আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাগর-রুনির পোস্টমর্টেমে ভূল(ভুল)

সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম সাগর-রুনির পোস্টমর্টেমে ভূল(ভুল) আমার ব্লগিং এর বয়স সাগর-রুনির মৃত্যুর চাইতে কম। সামু খুললেই চোখ পড়ে সাগর-রুনির দিকে। এখনে ওরা দুই জন অসীম কাল ঝুলবেন তা আশা করি না। তবে তাদের কে যারা যে উদ্দেশ্যে ঐখানে ঝুলাইসে, তারা যদি তাদের উদ্দেশ্যে দৃঢ় হয়, তবে সাগর-রুনি কে ঐখানে বহু কাল ঝুলতে হবে।

দ্বিতীয় বার পোস্টমর্টেমের আগের দিন বা ঐদিন(ঠিক মনে নাই),সং-বাদিক মুন্নির প্যেচাল শো তে প্রথম বার যে ডাঃ তাদের পোস্টমর্টেম করসে, তার ভূল আছে? কি নাই? তা নিয়া কৈফিয়ত দিতে ছিলেন। দেখে বারবার মনে হইতেসিলো একজন ডাঃ তাও আবার forensic medicine এর ডাঃ, কেমনে এত বলদ হয়? আমার দৃঢ় বিশ্বাস উনি forensic medicine এর লোক না। তার speciallity অন্য কোন বিষয়ের। ছাত্র জীবনে হয়ত লীগ করত, তাই তাকে দয়া কইরা ঢাকাতে থাকতে দেবার জন্যই এই খানে পস্টিং দেয়া হইসে অথবা উনি স্বাচিপ কে বিশাল টাকা ঘুষ দিয়া DMCH তে আছেন। সাংবাদিক ভাইরা একটু খোজ নিবেন কি? পুলিশ যে দোহাই দিয়া দ্বিতীয় বার পোস্টমর্টেম করল তা ছিল, সাগর-রুনির মধ্যে কে আগে মারা গেছে তা তারা বের করতে পারেনাই বা পোস্টমর্টেমে তা বের হয়ে আসে নাই বা তাদের মধ্যে কোন এক জন মৃত্যুর সময় intoxicated ছিল কিনা তা তারা জানতে পারে নাই, কারন পোস্তমর্টেমের সময় ভিসেরা পরিক্ষা করা হয় নাই।

আর এই জন্যই ডিবির সব investigation নাকি গুবলেট পাকায়া গেসে। যাই হোক ঐ ডাঃ বললেন, তার কাছে পুলিশ ভিসেরা রিপোর্ট বা blood এর chemical analysis চায় নাই। তাই তিনি এই গুলা করেন নাই। শুধু mood of death এবং possible cause of death বের কইরা ছাইরা দিসেন। বেকুবে কয় কি????!!! এই টা তো ট্রাক চালক আব্দুলকুদ্দুস, বাস চালক আব্দুলবাতেন আর আমাদের নৌ মন্ত্রি শাজাহান, প্রাক্তন বানিজ্য মন্ত্রি ফারুক সেও পারত।

তাইলে পুলিশ কষ্টো কইরা তোর কাসে নিসে কেন? সং-বাদিক মুন্নি তারপর তারে জিগাইলো, তার মানে পুলিশ না চাইলে আপনারা ভিসেরা রিপোর্ট বা blood এর chemical analysis এগুলো করেন না? ডাঃবেকুব তখন বলল, না, করি যদি বিষ পান বা বিষ প্রয়োগের চিহ্ন থাকে externally or internally । বেকুব টা ঠিকি বলসে কিন্তু বলতে ভুইলা গেসে যে ডাঃ যদি সন্দেহ করে যে এই খানে কোন ফাউল প্লে থাকতে পারে বা sign of struggle নাই, defense wound নাই কিন্তু brutally murdered সেই ক্ষেত্রে ও victim intoxicated ছিল কি না, তা পরিক্ষা করতে হবে। সাগর-রুনির মৃত্যুর দিন সকাল বা দুপুর থেকেই electronic media র কারনে সবাই জানে যে sign of struggle ছিলনা তাদের মৃত্যু স্থানে বা লাশের গায়ে । পুলিশের inquest report এ ও তা থাকার কথা। উল্লেখ্য যে পুলিশের inquest report এর কপি যিনি পোস্টমর্টেম করবেন(ডাঃ)তারও পাবার কথা।

