ব্যপারটার একটা সমাধান হবে। কিন্তু যে বৃদ্ধ শিক্ষক মারা গেলেন তিনি মরার আগে এই জাতির ব্যপারে কি বলে গেছেন আমরা কখোনই জানবোনা। ভয়ংকর ব্যপার এই যে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন!!ওহ! ভাবলেও গা শিউরে ওঠে।

একজন মানুষ, যিনি একই সাথে দেশ এনে দিয়েছেন এবং দেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছিলেন তাকে আমরা এভাবে মেরে ফেল্লাম!! খোদা,তুমি রক্ষা কর। তাদের মিছিল সামনে যাওয়ার সময় যখন এক 'বীর কুত্তার' ধাক্কায় একজন বৃদ্ধ পরে গেলেন এবং এই দৃশ্য আমাকে টিভিতে দেখতে হলো তখন লজ্জ্বায় দেশ ছেড়ে পালাতে ইচ্ছা করছিলো। যে দেশে আমার শিক্ষকের মর্‍্যাদা নেই সেই দেশে চুপ করে ঘরে বসে থাকা আর রাস্তায় লেংটা হয়ে হাঁটা একই লজ্জ্বার কাজ। আর ব্লগে এই লেখাটা লিখে আমি হাদীস আনু্যায়ী আমি দুর্বল ঈমানে পরিচয় দিয়েছি। অবাক হয়ে গেলাম যখন দেখলাম টিভির শেষ রাতের চটি পাঠের বালের অনুষ্ঠান গুলায় আরেক কুকুর সমাজ যারা শুধু ঘেউ ঘেউ করে যায় কিন্তু কামড়ায় না তাদের চুপ থাকতে দেখে!ভুল আমারই।

একই প্রজাতি নিজেদের সমালোচনা করতে পারে না-এটা আমার ব্যঝা উচিত ছিলো। তাদের পার্থক্য একটাই- একদল কামড়ায়, আরেকদল খালি ঘেউ ঘেউ করে। একটা কথা না বললেই নয়। প্রধানমন্ত্রি জণনেত্রী সমুদ্রজয়ি দেশমাতা গণতন্ত্রের মানসকণ্যা পীরতুল্য মানবী বংগবন্ধু কন্যা দেশনেত্রি (গুণ ইনফিনিটি) শেখ হাসিনা নিশ্চই স্কুলে পরেছেন। জানেন নিশ্চই শিক্ষকদের দেখলে সালাম দিতে হয়, ক্লাসে দাঁড়িয়ে সম্মান দিতে হয়।

কুকুরছানা গুলোতো আর নিজেদের ইচ্ছায় কিছু করতে পারে না। আর কিছু বলার প্রয়োজনিয়তা দেখছিনা। নেত্রী নিশ্চই জানেন কি করা হয়েছে আমাদের শিক্ষকদের সাথে। তিনি এই ব্যপারে কিছু বললে হতো। কিন্তু এরচেয়ে বড় বিষয় তার কাছে- খালেদার বাথ্রুমে কি কি আছে! সবশেষে একটা সতর্কতা সবার জন্য- দেশ যারা এনে দিয়েছে সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যথেষ্ট করা হয়ছে।

তাদের অভিশাপ বহু কামানো হয়েছে। ফলাফল আমরা দেখছি। আমরা দুইজন নেত্রী পেয়েছি! এবার - যারা দেশ গড়বে তাদের উপর চড়াও হয়েছি। ফলাফল আরও বেশি খারাপ হবে। কালিমা একবার পরে গেছে।

এর ফলাফল আমাদের অনেক ভোগাবে। (লেখাটা লেখার কথা অন্যভাবে। কিন্তু শুরু করার পর দেখলাম ভালো কোনো কথা লেখতে পারছিনা। তাই অতি ভদ্র ভাষায় সাধারণভাবে লেখলাম। )  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।