গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত পর পর দুটি ছবি দিয়ে অস্কারে সেরা পরিচালক হয়েছেন তিনি।
সেই ছবি দুটোর কথা আসুন জানা যাক _
দ্য গ্রেপস অব রেথ
মুক্তি : ১৯৪০
দৈর্ঘ : ১২৮ মিনিট
রঙ : সাদাকালো
দেশ : আমেরিকা
ভাষা : ইংরেজি
পরিচালনা : জন ফোর্ড
প্রযোজনা : ডেরিল এফ জানুক
চিত্রনাট্য : জন স্টাইনবাইক
অভিনয় : হেনরি ফন্ডা, জেন ডারওয়েল, জন কারাডাইন, চার্লি গ্রাফউইন, ডরিস বোডন
সঙ্গীত : আলফ্রেড নিউম্যান
চিত্রগ্রহণ : গ্রেগ টোলান্ড
সম্পাদনা : রবার্ট সিম্পসন
কাহিনী সংক্ষেপ : জন স্টাইনবাইকের দীর্ঘ উপন্যাস থেকে বোনা হয়েছে এ ছবির গল্প। টম জোড দীর্ঘদিন সাজা ভোগ করার পর জেল থেকে ছাড়া পায়। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখে তীব্র ধূলা ঝড় আর কয়েক বছরের অনাবাদে তাদের জমি নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এক সময়ের সবুজ খামার এলাকা এখন মরুভূমির মতো রুক্ষ্ণ।
এই খামারেই সে তার মা-বাবাকে খুঁজে পায়। কিন্তু তারা এই এলাকা ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ার চলে যাওয়ার প্রস্ত্ততি নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে যাত্রা শুরু করে আরও অসংখ্য কৃষক। যাত্রা পথেই দারিদ্র, অসহায়ত্ব স্বচোক্ষে দেখে টম জোড। অভুক্ত শিশুদের ক্রন্দন, অসহায় কৃষকদের হতাশা.. এই সব নিয়েই তারা এক নতুন ভূমির আশায় এগুতে থাকে।
কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়াতে কি তারা খুঁজে পাবে স্বপ্নের ঠিকানা, সে প্রশ্ন রয়েই যায়।
বিশেষত্ব : পুলিৎজার বিজয়ী উপন্যাস গ্রেপস অব রেথ আমেরিকার শ্রেষ্ঠ একটি সাহিত্যকর্ম। সেটিকে কেন্দ্র করে কালজয়ী নির্মাতা জন ফোর্ড তৈরি করেছেন এপিক এই ছবি। আমেরিকান অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছবি হিসাবে এটি স্বীকৃত। হলিউডের ছবি মানেই প্রেম, মার-দাঙ্গা কিংবা জাকজমক আর জৌলুস, কিন্তু এই ছবির মাধ্যমে জন ফোর্ড হলিউডি ছবিতে দারিদ্রে আর মানবিকতাকে ঠাঁই দিয়েছেন বিশেষ মহিমায়।
সাধারণ কৃষকদের স্বপ্ন ও আশাকে সাদাকালো এই ছবিতে তথ্যচিত্রের একনিষ্ঠতায় তুলে ধরা হয়েছে। টম জোড চরিত্রে হেনরি ফন্ডা আর মা চরিত্রে জেন ডারওয়েলের অভিনয় স্মরণ রাখার মতো। অস্কারে জেন ডারওয়েল সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী আর পরিচালক জন ফোর্ড সেরা নির্মাতার পুরস্কার পান। ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস এই চলচ্চিত্রকে ‘সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক অথবা নন্দনতাত্ত্বিক গুরত্বের কারণে’ সংরক্ষণের দায়িত্ব নেয়। ২০০৬ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিট্যুট সর্বকালের সেরা প্রেরণাদায়ী শত ছবির তালিকায় এটি ৭ নম্বরে ঠাঁই দেয়।
এবং ২০০৭ সালে একই সংস্থা সর্বকালের সেরা ছবির তালিকায় এটিকে ২৩তম স্থানে ঠাঁই দেয়।
বিশেষ তথ্য :
১. শুটিং চলাকালে ছবির নাম ছিলো হাইওয়ে ৬৬। মূল ছবির নাম গোপন রাখা হয়েছিলো যাতে আগে থেকেই কোন বিতর্ক’র সৃষ্টি না-হয় এবং ইউনিয়ন কোন ঝামেলা না-করে।
