আমার লেখা পড়ে.................. আমাদের দেশ গত ২২ বছর ধরে চলছে মেঘের উপর । মেঘ যে কখন কোন দিকে যাবে তার ঠিক ঠিকানা নাই । তবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান চাহিদাই দেশ পরিচালনা প্রকান্তরে ক্ষমতা দখল । কারণ বিরোধী দলেও থেকেও দেশের সেবা করা যায় । কিন্তু তারা তাতে রাজী না ।
কেন রাজী না জানেইতো । আর প্রৈধান রাজনৈতিক দল গুলোর কথাশুনে মনে হয় তারা স্রষ্টার কাছ থেকে দেশ চালানোর টেন্ডার নিয়ে আসছে । প্রত্যেকে ভাবে তারা অরঝিনাল টেন্ডার পাইছে বাকীরা ভন্ড । জামায়তী ইসলামীর শ্লোগান ছিল “ভোট দিলে দাড়ি পাল্লায়, খুশি হবে আল্লায়” । হাদীস কোরাণের কোথাও এ তথ্য’র সত্যতা থাকলে আমাকে জানিয়ে বাধিত করবেন ।
রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের পরিচয় ইতোমধ্যে পাল্টে দিয়েছেন । তারা সফল , আমরা এখন হয়ে গেছি “আওয়ামী লীগ বা বিএনপি” বাংলাদেশী বাঙ্গালী নাই আমরা আজ ।
যাই হোক আমাদের মত মফিজ/মাইকেল/নাদান পিপলস-এর ট্যাক্সে চলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাঠ যেন কমেডি ফিল্ম । এক দলের সাথে আছে ১৪ দল (?!) আরেক দলের সাথে ১৮ দল (?!) ।
আমি খুব খারাপ অবস্থঅয় আছি ।
কিছুই করতে পারছিনা পেশাগত জীবনে । তাই ভাবছি একটা রাজনৈতিক দল খুলবো । আমি কিন্তু সিরিয়াস । নিচে ১৪ ও ১৮ দলের তালিকা দিলাম , তারপর ভাবনার ব্যাখ্যা ।
১৮ দলীয় জোট (বিএনপি)
==============
১.বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া
২.জামায়াতে ইসলামী- ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমদ,
৩.বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ,
৪.ইসলামী ঐক্যজোট- মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী,
৫.খেলাফত মজলিস -চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক,
৬.লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি -প্রেসিডেন্ট অলি আহম্মদ
৭.জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)- সভাপতি শফিউল আলম প্রধান,
৮.বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি- চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক,
৯.ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি-সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু,
১০.বাংলাদেশ ন্যাপ- চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি,
১১.ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এনডিপি -চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা,
১২.বাংলাদেশ লেবার পার্টি- চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান,
১৩.বাংলাদেশ মুসলিম লীগ- সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান,
১৪.ন্যাপ ভাসানী- চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক,
১৫বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি- চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন,
১৬.ডেমোক্রেটিক লীগ- সভাপতি অলি আহাদ,
১৭.জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ- মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস,
১৮.বাংলাদেশ পিপলস লীগ- চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট গরীব নেওয়াজ
১৪ দলীয় জোট (আওয়ালীগ)
======================
১. আওয়ামী লীগ- শেখ হাসিনা
২. জাতীয় পার্টি (এরশাদ)-েএরশাদ
৩. ওয়ার্কার্স পার্টি, -মালিক রাশেদ খান মেনন
৪. জাসদ (ইনু), - হাসানুল হক ইনু
৫. সাম্যবাদী দল,- দিলীপ বড়ুয়া
৬. ন্যাপ (মোজাফফর),
৭. গণতন্ত্রী পার্টি,
৮. কমিউনিস্ট কেন্দ গণআজাদী লীগ-হাজী আব্দুস সামাদ
৯. গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি
১০. জাকের পার্টি
১১. ?
১২. ?
১৩. ?
১৪. ?
বাকীগুলার নাম খুজে পাই নাই ।
কেউ জানলে আপডেট দেন ।
এবার আপনারা বলেনতো উপরের কয়টা েদলকে অথবা কয়জন নেতাকে আপনারা চিনেন? িআমি ২/১ জনকে চিনি , আর ২ একটা দলকে জানি ।
শফিউল আলম প্রধান - খুনী ও মাতাল । কদি’ন আগের বিএনপির জনসভায় তিনি মাতাল হয়ে কি বক্ততা দিয়েছেলেন তাতো আপনারা জানেনই । একজন মদ্যপ, অর্ধপাগল আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এমপি , মন্ত্রী হবেন ! বাহ!
দিলীপ বড়ুয়া - বর্তমানের শিল্প মন্ত্রী বারবার নির্বচনে দাড়িয়ে জামানত হারিয়েছেন ।
প্রতি নির্বচনে তিনি গড়ে ২০০-এর মত ভোট পেয়েছেন । একসময় ঠিক মত খেতে না পারা এ বিপ্লবী এখন নাকি ৩০০ ডলার দামের টাই পরেন । যে মানুষ সারা জীবন রাজনিতিী করে আমদের মত অশিক্ষিত/নিরীহ/সরল একটি জাতির মাত্র ২০০ জনকে মোটিভেট করতে পারেন তিনি কি ভাবে আমাদের নেতা হন ? কি ভাবে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় শিল্পমন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থান ?
জোট ভূক্ত দলগুলোর বেশীর ভাগই এক আসনের বেশী পার্থী দিতে পারবেন না । ওয়ান ম্যান পার্টি । এবং নিশ্চিন্তে বলা যায় তারা জোট ভূক্ত না হলে এ জীবনেও নির্বচনে জিততে পারবেন না ।
বরং বারবার জামানত হারাবেন । হয়তো অনেকে জোট ভুক্ত হওয়ার জন্যই দল খুলেছেন । একটি দল খুলে বিনা পুজিতে বিশাল ব্যবসা - এমপি মন্ত্রী না হতে পারলেও কিছু না শুধূ অনেক কিছুই পাওয়া যাবে ।
তা হলে এদের জোট ভুক্ত করা হয় কেন ? এ প্রশ্নের উত্তর যদি কারো জানা থাকে প্লিজ জানাবেন্ ।
আমি নতুন একটি দল করতে যাচ্ছি ।
আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন এমনিতে নির্বাচন করলে আমার জামানত বাতিল হবেই , তবে আমি দিলীপ বড়ুয়ার চেয়ে বেশী ভোট পাবো । কিন্তু নির্বাচনে যাওয়ার দরকার কি? যে কোন একটা জোট ভুক্ত হয়ে যাবো । তার পর ....................
আপনারা কি বলেন ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।