জীবনের মুহূর্তগুলো ভালবাসার স্পর্শে রঞ্জিত হোক,জীবনের মুহূর্তগুলো স্বাধীনতার স্পর্শে মুখরিত হোক ** নিজেদের দিনকে দিন পন্ডিত ভাবি। ভাবি অনেক বড় হচ্ছি, লোকের কাছে আমরা মিথ্যে বড় হই। এই বড় হতে গিয়ে আমরা নিজের কাছে ছোট হয়ে যাই। আর যাই হোক কোনদিন নিজের কাছে ছোট হওয়া যাবে না। আত্মসম্মান বোধটাই বড়, আর যা কিছু সব নগন্য।
কি জানি গ্রেডের পিছনে হন্যে হয়ে ঘুরে, ভাল গ্রেডধারীরা নিজেদের যে কি ভাবে??
যাদের কিছু অল্প বিস্তর পয়সা আছে কি বিশাল বড়লোক তাহারা। তাদের গাড়ি- বাড়ি এইগুলির কাছে বাকী সব কিছুই নগন্য।
যারা কিছু বিখ্যাত শপিংমলে গিয়ে কিছু একটা পোষাক কিনতে সক্ষম, অথবা তাহারা ঐ খানে কিছু ছাইপাশ খাবার প্রতিনিয়ত ভক্ষন করে থাকে তাদের তো মাটিতে পাই পড়ে না।
কি যে কিছু একটা পাইলেই তাকে কিভাবে যে বিরাট রুপে প্রকাশ করা যায় তার চর্চায় ব্যস্ত সবাই।
কেউ এখন বইয়ের বিশ্লেষনে মাতে না, কেউ সম্ভাবনার কথা বলে না।
কেউ আর জীবনের গান গায় না। সবাই পন্য ও তার সমাহার নিয়ে ব্যস্ত।
তারা সব কিছু করে মানুষের কাছে বড় হবার জন্য। লোকে তাকে বড় বলবে দেখে যে ছেলে/মেয়েটিকে সে ভালবাসে তাকে সে প্রত্যাখান করে বসে !!! পাছে লোকে মন্দ বলে।
বাবা- মা – ভাই বোন সবার কাছে সে বড় হয় শুধু সে তার ভালবাসার মানুষটির কাছে বড় হতে পারে না।
পাছে লোকে কিছু বলে। তারা দুনিয়ার সবার কাছে বড় হয়, তাই তাদের কর্পোরেট ভালবাসা হয়। ছেলেদের ওয়াইট প্লাস্টার, স্লিম ফিগার, ধনী পরিবারের মেয়ে,হাই প্রোফাইল আরো এডেড চাই, ভাবখানা এমন যেন সে মানুষ নয়, বাজার থেকে রেডিমেট পন্য নিয়ে আসতে চায়। তাকে খুটে খুটে দেখে, তাকে বিভিন্নভাবে মনের উপর অত্যাচার করে তার সব কিছু টেষ্ট করে। টেষ্টারের তথাকথিত টেষ্টে উনিশ থেকে বিশ হলেই বাদ।
আরে চিন্তা কি বাজারে কি মেয়ের অভাব পড়ছে, একটা গেলে আরেকটা আসবে। আরে ভালবাসা দিয়ে কি পানি ধুয়ে খাবে, আনতে হবে বাজারের সেরা নারী, তাকে অত্যাধুনিক ও একই সাথে সতী নারী দুই হতে হবে।
আজকাল কিছু বাঙ্গালী বজ্জ্বাত নারীও বের হইছে, ধুর ভালবাসা দিয়ে কি হবে, এইরকমই বাজার থেকে সেরা পুরুষ নিয়ে আসতে হবে। তাকেও প্রতিনিয়ত টেষ্ট করা হবে। ত্রুটি পাইলেই বাদ।
বাজারে কি ছেলের অভাব পড়ছে নাকি। ঐটা বাদ দিয়ে আরেকটা নিয়ে আসলেই হল।
আর এভাবেই এইসব পশুগুলি সমাজের সহজ-সরল মানুষগুলিকে নিয়ে এক বিশ্রী খেলায় মেতে উঠে। এসব মানুষগুলিকে দেখে ঘুনাক্ষরেও বুঝা যায় না যে কত নিম্ন শ্রেনীর পশু এরা।
এদের জন্য একটাই কথা নিজের কাছে বড় হতে শিখেন।
আর কত ভিক্ষুক সাজবেন নিজেদের কাছে ?? বিশ্বের সবচেয়ে নিম্ন শ্রেনীর ভিক্ষুকদের প্রতি আমার তীব্র ঘৃনা রইল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।