ভালো।
প্রেমের চিরকুট প্রায়ই ভুল হাতে পড়ে যায়। সেসব চিরকুটের উত্তর না এলেও তার ফলাফল আসে ঠিকই যেটা মোটেই কাম্য নয়। প্রেমের কথামালা সাজিয়ে কিছু ধরা খাওয়া চিরকুটের উত্তর
আমার জান বিলকিছ,
তোমাকে একটা কথা বলব বলব করেও বলা হচ্ছিল না। তোমাকে দেখলে আসলে সবকিছুই তালগোল পাকিয়ে ফেলি, দেখলে না সেদিন ক্লাস থেকে কীভাবে ছুটে চলে গেলাম? সবাই ভেবেছে স্যারের উত্তম-মধ্যমের ভয়ে আমি পালিয়েছি।
আসলে ওগুলো গুজব, কান কথা। সত্যি বলতে তোমার ফেরার পথে, তোমাকে দেখবার জন্যই আমি একটু আগে আগে ক্লাস ছেড়ে চলে এসেছিলাম। আর পড়াও শিখে এসেছিলাম, তোমাকে দেখে সব ভুলে যাই, জান আমারঃ
প্রেমকাতর
বল্টু
বল্টু,
তোকে তো ডাবল প্রমোশন দেয়া দরকার। এত পেকে গেছিস কবে? আচ্ছা, এই তবে পড়া মনে করতে না পারার কারণ, যা তোকে কাল থেকে পড়া লিখতে দেব, ঠিক আছে? আর শোন, বিলকিছের ফেরার পথেই আবার বাড়িখানাÑ একটু কষ্ট করে দেখা করে যাস।
দ্রষ্টব্য : তোর হাতের লেখা এখনও খারাপই রইল।
পরীক্ষার খাতাতেও বানানের ব্যাপারে এমন সতর্ক থাকবি।
ইতি
তোর ক্লাস টিচার
হাছান স্যার
প্রাণের জরিনা,
তোমারে দিনের আলোয় অনেকদিন থেকে দেখে আসছি। দিনের আলোতে তোমাকে দেখে দেখে বোরিং হয়ে গেছি তাই তোমারে রাতের আলোতে দেখার মন চায়। আজ রাতে তোমাদের আমবাগানে এসো, দেখা করব। ও স্যরি।
তোমার বাবা তো আমবাগানের আম গাছগুলো কেটে ফেলছে। অসুবিধা নাই আগে যেখানে আমবাগান ছিল ওখানেই এসো।
ইতি
বদন মিয়া
বাবা বদন,
আমবাগানের গাছগুলো কেটে ফেলে ভেবেছিলাম তোমার দৌরাÍ্য কমে যাবে। বাস্তবে দেখি তুমি হাল ছাড়ার পাত্র নও। অবশ্য এতে আমি খুশিই হয়েছি ।
না, না, তুমি ঘাবরে যেও না। আমার সরিষা ক্ষেতে হাল দেয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য কাউকে পাচ্ছিলাম না। তোমার এই ‘হাল’ না ছাড়ার মানসিকতা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরিষা ক্ষেতে হাল দেয়ার জন্য তুমিই যোগ্য। তোমাকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে এ কাজের জন্য। জরিনা আমবাগানে আসুক আর না আসুক আমি কিন্তু সরিষা ক্ষেতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করার জন্য তোমার জন্যই অপেক্ষা করব।
ইতি
জরিনার বাপজান
প্রিয়তম রানা,
আমার ডার্লিং রানা
তোমাকে ছাড়া আমার কিচ্ছু ভাল্লাগেনা।
আমাদের প্রেমের পথে এত বাধা,
ভাবতেই ঘুরে যায় মাথা।
চলো লোকালয় ছেড়ে ভেগে যাই
অবশ্য প্রবলেম একটাইÑ তোমার পকেটে টাকা নাই।
তবু তুমি একটু ভেবে দেখ কী করা যায়?
বাবা বিয়ে ঠিক করছেÑ
ক’দিন পর তোমাকে কপাল চাপড়ে করতে হবে হায় হায়।
তোমার ইষ্টিকুটুম পাখি
রাখি।
এত কথা তোর পেটে ক্যামনে রাখিস রে ছোটু
সত্যি করে বল রানার সাথে কবে থেকে লেগেছে গিট্টু?
ভাগ্য ভালো তোর, বাবার হাতে পড়েনি চিঠিটা,
নইলে পিটিয়ে তুলে দিত তোর পিঠের ছালটা।
পড়ায় মন দে,
বিদেশফেরত ছেলে ঠিক আছে তোর বিয়ের জন্যে।
বড় বোন
সাথী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।