আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২৩ নম্বর সীট

“আমার চৈতিকে এনে দাও। আমি সব কিছু খাব। কাউকে মারব না, গ্রীলে মাথা ভাঙ্গব না, কিছুই করব না। ” “ঠিক আছে চৈতিকে এনে দেব, আগে খা। ” “না, আমি খাব না।

চৈতিকে খাইয়ে দিতে বল। ” “সে একটু দূরে গেছে। কাল সকালেই চলে আসবে। ” “তাইলে কাল সকালেই খাব। ” “আমার লক্ষ্মী সোনা খাও।

” “আমি লক্ষ্মী সোনা না, দুষ্টু ছেলে। ” “ঠিক আছে আগে খা। ” “বললামতো, কাল সকালে খাব। ” অশোককে কোন মতেই খাওয়ানো সম্ভব হলো না। সকালের কলোরবে আশোকের ঘুম ভাঙ্গল যে চৈতি এসেছে।

অশোকের মন খুব খুশি দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়াল। কিন্তু চৈতিকে দেখে হঠাৎ করে থমকে গেল। চৈতি অশোকের হাত ধরল। অশোকের সারা শরীর শিহরণে কেঁপে উঠল। চৈতি বলল, “কি হলো এসো।

” আশোক চৈতির পিছনে পিছনে রুমে প্রবেশ করল। রুমে যেন তার প্রবেশ করতে ইচ্ছে করল না। তবু চৈতির ভয়ে ঢুকল। যদি আবার চলে যায়। চৈতি খাবার মুখে তুলে, “খাও।

কি হলো? খাবে না? চলে যাব?” অশোক চোখ বড় বড় করে খেয়ে চলল। যেন সাপে ব্যাঙ গিলছে। মাঝে মাঝে গলা ফুলে উঠছে। তবু খেয়ে চলল। চৈতি আসাতে অশোক যেন পাথর হয়ে গেল।

মুখের ভাষা কে যেন কেড়ে নিয়ে গেছে বহু দূরে। শুধু নিঃস্পলক চেয়ে থাকে। দুষ্টু ছেলে অশোক যেন সম্পূর্ণ শান্ত হয়ে গেছে। জানালা ধরে দূরে তাকিয়ে দূর নীলিমা দেখে। কখন যেন নেমে আসে রাত্রি।

জানালার ফাঁকা দিয়ে উঁকি দেয় চাঁদ। দেখা যায় তারার ঝিলমিল আলো। চৈতি ঠিক মত জোছনাকেও দেখতে দেয় না। শীতল বাতাস শির শির করে রুমে ঢোকে। বিছানা ঝেড়ে ।

আদেশ করে, “এখানে এসো। শুয়ে পড়। ” ওষুধগুলো খাওয়াতে খাওয়াতে বলে, “জোছনা দেখতে ভালো লাগে?” অশোক মাথা ঝাঁকিয়ে “হ্যাঁ” জবাব দেয়। “কাল আমরা জোছনা দেখতে যাব। ছাদে পরিষ্কার জোসনা।

কি যাবে না?” অশোক এবারও মাথা ঝাঁকিয়ে জবাব দেয় “হ্যাঁ। ” আস্তে আস্তে অশোকের চোখে ঘুম নেমে আসে। অশোক সকল শোক তাপ ভুলে নিদ্রা রাণীর কোলে নিজেকে বিছিয়ে দেয়। সকালে গোলমাল শুনে সকলের ঘুম ভেঙ্গে গেল। অশোক কিভাবে যেন দরজা খুলে বাইরে এসেছে।

সবাই ভয়ে পালাচ্ছে। কাউকে ধরতে না পেরে শেষ পর্যন্ত নিজের মাথা গ্রীলে ঠোকাচ্ছে। আস্তে আস্তে রাগের তেজ বেড়ে উঠছে। সবাই এসে আবার ভিড় জমাল। চৈতি এসে বলল, “সবাই চলে যাও।