২. জন স্টাইনবেক ছবিটি খুব পছন্দ করেছিলেন। বিশেষ করে টমের চরিত্রে হেনরি ফন্ডার অভিনয় দেখে বলেছিলেন, ‘ও আমার লেখার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলো।
’
৩. পরিচালক জন ফোর্ড এ ছবির সব অভিনেতার জন্যেই সব ধরণের মেকআপ এমনকি পারফিউম ব্যবহার করাও নিষিদ্ধ করেছিলেন। তার মতে, এসব জিনিস এই ছবির ধরণের সঙ্গে মানায় না।
৪. বিদেশি দর্শকের জন্যে জন ফোর্ড ছবিতে একটি পূর্বকথা যোগ করেছিলেন যেখানে ওকলোহামার ধুলি ঝড় এবং তারফলে সৃষ্ট ধ্বংস যজ্ঞ সম্পর্কে তথ্য আছে।
৫. সে সময় এ ছবির বাজেট ছিলো সাড়ে সাত লক্ষ ডলার।
৬. মূল উপন্যাসের সমাপ্তিটা খুবই বিতর্কিত ছিলো।
১৯৪০ সালে তৈরি ফিল্মের জন্য যা মোটেও উপযোগী ছিলো না। মূল উপন্যাসে দেখা যায় এক নারী সদ্য সন্তান প্রসবের পর এক ক্ষুধার্ত মৃতপ্রায় ব্যক্তিকে তার বুকের দুধ দিচ্ছে।
৭. সেই সময়ের অনেক তারকার মতোই হেনরি ফন্ডা চেয়েছিলেন স্টুডিও-এর সাথে কোন রকম চুক্তি না করতে। কিন্তু এই ছবি এবং চরিত্রটি তার এতো পছন্দ হয় যে তিনি টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সাথে স্বানন্দে চুক্তিপত্র করেন। তিনি বুঝেছিলেন, এই এক ছবিই তার জীবনে একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে।
প্রযোজক জানুকও জানতে যে কোন মূল্যে ফন্ডা এই ছবি করতে চায়। তাই তিনি টাইরোন পাওয়ারকে এই চরিত্র দেয়ার কথা বলেন, তখন ফন্ডা ছুটে এসে জানুককে অনুরোধ করতে থাকে। এই সুযোগে তিনি ফন্ডাকে ৮টি ছবির জন্যে চুক্তিবদ্ধ করে নেন।
৮. উপন্যাসের স্বত্ত্ব কিনতে প্রযোজক জানুক লেখক স্টাইবেককে এক লক্ষ ডলার দিয়েছিলেন। সেই সময়ের বিবেচনায় কোন উপন্যাসের চলচ্চিত্র স্বত্ত্ব কেনার ক্ষেত্রে এটি একটি বিরাট অংক ছিলো।
শুধু তাই নয়, এই টাকা নেয়ার পরও লেখক শর্ত দিয়েছিলেন, পরিচালক যেন তার উপন্যাসকে যথাযথ সম্মান দেখায় এবং যথার্থতার সাথে সব কিছু চিত্রায়িত করে।
৯. নানা সাবধানতার পরও ম্যাককার্থিবাদীরা জন স্টাইবেক ও জন ফোর্ডের বিরুদ্ধে কমিউনিস্টদের সাথে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ করেছিলো।
১০. জোসেফ স্টালিন ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে এ ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত করে। কারণ হিসাবে দেখায়, ছবিতে দেখানো হয়েছে যে এমনকি দরিদ্রতম মার্কিন ব্যক্তিও গাড়ি চালাতে সক্ষম।
১১. প্রযোজক জানুক শুধু অর্থ লগ্নিই করেননি, সব অর্থেই এ প্রযোজনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
এমনকি চিত্রনাট্য তৈরি, অভিনেতা নির্বাচনা, সম্পাদনা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও তিনি মতামত রেখেছেন। জন ফোর্ড সাধারণত তার ছবিতে প্রযোজকের এতোটা আধিপত্য কখনোই মেনে নেননি, কিন্তু জানুকের ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্বাধীনতা নিয়েছেন। এমনকি জানুক যখন ফন্ডাকে উপদেশ দেয় ছবির শেষটা একটু উচ্চকিত করতে তখন মা জোডের ‘উই আর দ্য পিপল’ স্বগোতোক্তিটি যোগ করা হয়। শুধু তাই নয়, ফোর্ড এই দৃশ্যটির নির্দেশনা দেয়ার জন্য জানুককে অনুরোধ করেন।
