আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইংরেজীর পাশাপাশি আরও ১টি বিদেশী ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা উচিত

ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে উন্নত দেশগুলোর ন্যায় আমাদের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজীর পাশাপাশি আরও ১টি বিদেশী ভাষা বাধ্যতামূলক করা উচিত। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, চাকুরী এগুলো মাথায় রেখে আমাদের বাংলাদেশীদের আরও বেশী করে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার জন্য শধু ইংরেজী জানাই যথেষ্ট নয়। বৃটিশদের সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পিছনে তারা যুক্তি দেখায়- বৃটেন ছোট একটা দ্বীপ দেশ, আমাদের সেসময়কার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ছড়িয়ে পড়া দরকার ছিল, সে সময় বৃটিশ লোকজন ছড়িয়ে না পড়লে তাদের নিজেদের যে অভ্যন্তরীন সম্পদ ছিল তা দিয়ে তারা উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে পারত না বরং দিনদিন অবস্হা আরো খারাপ হত। এজন্য অধিকাংশ বৃটিশই তৎকালীন ইনভেশনকে সাধুবাদ জানায়। ইউরোপ আমেরিকার স্কুলে ছাত্রদেরকে ২টি বিদেশী ভাষা শিখতে হয়।

১৯১১ সালের পর চীনের অভ্যন্তরে যুদ্ধ বিগ্রহ কমে যায়, বিশেষ করে ১৯৪৯ এর পর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে চীনের জনসংখ্যা খুব দ্রুত বাড়তে থাকে কেননা চীনের ইতিহাস থেকে দেখা যায় সবসময় যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে থাকায় মানুষ জন্ম নেয়া এবং মৃত্যুর মধ্যে একটা সামঞ্জস্য ছিল। ১৯৪৯ এর পর চীনারা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে, এত লোকের কি উপায় হবে তখন চীনারা কাজের খোঁজে সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং সেটেল হয়। এখন পৃথিবীর যে দেশেই যাওয়া হোক না কেন চাইনিজ খুঁজে পাওয়া যাবেই, অনেক দেশেই তারা চায়না টাউন গড়ে তুলেছে। কানাডার ভ্যানকুভার, ইন্দোনেশিয়া, কলকাতা, এমনকি ইউরোপের ছোট্ট দেশ লাটিস্তান এর মত জায়গায়ও চাইনিজ আছে। যদি তারা সেসময় ছড়িয়ে না পড়ত আর ১ সন্তান নীতি না করত তাহলে এখন চীনের খবর!!! ছিল।

চীনে যারা ইংরেজী ভাষার উপর অনার্স করে তাদেরকেও জাপানী ভাষা শিখতে হয়। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে আরও বেশী করে প্রভাব বিস্তার করতে স্কুলগুলোতে আরবি ভাষা শেখার অপশন রাখা উচিত। পাশাপাশি মালয়েশিয়ার বাজার মাথায় রেখে মালাই ভাষা,, দক্ষিণ কোরিয়া- কোরিয়ান ভাষা,, জাপান- জাপানি ভাষা,, কানাডা- ফ্রেঞ্চ ভাষা। আমাদের দেশে লোকসংখ্যা অনেক,, চাকরি কম- ছড়িয়ে পড়া ছাড়া কোন উপায় নেই,, কেননা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য চাইনিজদের মত বাধ্যতামূলক ১সন্তান নীতি করাও সম্ভব নয়,, দেশের অধিকাংশ মানুষ এটা মেনে নেবে না। আর ক্ষমতায় যে গনতান্ত্রিক কিংবা সামরিক সরকার ই আসুক না কেন আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে সবার কর্মসংস্হানের ব্যবস্হা করা সম্ভব নয় তাই এক ইংরেজিই শুধু যথেষ্ট নয়।

যে কাজটা চাইনিজরা করতেছে- ইংরেজীর পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা বিভিন্ন ভাষা শিখতেছে। অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা জার্মান ভাষা শিখে। বিবিসি ,ভয়েস অব আমেরিকা,, ডয়চেভেলে সহ সব রেডিও সেন্টার তাদের বাংলা বিভাগ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ, - কলকাতা থেকে লোক নেয় কিন্তু চীনা বেতারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম,. চাইনিজরা বাংলা শিখে ওরা নিজেরাই উপস্হাপনা করে। এভাবেই ওরা নিজেদের লোকদের কর্মসংস্হানের ব্যবস্হা করেছে। তাই কোন এক ছাত্র যে ম্যাট্রিক পাশ করে নি তার যদি কোন ১টা বিদেশী ভাষা জানা থাকে তাহলে সে বিদেশের শ্রম বাজারে গিয়ে ভাল করতে পারবে।

যারা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন তাদের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি কাজে দিবে। সংবাদে দেখেছি একটা জাপানি মালবাহী জাহাজে কর্মরত আপ টু বটম সবাই বাংলাদেশী। চীনের কুনমিং এ এক বাংলাদেশী দম্পতি বাংলা খাবারের একটা রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করেন। সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে ইউনিভাসিটি অব সাউথ ওয়েলস্ এ অনেক বাংলাদেশী স্টুডেন্ট আছে, সেখানে তারা বাংলাদেশী কমিউনিটি গড়ে তুলেছে। এভাবেই আমাদেরকে চায়না টাউন এর মত সারা পৃথিবীব্যাপী বাংলা টাউন গড়ে তুলতে হবে।

সম্প্রতি পাকিস্তান ১টি প্রদেশে সকল প্রাইমারী স্কুলে ইংরেজির পাশাপাশি চাইনিজ ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করেছে। তাই সামগ্রিক বিশ্ব শ্রমবাজারের কথা চিন্তা করে সরকারের ইংরেজীর পাশাপাশি আরও ১টি বিদেশী ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা উচিত । অন্যান্য দেশের সচেতন সরকারের ন্যায় আমাদের দেশের সরকার এব্যাপারে যত দ্রুত পদক্ষেপ নেবে ততই মঙ্গল। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।