কি হয়েছে? ও তো কিছুই করেনি। অশোক শান্ত ছেলে। ও তোমাদের মত দুষ্টু না। যাও কেউ থাকবে না। ” সবাই চলে গেল।

চৈতি বলল, “এ দিকে এসো। ” অশোক যেন নিজেকে চরম অপরাধী বলে মনে করল। মনের অজান্তেই কখন যেন গ্রীল থেকে হাত সরে গেল। মাথা নিচু করে খাটের দিকে হেঁটে গেল। “ওরা তোমাকে মেরেছে?” অশোক মাথা ঝাঁকিয়ে ‘হ্যাঁ’ জবাব দিল।

“এখানে আর বেশি দিন আমরা থাকব না। কালকেই পালিয়ে যাব। তুমি যাবে না?” বলতে বলতে চার পাঁচটা বড়ি বের করল। অশোক মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ জবাব দিতে দিতে মুখ হা করল। চৈতি বড়ি ক’টা মুখে পুরে দিয়ে জলের গ্লাস এগিয়ে দিল।

অশোক ঢক ঢক করে খেয়ে ফেলল। কথা বলতে বলতেই দু'চোখে ঘুম নেমে এলো। চৈতি অশোককে একটা প্যাড, একটা কলম কিনে দেয় কিছু লেখার জন্য। অশোক হাতের আংটি খুলে চৈতিকে দেয়। বলে, “তোমাকে দিলাম।

দেখ, কেউ যেন নিয়ে না যায়। ” “কেউ নেবে না। কাউকে দেবও না। তুমি আমার জন্য কিছু লিখবে না? বড় একটা চিঠি লিখবে। কি, লিখবে?” রাত নেমে আসে।

রাতটাই সবচেয়ে কষ্টকর। চৈতি যে কি এমন কাজ করে এক রাতও কাছে থাকে না। ঘুম পাড়িয়েই চলে যায়। চৈতি দেখল অশোক খাতা কলম ধরে বসে আছে। “দেখি কি লিখছ?” প্যাডটা নিয়ে, “দারুণ তো! তুমি এতো সুন্দর লিখতে পার?” অশোক খুশিতে মুচকি মুচকি হাসে।

চৈতি উঠে যেতে চায়। অশোক তার বাম হাত টেনে ধরে। “কি করছো? আমার আরো অনেক কাজ। ” চেষ্টা করেও চৈতি ছুটতে পারে না। অশোক অবাক হয়ে চৈতির দিকে তাকায় ।

বাম হাতের দিকে তাকিয়ে, “আংটি?” অশোক আস্তে আস্তে চৈতির হাতটা ছেড়ে দেয়। বিছানা ছেড়ে জানালার দিকে হেঁটে গেল। খানিক আকাশের দিকে তাকাল। চৈতি পিছনে গিয়ে অশোকের কাঁধে একটা হাত রাখল। বলল, “রাগ করেছো? এসো।

” “না। আমি আসব না। আর লিখব না, খাব না, ঘুমাবও না। ” “বোকা ছেলে। তোমার দেওয়া কাউকে দিতে পারি? জামা-কাপড় ধুয়েছিতো খুলে রাখছি।

কাল না আমরা চলে যাব। ” “আগে আংটি নিয়ে এস তারপর কথা বলব। ” চৈতি আংটি এনে, “এই দেখ এনেছি। ” অশোক আস্তে আস্তে বিছানার দিকে এলো। চৈতি সামনা সামনি বসল।

বলল, “তুমি আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না?” অশোক চৈতির মুখ পানে তাকিয়ে থাকল। “আমি যদি মরে যাই?” “তুমি মরবে না। ” “যদি হারিয়ে যাই?” “আমি পথ খুঁজে নেব। ” “চিনবে?” “এতোটুকু পৃথিবী তোমাকে খুঁজে পাব না?” “পৃথিবী অনেক বড়। ” “হু।

ছোট্ট। আমাদের গোয়াল ঘর পর্যন্তইতো কিনারা। ” “তোমাদের গোয়াল ঘরের কাছে চাঁদ ডোবে?” “কত দিন ডুবছে। ” “চাঁদ দেখতে ভালো লাগে?” “না। ” “কি দেখতে ভালো লাগে?” “তোমাকে।

