আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'এই নেন কাগজ, এখন ঘুরতে থাকেন'

কানের চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়েছিলেন এক দোকান কর্মচারী। সব দেখেশুনে চিকিৎসক বললেন- অস্ত্রোপচার লাগলেও শয্যা খালি নেই। তবে পাঁচ হাজার টাকা হলে তখনই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা যাবে। এভাবেই সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি হাসপাতালেই বাণিজ্য করে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের পরিচালকের বক্তব্যেও অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

শহীদ উল্লাহ (২৮) নামে ওই রোগী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি কাওরান বাজারের একটি দোকানের কমর্চারী, বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বরুনদি। মঙ্গলবার আবাসিক সার্জন ডা. মো. তৌহিদুল ইসলামের কাছে কানের একটি সমস্যা নিয়ে যান। "চিকিৎসক তৌহিদুল আমাকে কতোগুলো পরীক্ষা দিয়ে বলেন, পরীক্ষাগুলো ভালো হলে বৃহস্পতিবার অপারেশন হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) আসার পর স্যার বললেন রিপোর্টগুলো ভালো। কিন্তু শয্যা খালি নাই।

তবে পাঁচ হাজার টাকা দিলে তখনই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে দেওয়া যাবে। " "শুধু তাই নয়, এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকার কথা জানালে চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে বলে উঠেন- এই নেন আপনার কাগজ, এখন ঘুরতে থাকেন", যোগ করেন শহীদ। তাৎক্ষণিকভাবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক শয্যার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শয্যা না থাকলে রোগীদের নিচে বিছানা করে দেওয়া হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, শয্যার অভাবে মাটিতে থেকেই অনেক রোগীকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এদের সবাই নারী রোগী।

বুধবার ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই প্রথমে মেঝেতে স্থান পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাদের উপরে তোলা হয়েছে। বিষয়টি অবহিত করা হলে পরিচালক একেএম ফরিদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, "এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। সে সব বিষয়ে তাকে আগেও সতর্ক করা হয়েছে। " তিনি রোগীকে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জাহেদুল আলমকেও বিষয়টি অবহিত করেন।

পরে অধ্যাপক জাহেদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অবশ্য টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "রোগীর কানে ছোট্ট একটি টিউমার হয়েছে। আমি তাকে বলেছি বিছানা খালি নাই আপনি শনিবার আসেন, বিছানা খালি হলে ভর্তি করিয়ে দিবো। কোনো টাকার কথা আমি বলিনি।

" ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।