বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। সাবেক রেলমন্ত্রী দাদবাবু নিজের দুর্নীতি তদন্তে নিজেই কমিটি করে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল বলেন, ‘যার বিষয়ে তদন্ত হবে, সেই যদি তার তদন্ত কমিটি গঠন করেন, তাহলে বোঝা যায় তদন্ত কতটা স্বচ্ছ হয়েছে। ’
উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন কোন তদন্ত কমিটি করতে হলে যে দুর্নীতি করেছেন তার ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা ওই ব্যক্তির তদন্ত করতে পারেন।
আর আমরা দেশের মানুষরা দেখলাম যে কিভাবে নিজের দুর্নীতির প্রমাণ করতে নিজে নিজেই তার তদন্ত করেছেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। ’
তিনি আরো বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী তাকে আবারো মন্ত্রিত্ব দিলেন। রেজিকনেশন অনুযায়ী রেলমন্ত্রী রিজাইন করলেন আর প্রধানমন্ত্রী তার দায়িত্ব নিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রেলমন্ত্রীও দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। ’
রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, দেশের সকল মানুষ যে মুহূর্তে দুর্নীতি, দুঃশাসানের প্রতিবাদে রাজপথে অবস্থান নিলো, বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী গুম হলেন।
জনগণের দাবি তেল, গ্যাস ও পানির দাবিতে আন্দোলন করবে, ঠিক সেই সময় আন্দোলকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সরকার গাড়ি পোড়ানোর নাটক করল।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ দল। এই দলের লাখ লাখ নেতা । কাকে রেখে কাকে গ্রেপ্তার করবে সরকার। নেতাদের গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে আন্দোলন থামানো যাবে না।
এরআগে হরতালের সমর্থনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট দিয়ে বাইরে বের হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে মিছিলটি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে মাজার গেট হয়ে আপিল বিভাগের সামনে দিয়ে মুলগেটের হয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যেতে চাইলে মুল গেটেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতায় রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আশরাফুজ্জামান, মির্জা আল মাহমুদ প্রমুখ।
বিএনপির হরতালের মধ্যে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একটি মামলার শুনানি হয়েছে। তবে হাইকোর্টের বেশ কয়েকটি বেঞ্চ বসলেও আইনজীবী না থাকায় কোন শুনানি হয়নি।
অন্যদিকে পুরাতন হাইকোর্টে স্থাপিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২- এ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুল আলিম, কামারুজ্জামান ও সালাহউদ্দিন কাদেরের মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু সকালে তাদের আইনজীবীরা উপস্থিত না থাকায় চারজনেরই শুনানি রোববার পযন্ত পিছিয়েছে। (সূত্্র : রিয়েল টাইম নিউজ নেটওয়াক্)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।