” “আমি কি চাঁদের চেয়েও সুন্দর?” অশোক মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ জবাব দিল। “তুমি আমাকে অনেক ভালোবাস?” “অনেক। ” “আমাকে নিয়ে কোথায় কোথায় যাবে?” “নদীর ধারে, চালতা তলা, জঙ্গল বাড়ির ভাঙ্গা দালানে, আরো অনেক দূরে। ” “আর কাউকে নেবে না?” “না। ” “ঠিক আছে এবার ঘুমাও।

” অশোককে লেপ টেনে দিল। “লক্ষ্মী ছেলের মত ঘুমিয়ে পড়বে আর বাইরের দিকে তাকাবে না। ” সকালে অশোকের ভাই অতীন এলো। অশোক চৈতিকে ডাকতে বলল। অতীন বলল, “সাধনা দেবী।

” “কাকে ডাকছো? চৈতিকে ডাকো। ” “ঠিক আছে। চৈতি দেবী। ” চৈতি এলো। “আপনারা আজই ঘুরতে যান।

অশোকের মানষিকতা অনেক ভালো। ” গাড়ি পদ্মার পাড় এসে থেমে গেল। অশোকের সম্পূর্ণ অচেনা জায়গা। চৈতিই তার একমাত্র ঠিকানা। এক বছর পর অশোককে বাইরে যেতে দেয়া হলো।

প্রকৃতির সৌন্দর্য অশোককে বিমোহিত করল। দক্ষিণা নির্মল বাতাস। মেঘগুলো ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে পদ্মার এপাড় থেকে ওপাড়ে। নদী মেতে উঠছে নগ্নøানে। সারা নদীর কিনার জুড়ে বিকেলের ঝিলিমিলি রৌদ্র।

রৌদ্র-ছায়ার সাথে নদীর ঢেউ যেন লুকোচুরি খেলছে। অশোক হঠাৎ করেই দাঁড়িয়ে পড়ল। চৈতি হেঁটে চলছে অনেক দূর। ব্যবধানও বেড়ে গেছে অনেক। চৈতি দেখল পিছনে কেউ নেই।

অশোক অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে। হাত তুলে কয়েকবার ডাকল। কিন্তু অশোক আকাশ পানে তাকিয়ে আছে এক ঝাঁক বলাকার দিকে। চৈতি পিছন ফিরে এলো। অশোকের কাছে এসে আবার হাঁটা দিল।

অশোক এবার আঁচল টেনে ধরল। চৈতিও কাছে কাছে এলো। অশোক ডান হাত উঁচু করে আকাশ পাড়ের বলাকাগুলো দেখাল আর বাম হাতটা চৈতির কাঁধের উপর উঠিয়ে দিল। চৈতি কোন বাঁধা দিল না। বলল, “ওরা আকাশ পাড়ের পাখি, শুধু জুটি বেঁধে উড়তে জানে ঘর বাঁধতে জানে না।

ওড়া শেষ হলেই ওদের জীবন শেষ। আকাশের বুকে ওদের নাম লেখা থাকবে না। ওরা অচেনা অতিথি। দেখলে চেনা যায় নাম মনে রাখা যায় না। ” অশোক তবু আকাশ পানে তাকিয়ে আছে।

চৈতি আবার জিজ্ঞেস করল, “তোমার কি উড়তে ইচ্ছে করে?” অশোক মাথা ঝাঁকিয়ে না জবাব দিল। “কেন?” “তুমি যদি উড়তে না পার। ” “আমি মাটির পৃথিবীর লোক আকাশে উড়তে চাইনা। আকাশ আর মাটি অনেক তফাৎ। তবু মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি।