১২. হেনরি ফন্ডা ছবিতে ব্যবহার করা হ্যাটটি জীবনভার নিজের কাছে রেখেছেন।
মৃত্যুর আগে তিনি প্রিয় বান্ধবী জেন উইদার্সকে এই হ্যাটটি উপহার দিয়ে যান।
১৩. হেনরি ফন্ডা এই ছবির জন্যে অস্কারে সেরা অভিনেতার জন্যে মনোনয়ন পান ১৯৪০ সালে। এর ৪১ বছর পরে ১৯৮১ সালে তিনি সেরা অভিনেতা হিসাবে আবার মনোনয়ন পান অন দ্য গোল্ডেন পাম ছবির জন্যে। সেরা অভিনেতা হিসাবে মনোনয়ন পাওয়ার দীর্ঘতম বিরতির রেকর্ড এটি। অবশ্য মাঝখানে ১৯৫৭ সালে টুয়েলভ এংগ্রিম্যান ছবির জন্য তিনি প্রযোজক হিসাবে মনোনয়ন পান।
হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি
মুক্তি :১৯৪১
দৈর্ঘ : ১১৮ মিনিট
রঙ : সাদাকালো
দেশ : আমেরিকা
ভাষা : ইংরেজি, ওয়েলস
পরিচালনা : জন ফোর্ড
প্রযোজনা : ডেরিল এফ জানুক
চিত্রনাট্য : ফিলিপ ডুনে
অভিনয় : ওয়াল্টার পিডজিয়ন, মরেন ও’হারা, আনা লি, ডোনাল্ড ক্রিপস, রডি ম্যাকডোয়েল
সঙ্গীত : আলফ্রেড নিউম্যান
চিত্রগ্রহণ : আর্থার সি মিলার
সম্পাদনা : জেমস বি ক্লার্ক
কাহিনী সংক্ষেপ : ইউনিয়ন হওয়ার পূর্ববর্তী খনি শ্রমিকদের জীবনকে সহানুভূতি আর আবেগ দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে এ ছবিতে। রিচার্ড লিওলেনের উপন্যাস নির্মিত এ কাহিনীতে ওয়েলসের খনি এলাকার কঠিন আর রুক্ষ্ম জীবনকে তুলে ধরা হয়েছে। মর্গান পরিবারের জন্যেও তা ব্যতিক্রম নয়। পরিবারের প্রধান গুইলিম এবং তার সন্তানেরা অস্বাস্থ্যকর আর বিপদজনক পরিবেশে খনিতে কাজ করে। গুইলিম আশা করে তার ছোট পুত্র হাউ-এর জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
সে সন্তানকে শেখায় কীভাবে জীবন ও বড়দের সম্মান করতে হয়। কিন্তু জীবন সম্পর্কে হাউ-এর ভাবনা ভিন্নতর। ছয় ভাই এক বোনের এই বিশাল পরিবারের কোন উজ্জ্বল ভবিষ্যত হাউ-এর চোখে ধরা পড়ে না। এই সবুজ উপত্যকার সবচেয়ে সুন্দরী হলো তার বোন আংহার্ড। সে প্রেমে পড়ে মিস্টার গ্রুফেডের।
কিন্তু গ্রুফেড নিজেও জানে প্রিয়তমাকে সে দারিদ্রহীন, স্বচ্ছল জীবন দিতে পারবে কি না। জীবন ক্রমশ আরও দূরহ হয়ে ওঠে এখানে। সবুজ উপত্যকা ছেড়ে কারখানার ধোঁয়ায় ঘেরা শহরের দিকে যেতে হয় জীবনের টানেই। প্রিয় ভূমি ছেড়ে দূরে যাওয়ার কালে হাউ-এর ফ্ল্যাশব্যাকের মাধ্যমে নস্টালজিক গল্পটি ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে।
বিশেষত্ব :
পর পর দুই বছর জন ফোর্ড অস্কারে সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতার পুরস্কার ছিনিয়ে নেয় গ্রেপস অব রেথ (১৯৪০) এবং হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি (১৯৪১) ছবির জন্য।
