অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই আমি জেনে গিয়েছিলাম, তার বুকের জমিনে জোছনার চাদর বিছানো ছিলো আমার পায়ের ছাঁপ পড়বে বলে। অন্দর মহলে শোভা পেতো শত সহস্র সোনালু আলোর জোনাক।
পথবিভ্রম মেঘবতী কন্যা ভুল পথে পা বাড়ায়! বহুকাল সেই চোখের কোটরে একটা শালিকের ছায়া পড়ে। খুব গভীর করে না চাইলে, সে ছায়ার আঁধার টের পাওয়া যায়না।
রাত যত গভীর হয়,মানুষটার ক্ষত তত গাঢ় হতে থাকে তাই! সারা শহর ঘুমিয়ে পড়লে বুকের মাঝে তার শঙ্খ কান্নার ঢেউ উঠতো।
মাঝে মাঝে ঘুমের ঘোরে সেই বিলাপের বেতাল সুর আমার কানে ঝংকার তুলে।
হ্যাঁ, ভালোবাসার অন্য নাম যন্ত্রনা। যন্ত্রনার তীর তাকে প্রতি মুহুর্তে বিদ্ধ করে। সে দগ্ধ হ্য়....তার হৃদয় নীলচে হয়---তবুও সে ভালোবাসে!
"যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এরকম আতরের গন্ধ হবে। "
কবির নারী হয়ে উঠেছিলো "যেকোন এক নারী", তার বুকে সুগন্ধী আতরের গন্ধ হারিয়ে মাংসের বিকট গন্ধ বেরোত।
সে অধীর আগ্রহে দীর্ঘ রজনী পার করছে আমার বুকের জমানো আতরের গন্ধ নিবে বলে। আমি আকাশের মতই জানি সেই সত্যটা...আতরের গন্ধ থাকবে, অবশ্যই থাকবে। কেননা, ভালোবাসার সংস্পর্শে মানুষ শুদ্ধ হয়! বাসি ফুলের পঁচা গন্ধও আতরের সুরভি বিলাতে পারে যে! এ আমি বিশ্বাস করি। আর যা বিশ্বাস করে বুকে ঠাঁই দেয়া যায় তার সৌরভি লেপ্টে থাকবেই......তা ধ্রুব সত্য হবেই!
হ্যাঁভালোবাসার সংস্পর্শে মানুষ শুদ্ধতর সুন্দর হয়, সাহসী হয়--মানুষকে স্বপ্ন দেখার মত দুঃসাহসী করে তুলে। একলা দাঁড়কাক তাই আজকাল জোছনামাখা রূপালী রাতের স্বপ্নে বিভোর।
সেই মেঘবতী কন্যা বৃষ্টিস্নাত গন্ধ খোঁজে সোদা মাটিতে। মনোজমিনে আমি একটা ফুলের বাগান গড়েছি। একদিন ছোট ছোট পরীর ছানা সেখানে খিলখিল হাসিতে খেলায় মেতে উঠবে।
"যদি আবার জন্ম নিই বৃষ্টি হয়ে
ঝরবো তোমার বুকে এসে
তোমাকে যাবো আমি ভালোবেসে!!"
মাঝে মাঝে ঠাঁয় দাড়িয়ে থেকে আমি নিজেকে আয়নায় খুটিয়ে খুটিয়ে দেখি। অনেক খুঁজেও চোখের সাগরে শালিকের ছায়া পাই না! কত সহজে চোখের পাপড়ি হয়ে যায় এক একটা স্বপ্নপুরী! চোখের গভীরে অন্য এক চোখ! মায়াময়ি কাজল টানা চোখে আমি গোধূলীর মিলিয়ে যাওয়া দেখি।
সেই মায়াময়ী চোখে ঝিঁঝিঁ পোকাদের আকুতিতে আমি তাকে পাগল হয়ে খোঁজে ফিরি। এক একটা একলা বসন্ত আমি আমার খোঁপার ভাজে জমিয়ে রাখছি। কোন এক উত্থাল পাত্থাল ভরা পূর্নিমায় সে এসে আমার খোঁপার বাঁধন আলগা করবে!
তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না -( আবুল হাসান)
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
তোমার ওখানে যাবো,
তোমার ভিতরে এক অসম্পূর্ণ যাতনা আছেন,
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই শুদ্ধ হ' শুদ্ধ হবো
কালিমা রাখবো না!
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
তোমার ওখানে যাবো; তোমার পায়ের নীচে পাহাড় আছেন
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই স্নান কর
পাথর সরিয়ে আমি ঝর্ণার প্রথম জলে স্নান করবো
কালিমা রাখবো না!
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
এখন তোমার কাছে যাবো
তোমার ভিতরে এক সাবলীল শুশ্রূষা আছেন
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই ক্ষত মোছ, আকাশে তাকা--
আমি ক্ষত মুছে ফেলবো, আকাশে তাকাবো
আমি আঁধার রাখবো না!
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
যে সকল মৌমাছি, নেবুফুল গাভীর দুধের সাদা
হেলেঞ্চা শাকের ক্ষেত
যে রাখাল আমি আজ কোথাও দেখি না--
তোমার চিবুকে তারা নিশ্চয়ই আছেন!
তোমার চিবুকে সেই গাভীর দুধের শাদা, সুবর্ণ রাখাল
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই কাছে আয়
তৃণভূমি কাছে আয় পুরনো রাখাল!
আমি কাছে যাবো, আমি তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।