” চৈতি আস্তে আস্তে অশোকের হাতখানা কাঁধ হতে নামিয়ে দিল। অশোক তা টেরও পেল না। বলল, “এসো আরো একটু হাঁটি। ” অশোক কোন কথা না বলে চৈতির পিছনে হাঁটতে থাকল। চৈতি জিজ্ঞেস করল, “আর কিছু ভালো লাগে না?” অশোক মাথা ঝাঁকিয়ে না জবাব দিল।

“তুমি না একদিন বলেছিলে, আমাকে চালতা তলা নিয়ে যাবে? এইতো চালতা গাছ। ” “এ চালতা গাছ সে চালতা গাছ না। শুধু ফুল ফুটছে সেটায় ফলও ধরে। ” “এটায়ও ধরবে। ” “কবে?” “এইতো।

ফুল ঝরে গেলেই। ” ‘‘কেন, একসাথে হয় না?” “ফুল ঝরেই ফল হয়। ” সন্ধ্যার কালো ছায়া ঘনিয়ে আসছে। দু’জন গাড়ির দিকে হেঁটে আসছে। সুন্দরের সোনালী আলো তাদের ঘিরে ধরছে।

পথ চলতে চলতেই যেন লাল রেখা ঘুচিয়ে যাবে। অশোক জিজ্ঞেস করল, “আমরা কেন ফিরে যাচ্ছি?” “রাত্রে নদীর তীরে থাকতে হয় না। মাঝিরা তুলে নিয়ে যায়। ” “তুমি রাত্রে আমার কাছে থাকবে। আমার একটুও ঘুম আসে না।

” “বিয়ের আগে এক জায়গা রাত্রে থাকতে হয় না। ” “ও, তা হলে আমরা গাড়িতে বসেই বিয়ে করে ফেলি। ” “তা কি হয়। বিয়ে করতে হলে পালকি লাগে, লাল বেনারসী শাড়ি লাগে আরো কত কি। ” “আমাদের বিয়েতে ওতো কিছু লাগবে না।

শুধু তুমি আর আমি। ” “সিঁদুর ছাড়া বিয়ে হয় না। ” “কি হয় সিঁদুরে?” চৈতি একটু বিরক্তির সুরে, “কিছুই হয় না। ” অশোক রাগ করল। গম্ভীর হয়ে বসে থাকল।

সারা পথ কোন কথা হলো না। অনেক অনুরোধ করে চৈতি তাকে নামিয়ে দিল। সেদিন হঠাৎ করেই একটা গাড়ি এলো। অশোক চৈতিকে অনেক খুঁজল কিন্তু দেখা পেল না। চৈতি দোতালায় জানালা ধরে দাঁড়িয়ে আছে।

চোখের জল দু’গাল বেয়ে গড়িয়ে গেল। শিলা নামের একটি মেয়ে একটা আংটি আর একটা কাগজ দিয়ে গেল। তা চৈতির দেয়া প্যাড। চৈতি হাত বাড়িয়ে নিল। ভাঁজ খুলে, সাধনাদেবী, আমি ছাড়পত্র পেয়ে গেছি।

জানেনতো, এখান থেকে যাকে ছাড়পত্র দেয়া হয় সে আর এখানে প্রবেশ করতে পারে না। আমিও আর প্রবেশ করব না। আপনার কাছে একটা মিনতি রাখব আশা করি রাখবেন। আমার দেয়া আংটিটা আর ফিরে দেবেন না। আমি আংটিটা সাধনাকে দেইনি দিয়েছিলাম চৈতিকে।

চৈতিকে দিয়ে সাধনার কাছ থেকে নিতে পারি না। আমিতো আর জানতাম না আপনি সাধনা আর এটা হাসপাতাল। একটা প্রশ্ন করি, এভাবে ভালোবাসার অভিনয় করে আপনারা কি লাভ পান? পাগলকে ভালো করেন? না। পাগল ভালো হয় না। শুধু পাগলামীর পরিবর্তন হয়।

