আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। একটি বিশেষ দৌড় প্রতিযোগিতা যেখানে শারীরিক বা মানসিকভাবে পূর্ণ সক্ষম নয় এমন ৯ জন প্রতিযোগী নিদ্ধারিত সময়ে একই কাতারে দাঁড়ালো।
বাঁশি দেওয়ার সাথে সাথে প্রতিযোগীরা দৌড় দিতে শুরু হলো।
লাইন ধরে প্রতিযোগীরা দৌড়ে যাচ্ছে এমন সময়ে বছর দশ কি বারো বয়সের এর এক প্রতিবন্ধি ছেলে দৌড়ের সময় হঠাৎ পড়ে যায় এবং কাঁদতে থাকে। বাকি ৮জন যখন দৌড়ের শেষ পর্যায়ে তখন তাদের কানে যায় এমন কান্নার শব্ধ।
দৌড় থামিয়ে পেছনে ফিরে দেখে সেই শিশুটিকে। ৮জনই ফিরে আসলো প্রতিবন্ধী শিশুটির কাছে। তারা সবাই ছেলেটির মাথাই হাত বুলিয়ে দেয়,তার হাত ধরে সবাই টেনে তোলে। এর পর আট জন প্রতিযোগীর সবাই তারা একজন আরেকজনের কাঁধে হাত দিয়ে বাকি পথ টুকু দৌড়ে যেয়ে সবাই একসাথে লাইন ক্রস করে।
ভালোবাসার নিদর্শন দেখে স্টেডিয়ামের কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
নিস্পাপ ভালোবাসার ভেতর যে কোনও অভিমান থাকে না,প্রতিযোগিতা থাকে না, মানবিকতাই মুখ্য হয়ে উঠে তারই এক উজ্জ্বল এবং বাস্তব প্রমান ফুটে ওঠে এই দৌড় প্রতিযোগিতায়।
এতক্ষণ যা পড়লেন, এটা নিছক কোন গল্প নয়। এটি ২০০৮ সালের বিশেষ অলিম্পিক আসরের ঘটনা যেখানে সকল প্রতিযোগী ছিলেন কোননা কোন ভাবে পূর্ণ সক্ষম নয় এমন মানুষ।
এই বিশেষ বা স্পেশাল অলিম্পিকের একটা মটো আছে, "আমাকে জয়ী হতে দিন। যদি জয়ী হতে নাও পারি, তবে অন্তত চেষ্টা করার সাহসটুকু দিন"
মনে রাখবেন, ভালোবাসা অনেকটা মোমবাতির আলোর মতো।
মোমবাতি থেকে মোমবাতিতে আলো ছড়ালে আলোর কোন কমতি পড়ে না, উপরন্তু আলোটাই ছড়িয়ে যায় ।
source : fb
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।