অস্কারে দশটি মনোনয়ন পাওয়ার পর সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা সহঅভিনেতা, সেরা সাদাকালো চিত্রগ্রহণ এবং সেরা সাদাকালো শিল্প নির্দেশনা - এই পাঁচটি পুরস্কার পায় এ ছবি। সিটিজেন কেন, দ্য মালটিস ফালকন, সাসপিসিয়ন এবং সার্জেন্ট ইয়র্ক - এর মতো ছবিকে বাদ দিয়ে এটি অস্কারে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নেয়। নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস এওয়ার্ডেও জন ফোর্ড সেরা নির্মাতার পুরস্কার পান। আর্জেন্টাইন ফিল্ম ক্রিটিকস এওয়ার্ডে এটি সেরা বিদেশি চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়। ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে এই চলচ্চিত্রকে ‘সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক অথবা নন্দনতাত্ত্বিক গুরত্বের কারণে’ সংরক্ষণের দায়িত্ব নেয়।
বিশেষ তথ্য :
১. ছবিটি ব্রিটেনের ওয়েলসেই শুট করার কথা ছিলো, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে মালিবু’র কাছে সান্তা মোনিকা পাহাড়ের উপকুলে প্রায় ৮০ একর জায়গা জুড়ে বিশাল সেট তৈরি করা হয়।
২. ছবিটি সাদাকালোতে চিত্রায়িত করা হয় কারণ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ফুলের সাথে ওয়েলসের ফুলের রঙ মিলছিলো না।
৩. প্রযোজক জানুক চেয়েছিলেন এটিকে চার ঘণ্টার এপিক ছবি বানাতে, যাতে করে গন উইথ দ্য উইন্ডের সাথে পাল্লা দেয়া যায়। শুরুতে পরিচালক হিসাবে উইলিয়াম ওয়েলারকে এবং লরেন্স অলিভারস ও ক্যাথারিন হ্যাপবার্নকে অভিনেতা হিসাবে ভাবা হয়েছিলো।
৪. মাত্র দুই মাসের মধ্যে এই ছবির চিত্রায়ণ শেষ হয়।
৫. জন ফোর্ড চিত্রনাট্যকার ফিলিপ ডুনেকে চিত্রনাট্য সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘একটা চিত্রনাট্য যতোটা নিঁখুত হতে পারে এটা ততোটাই হয়েছে। ’
৬. শুধু উপন্যাসের স্বত্ত্ব কিনতে তিন লাখ ডলার ব্যয় করেছিলেন ডেরিল এফ জানুক।
৭. পুরুষ কণ্ঠের প্রতিটি গানই যথার্থভাবে ওয়েসের সুর ও উচ্চারণে রেকর্ড করা।
৮. ১৯৪২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর লাক্স রেডিও থিয়েটার এটিকে ৬০ মিনিটের একটি বেতার প্রযোজনা হিসাবে প্রচার করে, এখানে ওল্টার পিডজিয়ন, ডোনাল্ড ক্রিপস, মরিন ও হারা, রনি ম্যাকডোয়েল এবং সারা এলগুড মূল ছবির চরিত্রেই অভিনয় করেন।
১৯৪৭ সারের ৩১ মার্চে লাক্স রেডিও থিয়েটার আবার ৬০ মিনিটের আরেকটি প্রযোজনা করেন। এখানে অবশ্য মূল অভিনেতাদের মধ্যে একমাত্র ডোনাল্ড ক্রিপসকে পাওয়া যায়। ১৯৬০ ও ১৯৭৫ সালে বিবিসি দুইবার এই একই উপন্যাস থেকে নাট্যরুপ প্রচার করে।
৯. একটি দৃশ্যে দেখা যায় খনি শ্রমিকরা তাদের প্রিয় নারীদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করছে, এটি করতে গিয়ে নারীরা তাদের ঝুড়িতে কানের দুল রাখছে। এই দৃশ্যটি করতে গিয়ে মরিন ও হারা’ লক্ষ্য করে তার ঝুড়িটি আধুনিক আদলের, সে সময়ের না।
তাই সে চিত্রায়ণ বন্ধ রাখে। সবার সামনে এই ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য পরিচালক জন ফোর্ড বিরক্ত হন। তিনি চিত্রায়ণ বন্ধ করে দেন এবং ও হারা'কে দূরের একটি পবর্তে পাঠিয়ে বলেন, যতোক্ষণ না ডাকা হয় ততোক্ষণ যেন না আসে। এক ঘণ্টা পরে তাকে ডাকা হয় এবং সে এসে দেখে তার ঝুড়িটি ইতোমধ্যেই পাল্টানো হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।