হয় চৈতির পরিবর্তে সাধনার। তাই বলি আপনারা কি সত্যিকারে ভালোবাসতে জানেন না? প্রতি রাতে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতে খাওয়াতে আপনি আমার ভবিষ্যৎ জীবনের ঘুমও কেড়ে নিয়েছেন। আর কী কখনও কোন বড়িতে আমার ঘুম আসবে? মেন্টাল হাসপাতাল থেকে আমার নামটা কেটে দিলেও নতুন একটি হৃদয়ে আমার নাম লিখে গেলাম। তা কোন দিনই মুছে যাবে না। জানি আপনাকে আরো অনেক রূপে সাজতে হবে।

এও জানি আমার শূন্য শয্যা শিগ্রই ভরে যাবে। আপনি নতুন অভিনেত্রীর রূপ নেবেন। আপনি আমার শিয়রে বসে ঘুম পাড়ানোর যে গানটি গাইতেন ঠিক মনে আছেতো? চৈতি রাতের এ জোছনায়, তোমার কোলে মাথা সে যেন সুরের মুর্ছনায়, আয় আয় চাঁদ আমাদের মিলন ছায়ায়। চৈতির মুখেই ঐ গানটা সর্ব প্রথম শুনেছিলাম। ওর কোলে মাথা রেখে নীরবে।

তখন আমি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু আপনি কিভাবে তা সংগ্রহ করলেন? যদি চৈতিই সাজলেন কেন সত্যিকারে চৈতি হতে পারলেন না? যাকে এতো ভালোবাসা দিলেন এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে তাকে ছিড়ে ফেলতে পারলেন? দেখলেন, পৃথিবীটা কত সহজ, কত সরল। আসল মালের পরিবর্তে নকল দিলেও কেউ বোঝে না। আমি আসল নকল চিনতে জানিনা। সাধনাকে চৈতি হিসাবেই নিয়েছি।

হয়তো পাগল হয়েই ভালোছিলাম। মুখে হাসি ছিল, পাশে চৈতি ছিল। হোক সে নকল; তবুও। চৈতিকে ছাড়া যখন বাঁচবইনা কি দরকার ছিল ভালো করার? এটা আপনার প্যাডের শেষ পৃষ্ঠা। অন্যগুলোতো চৈতির জন্য লিখে শেষ করে ফেলেছি।

ভাবছিলাম এটা স্মৃতি হিসাবে রেখে দেব। কিন্তু পারলাম না। তাহলে আপনার জন্য আপনার প্যাডে চিঠি লেখা হতো না। আপনিতো বলেছিলেন বড় করে চিঠি লিখতে। তা ছাড়া স্মৃতি রেখে কি লাভ? আপনি যে আমাকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন এই-ই আপনার দেয়া বড় উপহার।

ভেবেছিলাম বিদায়ের সময় আপনাকে একটু দেখে যাব। আপনার ভালোবাসার অভিনয়কে একটা প্রণাম জানাব। জানি আপনি আমার সাথে অভিনয় করছেন। যদি অভিনয়কে কোন দিন সত্য বলে মনে হয়, তবে আমার ভালোবাসার দ্বারে আসবেন। আমি দরজা খুলে অপেক্ষায় থাকব।

মিথ্যা দিয়ে সত্যিকারের প্রেম ঠেলে আপনিই যেন আমার জীবনে সত্যিকারে প্রেম হয়ে এলেন। জানলাম ভালোবাসাও বদলে যায়। ইতি, ২৩ নম্বর সীট। সাধনা আংটিটা হাতে পরল না। চিঠিখানা আস্তে আস্তে ভাঁজ করল।

কাপড়-চোপড় ব্যাগে ভরে সকালের অপেক্ষা করছে। চাঁদের আলো জানালা দিয়ে উঁকি মারছে। নীরবে দূর নীলিমার পানে তাকিয়ে আছে। মনে পড়ছে অশোকের লেখা ঐ কয়টা লাইন- আঁধারে মিশেছে আলোর রেখা সূর্য গেছে ঢেকে, দিনের আলো মুছে গেল নতুন চাঁদের ডাকে। ০৯/১২/২০০৩ইং মঙ্গলবার নান্নুমিয়ার বাড়ি কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।