নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!! মেধা + সামর্থ্যে কুলোলে এখনি দেশত্যাগ কর। এতে লাভ তোমার, তোমার পরিবারের ও বাংলাদেশের সবার। অনেক সুশীল বলবে, এরে! ব্রেন ড্রেন হয়ে গেল! বলি- দু:শ্চিন্তা করোনা! এর পরও কোটি ব্রেন এদেশের ড্রেনে থেকে যাবে। নালা নর্দমায়।
এদেশে স্নাতক পর্বে কোথায় ভর্তি হতে পারবে তা অনিশ্চিৎ! হতে পারলেও কোর্স শেষ হবে কবে? হলেও জীবিত ঘরে ফিরে যেতে পারবে? পারলেও হাত পা নিয়ে, না কোনটা ছাড়া? পারলেও আদৌ কি কোন চাকুরি পাবে? পেলেও তাতে নিয়মমাফিক ক্যারিয়ার গ্রোথ হবে কি? হলেও প্রাপ্ত অর্থে সংসার চলবে কি? এ ধরনের অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলবে বাঙ্গালী মেধাবী নাগরিকের জীবন-যৌবন!
বরং চেস্টা করো উন্নত দেশের প্রথম থেকে মধ্যম সারির বা অনুন্নত দেশের প্রথম সারির কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে।
মনে রেখ, পৃথিবীর ১ম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনটাই বাংলাদেশে নয়! বোধ করি ১০০০ টির লিস্ট টানলেও কোনটা আসবে না। সুতরাং নিশ্চিন্তে দেশত্যাগ করো।
কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে এমন সবদেশ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কিছু স্কলারশীপ দেয়। অসাধারন ফলাফলের ভিত্তিতে অনেক ইউনিভার্সিটিও স্কলারশীপ (ফুল/হাফ/সিকি..) দেয়। এসব না পেলে গৌরিসেনের পয়সায়! তবু সপ্নকে Buet, IBA, DMCর দিগন্তের দেয়ালে বেঁধে রেখ না।
১৯ বছর বয়সে বিদেশ গিয়ে ২৩ বছরে স্নাতক করে আরো ৫ বছর এক্সপেরিমেন্ট করা যাবে। এদিকে ২৮ এ মাস্টার্স করতে না করতে বিসিএস এজ অভার! তারপর বেকার!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।