জগৎ পারাবার তীরে শিশুরা করে খেলা
বান্টু সিং নামে অল্প শিক্ষিত ভারতীয় এক ঠিকাদার একবার একটা কাজে অনেক লাভ করে ফেলল। সে সময় কাটানোর জন্য থাইল্যান্ড ভ্রমনের সিদ্ধান্ত নিল। দুপুরে লাঞ্চের পর সে পাতায়া বীচে একটা বেড এ রেস্ট নিচ্ছিল। এমন সময় রেস্টুরেন্ট থেকে এসে এক অল্পবয়সী মহিলা তাকে জিজ্ঞাস করল “আর ইউ রিলাক্সিং?”। বান্টু সিং রিলাক্সিং শব্দের অর্থ জানত না।
সে মনে করল ‘রিলাক্সিং’ কারো নাম। সে বলল “নো আই এম বান্টু সিং, থ্যাংক ইউ”। ঐ মহিলা কিছুটা অবাক হয়ে চলে গেল। কিছুক্ষন পর অন্য আরেকজন মহিলা তাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাস করল। সে একই ভাবে “নো আই এম বান্টু সিং, থ্যাংক ইউ” বলে বিদায় দিল।
প্রকৃতপক্ষে ওয়েটার মহিলাগণ কারো সাথে কথা বলার আগে তার রিলাক্স করছে কিনা তা জেনে নেয়। যারা রিলাক্স করছেনা তাদেরকে অন্য কোন সার্ভিস অফার করা হয়। আর রিলাক্স করলে তাদেরকে বিরক্ত করা হয়না। যাইহোক বীচপাড় বেডে যখন সে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন তখন তাকে ৩য় বারের মত বিরক্ত করতে আসে আরেক মহিলা। সে মহিলাকে আগের মত বিদায় করে দিয়ে ঘটনার একটা বিহিত করার জন্য বেড থেকে উঠে পড়ে।
বান্টু সিং রিলাক্সিং নামের লোককে মনে মনে খুজতে থাকে। কাছেই এক বেডে মধ্যবয়সী এক লোক হাফপ্যান্ট পড়ে শুয়ে আছে। এমন সময় এক অল্পবয়সী মহিলা তাকে জিজ্ঞাস করল “আর ইউ রিলাক্সিং?”। তো মধ্যবয়সী লোকটি উত্তর দিল “ইয়েস আই এম রিলাক্সিং”। আর যায় কোথায়।
বান্টু সিং একেবারে লোকটির থুতনিতে গিয়ে ধরল। বলল “তুই বেটা রিলাক্সিং এখানে বইসা আরাম করস। আর আমাকে সেই দুপুর থেকে ওরা ডিস্টার্ব করতাসে”। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।