এবং এই পুলিশের inquest report টে crime scene এবং লাশের প্রাথমিক একটা বর্ননা থাকে। ডাঃবেকুব কি কানা না বয়রা? নাকি উনি mentally retarded কোঠায় চাকরি পাইসেন? এখন দেখা যাক দ্বিতীয় বার পোস্টমর্টেমের উদ্দেশ্য কি এবং তা সফল হবার হার কি হইতে পারে? লাশ দুইটা তোলা হইসে প্রায় ৫০ দিন পর, সাধারনত আমাদের দেশে যে তাপমাত্রা , বাতাসের যে আর্দ্রতা, এবং যেহেতু মুসলিমদের সরাসরি মাটির contact এ কবর দেয়া হয় ( অর্থাৎ কোন কফিনে নয়) তাই লাশ গুলো খুবই খারাপ ভাবে পচে যাবার কথা, বিশেষ করে soft organ(such as liver, kidney, brain…etc) গুলো। আর liver, brain, blood, kidney এই গুলা থেকেই intoxicant chemical isolate and identify করার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। রক্তের কথা বলা হয় নাই, রক্ত নিজেই এত বেশি আর এত দ্রুত পচনশীল, যে রক্ত বলতে আলাদা কিছু পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয়না। তা ছাড়া latest way তে chemical analysis করে যদি সকল সম্ভাব্য chemical identify করা হয়, তা তারা কোর্টে প্রমান করবেন কিভাবে ……………. I have no idea !!!!!! কারন শরির পোচে মাটির ও শরিরের নিজের bacteria গুলা যে সব অদ্ভুত আদ্ভুত chemical synthesis করবে, তা থেকে ঐ specific একটা chemical আলাদা কি করতে পারবে বাংলাদেশের Lab গুলো? বা যদি ঐ specific chemical substance টা এত দিনে মাটির বা শরিরের bacteria দিয়ে lysis হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেই বা কি হবে? যদি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে সব পরিক্ষা সম্ভব না হয়, যদি বিদেশ পাঠানো হয় specimen, তবে আমার প্রশ্ন হল আমরা কি, যে নির্দিষ্ট Lab এ পাঠানো হবে, ওদের মেথড মেনে specimen collect করেছি? যদি না করে থাকি, ওরা আমাদের পুলিশ কে সাহায্য করবে কি? আর যদি করেও আদালতে যাবার পর কি হবে, দুর্বল সব প্রমানের? এখন হয়তো পাঠক confused হয়ে বলতে পারেন ১০,০০০ বছর পুরান লাশ থেকেও তো বিষ identify করা হয়, তাহলে এই ক্ষেত্রে হবেনা কেন? উত্তর হলঃ উত্তর ১) ঐ বিষ গুল সাধারনত চুল, নখ বা হাড় থেকে পাওয়া যায়, এবং ঐ গুলা chronic poisoning case(যেমন আমাদের দেশে arsenic এর কারনে যারা মারা যায় তাদের লাশের চুল, নখ বা হাড় থেকে অনেক বছর পরও arsenic compound পাওয়া যাবে মাত্রাতিরিক্ত পরিমানে)।

উত্তর ২) অথবা ঐ লাশ গুলা তুতান খামান এর লাশ এর মত well preserved. এবং যা দ্বারা preserve করা হয়ে ছিল তা গবেষক দের জানা। আরো কিছু importent কথা ঃ ১) এই ধরনের খুনের কাহিনিতে খুনি ধরা খুব difficult কারন খুনি নিজেই হয়ত খুনের বিচার চেয়ে আন্দলন করতেসে। ২) সাংবাদিক ভাইরা এই ঘটনার পর, শুধু মাত্র তাদের সহকর্মির মৃত্যু হইসে বইলা, crime scene এর উপর যেভাবে ঝাপায়া পড়লেন, তা কি উচিত কাজ হইসে? তাদের জ্ঞানতো এই সব ব্যাপারে সাধারন মানুষের চাইতে বেশী হবার কথা। ৩) এমন কি হইতে পারে না, যে খুনি পরদিন সকালে crime scene এ present ছিল এবং evidence destroy করসে? ৪) পুলিশ কি crime scene analysis কইরা এমন কোনই evidence পায় নাই যা নিয়া কাজ করা যায়, আগে বাড়া যায় ? ৫) কোন খুনের ঘটনায় যদি কোন crime reporter, criminal lawyer, police, coroner, secret service বা কোন medical doctor জড়িত থাকে, তবে কিন্তু তা খুজে বের করা খুব difficult(কারন খুব ব্যাপক, ব্যাক্ষা করতে পারবো না এখন) এই ক্ষেত্রেও কি তাই ঘটসে ? ৬) was this a perfect crime? so perfect that no one has any clue? শেষ কথা There is nothing called perfect crime. ইনশাল্লাহ Truth exposed হবেই। সত্য কখন চাপা থাকে না।

থাকবেও না ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশের পুলিশ RAB, DB, DGFI যদি fail করে তবে, খুনি নিজেই হয়তো একদিন বলবে আমিই খুন করসিলাম সাগর-রুনিকে। কিন্তু যদি এই রকম হয় সামুতে আর তত দিন হয়ত সাগর-রুনির ছবিটা থাকবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।