যে যায় লংকায়, সে হয় রাবন দেশের বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর বিরুদ্দে জালিয়াতি, প্রতারণা ও দেরীতে সেবাপ্রদানসহ নানা অভিযোগ দিন দিন প্রকটহারে বাড়ছে। দ্রুত টাকা ও দ্রব্যাদি পৌছানের জন্য কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর কাছে সাধারণ মানুষ ধরনা দিলেও বিপরীতে তারা রীতিমত গ্রাহকদের সাথে জালিয়াতি ও প্রতারণা বাড়িয়ে দিচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার দিক থেকেই এগিয়ে আছে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিস।
কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে এক গ্রাহক অভিযোগ করে জানান, গত ১৩ মে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিস শাখায় তিনি আট কেজি আম ঢাকায় পাঠানোর জন্য বুকিং দেন। গ্রাহকের রশিদ নাম্বার ৪৮৯৩০৯।
তিনদিন পর পার্সেলকৃত ঐ আম গন্তব্যে না পৌছলে গ্রাহক ১৬ মে কন্টিনেন্টাল ঢাকা অফিসে বিষয়টি অবহিত করেন। ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা ফারুক, ছিদ্দিক ও জীবনসহ বেশ কয়েকজনের সাথে গতকাল পর্যন্ত তিনি যোগাযোগ করলেও ঐ কর্মকর্তারা বিষয়টির কোন সমাধান না করে উল্টো গ্রাহকের সাথে ধমকের সুরে কথা বলেন। বিশেষ করে অভিযোগ বিভাগের কর্মকর্তা জীবন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধমক দেন এবং নিজ দায়িত্বে মাল উদ্ধারের কথা বলেন।
এদিকে গ্রাহক কন্টিনেন্টাল সন্দ্বীপ শাখার শহীদকে বার বার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করে নি। অবশেষে গতকাল তিনি ফোন রিসিভ করে অভিযোগের কথা বলার আগেই ধমক দিয়ে বলেন, আপনাদের পার্সেল সীতাকুন্ডে পড়ে আছে, সেখান থেকে গিয়ে নিয়ে আসেন।
কন্টিনেটাল সন্দ্বীপ শাখার বিরুদ্ধে এরকম প্রতারনার অভিযোগ নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে। শুধু সন্দ্বীপ শাখা নয় সারা দেশের কন্টিনেন্টালসহ বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আসছে অহরহ। এরা মানুষের সেবার কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন। তাই ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রাহকরা। বেশি মুল্য দিয়েও কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
অভিযোগ বিভাগের কর্মকর্তা জীবনের কাছ থেকে গ্রাহকদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি যা খুশি তা লিখেন বলে লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে আজকের আমার দেশ পত্রিকায় খবরও বেরিয়েছে।
সবশেষে জানতে পারলাম ঐ গ্রাহক কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা করার কথা ভাবছেন। তার একটাই কথা, আর কোন গ্রাহন যেন তাদের এই প্রতারণার শিকার না হন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।