আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই সেই জানোয়ার যাকে আমার নবম শ্রেণী পড়ুয়া বোনকে উত্তক্ত করার অপরাধে ধরে উত্তম মধ্যম ও নাকে খত দিয়েছিলাম। গতকাল পুলিশ তাকে এরেস্ট করেছে অন্য একটি মেয়ের একটি কান ও চারটি আঙ্গুল কেটে নেবার অপরাধে।

দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি / যাহা আসে আজ কই তাহা মুখে ঘটনা আজ থেকে বছর চারেক আগের। এক বখাটে আমার ছোট বোনকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে খুবই উত্তক্ত করত, এমনকি ওর পিছু পিছু আমাদের বাড়ির কাছাকাছি পর্যন্ত চলে আসত। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে ও আমার ভাই অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ে। আমি বাড়ি যাবার পর ঘটনা শুনে দুই ভাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই কিছু একটা করতে হবে। আমরা প্রথমে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনি।

কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানে ব্যর্থ হয়। একদিন সন্ধ্যায় ওই বখাটে একজন সঙ্গী সহ আমাদের বাড়ির আশপাশে সাইকেল নিয়ে ঘুরঘুর করছিল। আমরা দুই ভাই মিলে তাদের দুইজনকে ধাওয়া দেই এবং ধরে একটি ঘরে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেশ ভাল মত উত্তম মধ্যম দেই। এরপর তাদের বাবা মাকে খবর দেই। তারা তাদের এলাকার কিছু মুরব্বীদের নিয়ে এসে ওই ছেলেদের নাকে খত (আমাদের বাড়ি থেকে রাস্তা পর্যন্ত ঘাড় ধরে নাক মাটিতে চেপে টেনে হিচড়ে বের করে আনি) ও মুচলেকা দিয়ে তাদের ছেলেকে নিয়ে যায়।

এরপর সে আর আমাদের বোনের দিকে তাকানোর সাহস করে নি। কিন্তু গতকাল সে দশম শ্রেণী পড়ুয়া অন্য একটি মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একটি কান ও হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে নিয়েছে। পুলিশ ইব্রাহিম নামের ওই বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে। বিডিনিউজ২৪.কম এ সে খবর গতকাল রাত্রেই এসেছে। কিন্তু আমি অবাক হ্লাম দৈনিক প্রথমআলো কেন সংবাদটি এখনো প্রকাশ করে নি।

ঘটনা যে সত্য তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ পত্রিকায় আসার আগেই আমার ছোট বোন ও আম্মা ফোন করে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।