আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ডাকা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শাবিপ্রবির সহায়ক কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়ন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছে।

D:\Picnic-2010\503.jpg আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ডাকা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শাবিপ্রবির সহায়ক কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়ন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছে। কর্মচারীদের এ কর্মসূচীর ফলে শাবিপ্রবির প্রশাসনিক স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ১৫ ও ১৬ মে-২০১২ তারিখে অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালনের ডাক দেয়। এর আগে উক্ত দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ২৯/০৪/২০১২ তারিখে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেটের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও কর্মসূচীর প্রথম দিন অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।

১৬ মে ২০১২ তারিখেও একইরকম কর্মসূচী পালিত হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক কর্মচারী ও কর্মচারী ইউনিয়েনের নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দিয়েছেন। দাবী আদায় না হলে পরবর্তীতে আরোও কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলেও নেতৃবৃন্দসহ সবাই একমত হয়েছেন। আন্ত: বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ৭ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে: দাবী ০১। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের স্বতন্ত্র পে-স্কেল দিতে হবে। দাবী-০২।

সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের চাকুরির বয়স সীমা ৬০ বছর থেকে ৬৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। দাবী-০৩। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী আর্থিক সুবিধাসহ শর্তপূরণের দিন থেকে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। দাবী-০৪। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সন্তান (পোষ্যদের) ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করলেই স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।

দাবী-০৫। আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের বার্ষিক অনুদান ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দিতে হবে। দাবী-০৬। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেটসহ কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সকল কমিটিতে কর্মচারীদের প্রতিনিধি রাখতে হবে। দাবী-০৭।

কোন কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী শেষে পেনশনের অর্থ দুই/তিন কিস্তিতে প্রদান করা হয়। সেক্ষেত্রে কিস্তিতে প্রদান না করে প্রত্যেকের জন্যই পেনশনের অর্থ এককালীন প্রদান করার জন্য জোর দাবী জানানো হয়। শাবিপ্রবির সহায়ক কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়ন একয়োগে এই কর্মসূচী পালন করছে। এই কর্মসূচীর প্রতি শাবি অফিসার্স এসোসিয়েশনও একাত্মতা ঘোষণা করেছে। শাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মহোদয়ও এ সকল ন্যায্য দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

কর্মসূচী পালনকালে সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে বিভিন্ন সময়ে তাঁদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। এসময় কেউ কেউ তাঁদের বক্তব্যে বলেন- শিক্ষক/কর্মকর্তাদের পদোন্নতির যোগ্যতা পূরণ হওয়ার সাথে সাথে পদন্নোতি পেয়ে যান, অথচ কর্মচারীদের বেলায় পদোন্নতি পাবার যোগ্যতা পূরণ হলেও সময়মত পদন্নোতি হচ্ছে না। নানান টালবাহানা দেখিয়ে শাবি প্রশাসন কর্মচারীদের পদোন্নতি ঝুলিয়ে রাখছে। এতে কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

উদাহরণ হিসেবে এসময় একজন বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী পদে লোক বিদ্যমান থাকা অবস্থাতেই তাড়াহুড়া করে উক্ত পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কর্মচারীদের পদোন্নতি দিনের পর দিন ঝুলে আছে। জাতির বিবেক হিসেবে পরিচিত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীটের একটি শাবিপ্রবিতে এরকম বৈষম্যমূলক আচরণ কোন অবস্থাতেই কাম্য হতে পারে না। ভবিষ্যতে যাতে আর এরকম বঞ্চনার স্বীকার হতে না হয় সেজন্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানানো হয়। একই সাথে শাবি প্রশাসনকে দাবী মেনে নেয়া এবং ভবিষ্যতে কর্মচারীদের সাথে কোন বৈষম্যমূলক আচরণ না করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।

অচিরেই শাবিপ্রবির সহায়ক কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়ন সকল দাবী-দাওয়া পূরণ হবে বলে আমরা আশা রাখছি। কর্মসূচীর কার্যক্রম পরিচালনা করেন জনাব আব্দুর রহমান মুনসী। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।