আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
সবচেয়ে রাগ হচ্ছিল বার্সেলোনা কোচ গার্দিওয়ালার উপর। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে চেলসির কাছে ০-১ হেরে গেলেও একে পাত্তা দিতে চাচ্ছিল না। স্পষ্টতই অহংকারী। কিন্তু চেলসির দ্রগবা, টোরেস, ল্যাম্পার্ড যে ভয়ংকর হতে পারে সেটা আমলেই নেয়নি। তাই নিজের মাঠে ১০ জনের চেলসিকে হারাতেও ব্যার্থ হয় বার্সা।
আমার মতে এবারের চ্যাম্পিয়ান্সলীগের ন্যুক্যাম্পের ঐটাই ছিল সেরা ম্যাচ। এই রকম বিশ্ব তারকা ঠাসা ক্লাবকে তাদেরই মাঠে ঠেকিয়ে দিয়ে চেলসির মনোবল আরো চাঙ্গা করা সহ শিরোপা জেতার জন্য প্রবল উৎসাহিত হয়। সেই সেমিফাইনালে টেরির লাল কার্ড সহ চেলসির কিছু নিয়মিত খেলোয়াড় হলুদ কার্ড খেয়ে ফাইনালে খেলতে ব্যার্থ হয়। স্বভাবতই চেলসি দূর্বল দল হয়ে পড়ে। তবে আজকের ফাইনালে অবশ্যই বায়ার্ন মিউনিখ ভাল ও র্দূদান্ত খেলেছে।
গোলের প্রচেষ্টা তো বটেই ডজনের উপর কর্ণার কিক লাভ করেছে। তবে সেই সেমিফাইনালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এমন কৌশলে ডিফেন্স সাজিয়েছে যে বায়ার্নের পক্ষে সহজে গোলে শুট করা দুরুহ হয়ে যায়। তাই বেশ কিছু ভাল পজিশনে পেয়েও বায়ার্নের রুবেন, রিবেরি, মুলার, গোমেজরা এলোপাতাড়ি শট করে। কিন্তু তারপরেও চেলসির খেলোয়াড়রা মানুষ তো। তাই এশলি কোলের একটু ভুলে থমাস মুলারের কৌশলী হেড চেলসির কিপার পিটার চেককে ফাকি দিয়ে গোলে প্রবেশ করে।
খেলার তখন ৮৩ মিনিট। কেউ সহজে ভাবেনি যে বাকী সময়ে চেলসি ম্যাচে ফিরে আসবে। তাই কিছু আক্রমণে প্রাপ্ত কর্ণার হতে চেলসির মূল ষ্ট্রাইকার দ্রগবার হেড বিদ্যুৎ গতিতে পরিণত হয়ে বায়ার্নের জালে প্রবেশ করে। শুধু বায়ার্নের ১১ জন নয় পুরো আলিয়ানৎছ ষ্টেডিয়াম স্তদ্ধ! বায়ার্নের ক্লাব মাঠেই এইভাবে কৌশলী খেলে তাদের ঠেকিয়ে রাখবে সেটা কেউ অতটা নিশ্চিত হতে পারেনি। তাই মূল ৯০ মিনিটে ১-১ বায়ার্নের খেলোয়াড়দের মনোবলে চিড় ধরিয়ে দেয়।
তাই রোবেন পেনাল্টিতে গোল মিস করেন। এর পরে তারই ধারাবাহিকতায় টাইব্রেকারে বায়ার্ন ৪-৩এ হেরে যায়। জার্মানীর মাটিতে তার সেরা ক্লাবকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের কোন টিমের এই শিরোপা অর্জন সত্যিই অসাধারণ এবং প্রায় অসম্ভব অর্জনই বলা চলে। অনেকেই বলেছিলেন যে বায়ার্ন চেলসিকে চূর্ণ বিচূর্ণ তথা বেশী গোলের ব্যাবধানে হারিয়ে দিবে। কিন্তু আমার ঠিকই ধারণা ছিল যদি বার্সেলোনার মত বিশ্ব সেরাকে তাদেরই মাঠে ঠেকিয়ে দেয় তো বায়ার্নের বিরুদ্ধে আশা করতে দোষ কি! সে যাই হৌক ইংল্যান্ডের চেলসিকে অভিনন্দন।
রুশ ধনকুব আব্রামোভিচ এই পর্যন্ত বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী খরচ করেছেন। ইংরেজরা বলে যে এই অর্থ কোনদিনও ক্লাবের আয় হতে ফেরত পাবেন না। এটা নেহায়েতই শখের বশে খরচ করা। তবে এখন চেলসি যে মাইলফলক অর্জন করল তা ভবিষ্যতে তাকে আব্রামোভিচের অব্যাহত বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে। নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ইংলিশ লীগ আরো আকর্ষণীয় হবে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।