এসো নীপবনে ৬০ বছরের জন্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে মংলা বন্দর!
বিদেশি কোম্পানি পাবে ৮৫ শতাংশ, বাংলাদেশ পাবে ১৫ শতাংশ
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মংলা সমুদ্র বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘পোর্ট ইভ্যুলেশন ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবের প্রতি সরকারের সর্্বোচ্চ মহল থেকে সায় দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠান মংলা বন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হলে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব থাকবে মাত্র ১৫ শতাংশ। এর পরিবর্তিত নাম হবে ‘মংলা পোর্ট লিমিটেড’। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান বা অন্যান্য নিয়ম-বিধি ছাড়াই চুক্তি স্বাক্ষরের তাগিদ দেয়া হচ্ছে।
এ প্রক্রিয়ায় জড়িত রয়েছে প্রধানমন্ত্রী পরিবারের একাধিক সদস্য।
বিদেশি ওই কোম্পানির প্রস্তাবের শর্ত অনুযায়ী প্রথম ১৫ বছর ট্যাক্স হলিডের সুবিধা গ্রহণ, বিনা খরচে মংলা বন্দরের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ ও অবকাঠামো পরবর্তী ৬০ বছর নির্বিঘ্নে ব্যবহার, বিদেশি কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় তাদের ইচ্ছামত নতুন জনবল নিয়োগ, ছাঁটাই, অপসারণ সর্বোপরি তাদেরই পরিকল্পনা মোতাবেক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে, যা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলেও অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
দেশের স্বার্থ উপলব্ধি করে লাভজনক এ বন্দরকে যৌথ মালিকানার নামে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন খোদ বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে একটি স্বার্থান্বেষী মহল যে কোনো উপায়েই হোক বিদেশি ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দর ইজারা দেয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, যে মুহূর্তে বন্দরটি বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজস্ব আয় করছে, দেশের খনিজ সম্পদ আহরণে বন্দরটি বিশেষ ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা রয়েছে ও দেশের ভূ-সামরিকগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে, সেই মুহূর্তে তা নানা রকম লোকসানি শর্তে এবং আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান ছাড়াই বিদেশি একটি বিশেষ কোম্পানির কাছে তুলে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে।
এ নিয়ে একদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
লিংক::
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।