সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
একুশ শতকের উপযোগী করে নতুন 'টাইটানিক' জাহাজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ধনী ক্লাইভ পালমার। মূল টাইটানিক যে রকম বিলাসবহুল ছিল, নতুনটিও সে রকমই হবে। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল (১৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে) হিমবাহের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে টাইটানিক জাহাজটি ডুবে যায়।
এতে পনের শ'রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সে সময় টাইটানিকই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল প্রমোদতরী।
যুক্তরাজ্যের সাউদ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। এ বছর জাহাজটি ডুবে যাওয়ার এক শ বছর পূর্ণ হয়েছে। শতবর্ষ পূরণের কয়েক সপ্তাহ পরই এর আদলে নতুন টাইটানিক নির্মাণের ঘোষণা দিলেন ক্লাইভ। এক বিবৃতিতে ক্লাইভ বলেন, 'মূল টাইটানিকের নকশার মতো করে এটি তৈরি করা হবে। তবে এতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
আগামী বছরের শেষ নাগাদ এর নির্মাণকাজ শুরু হবে। ' তিনি জানান, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কম্পানি সিএসসি জিনলিং শিপইয়ার্ডের সঙ্গে এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন তিনি। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লাইভ এ ঘোষণা দেন। আর এর দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত একটি জাহাজ নির্মাতা কম্পানিকে।
ক্লাইভ কুইন্সল্যান্ডের একজন খনি ব্যবসায়ী।
বর্তমানে পর্যটন শিল্পেও তাঁর ব্যবসা ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি প্রমোদতরী নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। চীনের সঙ্গে তাঁর জোরালো ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার এ ব্যবসায়ী বলেন, 'মূল টাইটানিকের মতোই এটাও বিলাসবহুল হবে। তবে অবশ্যই এতে একুশ শতকের প্রযুক্তি এবং আধুনিক নৌ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হবে।
নতুন এ টাইটানিক ডুবে যাবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ক্লাইভ বলেন, কোনো ছিদ্র করা হলে অবশ্যই এটা ডুববে। '
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করবে নতুন টাইটানিক। তবে এর নির্মাণ ব্যয় কত সেটা জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন ক্লিভের এক মুখপাত্র।
সূত্র : বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টাইটানিক ডুবির বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিম্মের লিংকঃ
বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিকের ডুবে যাওয়াঃ ৯৯ বছর আগের ঘটনা নূতন করে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।