রাজনীতির মতো বাঁকে বাঁকে মোড় পাল্টাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। এই উর্ধ্বমূখী তো কিছুক্ষণ পরেই পতন। আসছে না নতুন বিনিয়োগকারী। বাড়ছে না প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ। নির্দিষ্ট কিছু গ্রুপের মধ্যে চলছে শেয়ারের হাত বদলের খেলা।
এ পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, দীর্ঘ দরপতনের পর গত ১৪ মার্চ থেকে শেয়ারবাজার উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় ফিরতে থাকে। বাড়তে থাকে মূল্য সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ। হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু মাত্র দেড় মাসের মাথায় আবার পতনের ধকল।
টানা পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক হারিয়েছে ৩০০ পয়েন্টের বেশি।
দেশের রাজনীতিতে চলমান অস্থিরতার মধ্যে শেয়ারবাজারের টানা দরপতনে আবার শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বাজার পর্যবেক্ষণ থেকে নতুন করে বিনিয়োগ করার প্রহর গুনতে থাকা বিনিয়োগকারীরা আবার পিছু হটছেন অজানা শঙ্কায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দুর্বলতা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উদাসীনতার সুযোগ নেয় একটি চক্র। আর এ চক্রের খপ্পরে পড়ে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজার টানা দরপতনের কবলে পড়ে।
এ পরিস্থিতিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের নানা উদ্যোগে গত দেড় মাসে মূল্য সূচক ও লেনদেন উভয় উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় ফিরে। তবে মূল্য সূচক ও লেনদেন উভয়ই বৃদ্ধি পেলেও এ সময়ে বাজারে আসেনি নতুন কোনো টাকা। ফলে কিছুটা উর্ধ্বমূখী প্রবণতার পর আবার দরপতনের মুখে পড়েছে শেয়ারবাজার।
অভিযোগ রয়েছে, গত দেড় মাস বাজার ছিল মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির হাতের মধ্যে। এরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একে অপরের কাছে শেয়ারের হাত বদল করে শেয়ারের মূল্য বাড়িয়েছে।
আর বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ফয়দা লুটতে এই চক্রটি বাজারে পরিকল্পিত পতন ঘটিয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারকে স্থায়ী স্থিতিশীল করতে হলে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। তারা বলছেন, ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা এখনো নিজেদেরকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে পারেনি। বাজারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কতিপয় ব্যক্তির হাতে।
এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বাজারে যে কোনো সময় আবারও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
সাঈদ শিপন, স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ারনিউজ২৪/ডব্লিউএন/১৫০০ঘ. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।