আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুম দূর করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি!আশা করি ভাল ফল পাবেন।

সকালবেলা ঘুম ভাঙলেও অনেকেরই বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না। এক ধরনের আলস্য যেন শরীরটাকে বিছানায় ডুবিয়ে রাখতে চায়। উঠি-উঠি করেও বিছানায় আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টা, এমনকি কখনও কখনও দু’ঘণ্টাও পার হয়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায়, যখন আর না উঠলেই নয়, তখনই কোন রকমে জবরদস্তি করে বিছানা ছেড়ে উঠে তাড়াহুড়ো শুরু করে দেন। অনুশোচনা করেন, মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন, না, আগামীকাল ঘুম ভাঙার সাথে সাথেই বিছানা ছেড়ে উঠে পড়বেন।

কিন্ত দেখা যায়, পরদিনও সেই একই অবস্থা। এ অবস্থার শিকার যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা, তেমনি বয়স্করাও। অনেকেই এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যে অনেক ধরনের চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিয়েছেন অথচ সকালে সব ধরনের আলস্য ত্যাগ করে বিছানা ছেড়ে উঠে সময়মত নিজের কাজ শুরু করার খুব সহজ ও ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। বিছানায় শুয়ে শুয়েই এই প্রক্রিয়া নিজের ওপর প্রয়োগ করতে পারেন।

আপনি যে সময় বিছানা ছেড়ে উঠতে চান সে সময় ঘুম ভাঙার পর আপনি চিৎ হয়ে শোন। মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে দম নিন। বুক ভরে দম নেয়ার সাথে সাথে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দিয়ে নিজের নাক চেপে ধরুন। মুখ আগের মতই বন্ধ থাকবে। এখন নাক চেপে ধরার ফলে আপনি আর নিঃশ্বাস ছাড়তে পারবেন না।

ফলে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইবে। আর তখনই আপনার ব্রেন দেহের সর্বত্র সঙ্কেত পাঠাবে : ‘ফাইট অর ফ্লাইট’। শরীরের প্রতিটি স্নায়ু ও পেশী মুহূর্তে সজাগ ও সক্রিয় হয়ে উঠবে। যখন দেখবেন যে আর দম বন্ধ রাখা যাচ্ছে না, তখন নাক ছেড়ে দিন। এর পর স্বাভািবক শ্বাস-প্রশ্বাস শুরু হয়ে যাবে।

আর আপনি দেখবেন, ঘুম ও আলস্য কোথায় পালিয়ে গেছে। ২/৩ দিন এই টেকনিক প্রয়োগ করার পর দেখবেন যে, বাস্তবে আর এ টেকনিক প্রয়োগ করতে হচ্ছে না, ঘুম ভাঙার পর টেকনিকের কথা স্মরণ করতেই ঘুম-আলস্য দুইই পালাচ্ছে। আর আপনি ঘুম ভাঙার পর সময়মত বিছানা ছেড়ে উঠে দিনের কাজ শুরু করতে পারছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।