আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নবী রাসুল ছাড়া কাউকে মহামানব বলা যায় না

পঙ্খিরাজে চাদেঁর দেশে প্রথম আলোর ১১ মে প্রকাশিত ‘দেয়াল` হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিতব্য রাজনৈতিক উপন্যাস। এ উপন্যাসের পটভূমি ১৯৭৫ সালে ঘটে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য রাজনৈতিক ঘটনা। শিশু রাসেল কে হত্যার বর্ননায় অমিল পাওয়ায় অনেক ক্ষুব্ধ। যদিও সেই রাতের সব হত্যাকান্ডের কোন ভিডিও চিত্র নাই। দু,এক জনের খন্ডচিত্রের মত বলা ঘটনা।

কারো পক্ষে সব দেখা তখন সম্বভ ছিল না। তাই বর্ণনায় কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু হুমায়ূন আহমদ মহামানব বলে শেখ মুজিবুর রহমান কে বলতে পারেন না। তাতে মহামানব নবী রাসুলদের অপমান করা হয়। কারণ বঙ্গবন্ধু তো দূরে দুনিয়ার কোন ওলী আওলিয়াও মহামানবদের পায়ের আঙ্গুলের সমান নয়।

এই শব্দ নিয়ে সবচেয়ে বির্তক হওয়া উচিত ছিল। আদালতের চোখ কোন দিকে? সরকারকে খুশি না মহান আল্লাহকে খুশি? সরকার খুশি হলে তা তারা করতে পেরেছেন। নতুবা লেখকের এই ভুল না ধরিয়ে দেয়ার জন্য আদালতকেও একদিন মহান আল্লাহর আদালতে জবাব দিতে হবে!!!!!! এ উপন্যাসের দুটি অধ্যায় এখানে ছাপা হলো। ``এর একটি অংশে বলা হয়, ``ঢাকা মসজিদের শহর। সব মসজিদেই ফজরের আজান হয়।

শহরের দিন শুরু হয় মধুর আজানের ধ্বনিতে। আজান হচ্ছে। আজানের ধ্বনির সঙ্গে নিতান্তই বেমানান কিছু কথা বঙ্গবন্ধুকে বলছে এক মেজর, তার নাম মহিউদ্দিন। এই মেজরের হাতে স্টেনগান। শেখ মুজিবের হাতে পাইপ।

তাঁর পরনে সাদা পাঞ্জাবি এবং ধূসর চেক লুঙ্গি। শেখ মুজিব বললেন, `তোমরা কী চাও? মেজর বিব্রত ভঙ্গিতে আমতা-আমতা করতে লাগল। শেখ মুজিবের কঠিন ব্যক্তিত্বের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। শেখ মুজিব আবার বললেন, তোমরা চাও কী?` মেজর মহিউদ্দিন বলল, ‘স্যার, একটু আসুন। ’ ‘কোথায় আসব?’ মেজর আবারও আমতা-আমতা করে বলল, ‘স্যার, একটু আসুন।

’ শেখ মুজিব বললেন, ‘তোমরা কি আমাকে খুন করতে চাও। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে কাজ করতে পারেনি, সে কাজ তোমরা করবে?’ ‘এই সময় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে ছুটে এল মেজর নূর। শেখ মুজিব তার দিকে ফিরে তাকানোর আগেই সে ব্রাশফায়ার করল। সময় ভোর পাঁচটা চল্লিশ। বঙ্গপিতা মহামানব শেখ মুজিব সিঁড়িতে লুটিয়ে পড়লেন।

তখনো বঙ্গবন্ধুর হাতে তাঁর প্রিয় পাইপ। বত্রিশ নম্বর বাড়িটিতে কিছুক্ষণের জন্য নরকের দরজা খুলে গেল। একের পর এক রক্তভেজা মানুষ মেঝেতে লুটিয়ে পড়তে লাগল। ’ ‘বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধূ তাঁদের মাঝখানে রাসেলকে নিয়ে বিছানায় জড়াজড়ি করে শুয়ে থরথর করে কাঁপছিল। ঘাতক বাহিনী দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকল।

ছোট্ট রাসেল দৌড়ে আশ্রয় নিল আলনার পেছনে। সেখান থেকে শিশু করুণ গলায় বলল, তোমরা আমাকে গুলি কোরো না। ’ ‘শিশুটিকে তার লুকানো জায়গা থেকে ধরে এনে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হলো। এরপর শেখ জামাল ও শেখ কামালের মাত্র কিছুদিন আগে বিয়ে হওয়া দুই তরুণী বধূকে হত্যার পালা। ’ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।