Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd
হ্যাঁ ইয়াবা এখন চলেগেছে গ্রামের কৃষকের ছেলের হাতে। ঢাকার পার্শ্ববর্তী উপজেলায় মাদক বেশ কয়েক বছর আগেই ঢুকে গেলেও গত দুই তিন বছরে এই ইয়াবা দেশের ৮০% উপজেলা পর্যায় চলে গেছে। দেশের যেকোন উপজেলায় আজ স্থানীয় রাজনীতিবিদ, চ্যায়ারম্যান, পিএস, এমনকি মন্ত্রীএমপিরর ছেলেমেয়ে আত্মায়ীয় স্বজন মাকদ ব্যাবসায় রাতারাতি বড়লোক হওয়ার জন্য দেশের গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে দিয়েছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরইনের মত মাদক।
আজ প্রত্যন্ত এক শতভাগ কৃষিনির্ভর উপজেলার খবর নিলাম, সেখানে তিনটি স্পটে ২৫০টি খুচরা ইয়াবার ডিমান্ড আছে, প্রতির দাম ২৫০-৩০০টাকা। ইউজারের ৮০% কৃষকের কিশোর ছেলেরা।
উপজেলার নাম বলললাম না, তবে দেশের যেকোন উপজেলায় এর প্রমান পাওয়া যাবে।
বরইয়ের বস্তায় পৌনে ৩ লাখ ইয়াবা
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জ থেকে গতকাল শুক্রবার ভোরে নেশার ট্যাবলেট ইয়াবার একটি বড় চালান আটক করেছে র্যাব, যাকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সবচেয়ে বড় চালান বলে দাবি করেছে তারা। (যদিও এর চেয়ে বড় চালান র্যাব নিজে পাচার করে দিয়েছে অসংখ্য) র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোহায়েল জানান, আসাদগঞ্জ মসজিদের সামনে একটি কভার্ড ভ্যান থেকে বরইয়ের বস্তা নামিয়ে গুদামে রাখার সময় বিশেষ সংকেত লেখা বস্তায় এই ২ লাখ ৭০ হাজার ইয়াবা পাওয়া হয়।
আটক ইয়াবার বাজারদর ৯ থেকে ১০ কোটি টাকা। ”কয়েকদিন আগে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা খবর দেয়, মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক দেশে আসছে।
তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় চারদিন ধরে অভিযান চালায়। র্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, মিয়ানমার থেকে বরইয়ের বস্তার সঙ্গে ইয়াবার চালানটি আনা হচ্ছে। এরপর র্যাব-১ ও র্যাব-৭ এর একটি যৌথ দলের সঙ্গে মিলে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চালানটি অনুসরণ করতে শুরু করেন তারা। (ইয়াবার বড় একটি পাচারকারী দলকে বন্ধ করে নতুন আরেক পাচারকারী গ্রুপকে রাস্তা করে দেয়ার জন্য র্যাব এক ডিলে তিন পাখি মেরেছে। যাকে ধরেছে এদের মামলা হালকা করা জন্য টাকা সহ উদ্ধারকৃত ইয়াবার বড় অংশ র্যাব নিজেই মার্কেটে বিক্রি করে দেবে, নতুন পার্টির কাছ থেকে আরও বেশি বখরা ও অগ্রীম টাকা পাওয়া গেছে, সরকার ও জনগণকেও কাজ দেখানো হলো) ‘কাভার্ড ভ্যান থেকে আসাদগঞ্জের গোডাউনে নামানো ১৭টি বস্তার মধ্যে যে ১৪টিতে ইয়াবা ছিল- সেগুলোর ওপর ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘কে কে’, বস্তার ভেতরে শুকনো বরইয়ের সাথে নীল রংয়ের প্যাকেটে রাখা ছিল ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো।
গ্রেপ্তার হওয়া গুদাম কর্মচারী সাব্বির সাংবাদিকদের বলেন, ভোর রাতে কভার্ড ভ্যান থেকে বস্তা নামার পর রশিদ তাকে ‘কে কে’ লেখা বস্তার ভেতর থেকে প্যাকেটগুলো আলাদা করতে বলেন। পরে একজন এসে সেগুলো নিয়ে যাবে বলেও তাকে জানানো হয়। প্যাকেটগুলো আলাদা করার সময়ই সেখানে হানা দেয় র্যাব সদস্যরা। এম সোহায়েল সাংবাদিকদের বলেন, রশিদের সঙ্গে মিয়ানমারের মাদক ব্যবসায়ীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ১০ থেকে ১২টি চোরাকারবারি দল এভাবে মিয়ানমার থেকে মাদক পাচারে জড়িত।
আর মাদকের চালান সীমান্ত পার করে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে কক্সবাজারে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।