না চাইলেই পাই, না চাইতে চাই ছোটবেলা থেকেই আমি বরাবরই late riser. বাবা-মার অনেক চেষ্টা চরিত্র সত্ত্বেও (এখনও নিরন্তর চালিয়ে যাচ্ছেন, বলাই বাহুল্য) আমি সফলতার সাথে কখনোই আমার ঘুম থেকে উঠবার সময় সকাল ৮টার আগে যেতে দেই নি। এ ব্যাপারে আমাকে বাবা পরোক্ষ ভাবে সহায়তা করেছিল স্কুলের dayshift এ ভর্তি করিয়ে দিয়ে!!! আজ আমার বাবা-মা কেউ নেই (মানে blog নেই আরকি )। নইলে অবশ্যই আমার লেখার title দেখে ভিরমি খেয়ে যেতেন।
শুধু ঘুম থেকে উঠাই না, ক্লাস ফাঁকির ব্যাপারেও আমি এত সিদ্ধ হস্ত ছিলাম যে মাঝে মাঝে নিজেও টের পেতাম না, কখন ফাঁকি মারা হয়ে গেছে ।
এই লেখা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছুই না।
তারপরেও জপতে বসলাম, আমাকে বসিয়ে ছাড়ল, আমার সহ অনেকের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান - বুয়েট।
কালকে পর্যন্ত আমার এই লেখা লিখার কোন প্ল্যান ছিল না। আমি দিব্যি ব্যাগ গুছিয়ে বসে ছিলাম। আগামী কাল আমি ঢাকা যাবো, জীবনে প্রথম বার হলের স্বাদ পাবো, বাবা-মা কে ছেড়ে থাকার বেদনা পাবো, একা থাকার responsibility কাঁধে নেব। life এ যতো অগোছালোই হই, কখনো লক্ষ্য ছাড়া আগাই নি।
আজ খুব লক্ষ্য হীন অসহায় লাগছে
জানি, অনেক মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আমাদের এই ভোগান্তি (অবশ্যি senior দের কাছে এটা একটা অপ্রত্যাশিত পাওনা বলেই মনে হচ্ছে ), এসব আন্দোলন আমাদের ভবিষ্যতের অনেক আন্দোলনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য করা হচ্ছে। কিন্তু কেন আমরাই। কেন আমরা ১১ই আটকে গেলাম, বলুন তো! এটা কি সামনের বছর হতে পারতো না? অথবা পিছনের বছর?
selfish এর মতো বলছি, ভাবছেন তাই না? একটু এমন ভাবতে ক্ষতি কি? আমার চোখে এখন পর্যন্ত সব থেকে sufferer তো আমরাই।
পরীক্ষা দিয়েছিলাম সেই গত বছরের ১৫ অক্টোবর। এরপর থেকে তো বসেই আছি।
অনেকে কোচিং এ ক্লাস নিচ্ছে, অনেকে pre-buet করে আগিয়ে যাচ্ছে, অনেকে এটা ওটা কোর্স করছে, বেশীর ভাগই ফেবুতে হুদাই প্যাচাল পারছে (আমি অধম সেই কাতারে পড়ি )।
এখন সকাল আটটাকে লাগে ভোর, আর রাত ১২টা হল সবে সন্ধ্যা।
আগে duty থেকে বাঁচার জন্য ফাঁকি মারতাম, এখন ফাঁকি মারাটা duty হয়ে গেছে। তাই আর ফাঁকি মারার মজা নাই, বেহুদা time pass করা বিষবৎ লাগে...... ক্লাসে যেতে চাই, ক্লাস ফাঁকি দিতে চাই।
আগে ভাইয়া-আপুদের কাছে শুনতাম - ল্যাব, আস্যাইনমেন্ট, ক্লাসটেস্ট ইত্যাদি ইত্যাদির কথা।
এখন এত ঘাঁটতে হয় না, friend রাই আছে শুনানোর জন্য। তাহাদের সেমিস্টার সমাপ্তির কথোপকথন আমাদের গাত্রে সেইরূপ অনুভূতি তৈয়ার করিতেছে, যেমনটি লাগিয়া থাকে 'চুৎরা' পাতা ঘষিলে! বড়ই চুলকায়!
তাও পোলাপান স্বপ্ন দেখে যায়, দেখিয়ে যায়। দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে কান্না পায়... এগুলো কি স্বপ্নই থেকে যাবে?
ক্লাস তো আটটা থেকে শুরু। আর কত ঘুমাবো, এখন ক্লাসে যাবো।
যাই হোক, আমার অযথা বকবকানিতে অনেক সময় নষ্ট করলাম।
এখন ব্যাগ খুলে কিছু জামা কাপড় বের করি, নইলে বাসায় পরব টা কি? পড়তে না পারলেও পরাটা সভ্য সমাজে important বটে
(লেখাটা ১৯ এপ্রিল লিখেছিলাম, ২১ এপ্রিল ক্লাস হলো না দুঃখে। আবার শুনছি ৫ তারিখ থেকে নাকি ক্লাস শুরু হতে পারে। ৩ তারিখ তো দুই দিন পরেই... আবার আশা ভঙ্গ হলে আর কিছু ভালো লাগবে না, তাই আগেই পোস্ট করে দিলাম। আর মন থেকে চাচ্ছি, যেন আমাদের আশা আর আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের আশা পূরণ হয় ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।