দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামা ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ গত ২৯ এপ্রিল’১২ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ১২ দলের বরাতে প্রকাশিত “ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন তিগ্রস্ত করতে প্রথম আলোর নাম জড়িয়েছে স্বার্থান্বেষী মহল” শিরনামে প্রকাশিত সংবাদের কিছু অংশের আপত্তিজনক বক্তব্যে বিস্ময়প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামা ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ বলেছেন, দৈনিক প্রথম আলো একটি সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্তকে ফতোয়াবাজী আখ্যাদিয়ে গত ২৪ ফেব্র“য়ারী’১২ ‘‘ফতোয়াবাজি অব্যাহত, পুলিশকে সংবেদনশীল হতে হবে’’ শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে “বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরপুরুষের মেলামেশা সহজভাবে দেখা হয় না। এর মূলে রয়েছে কুসংস্কার, সামাজিক অনগ্রসরতা, অশিা এবং সর্বোপরি নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিরায়ত বিদ্বেষ” বলে মন্তব্য করেছে। এরপর গত ২১ এপ্রিল’১২ ‘স্বাস্থ্যবটিকা’ শিরনামে প্রকাশিত টিপসএ “কাঁচা নোনা শূকরের মাংস রক্তপাতের নাকের ভিতরে ডুকিয়ে আটকে রাখুন” বলে পরামর্শ দেয়া এবং একজন টুপি পরিহিত ব্যাক্তিকে ব্যাঙ্গক্তি করে কার্টুন প্রকাশ করেছে। এর প্রতিবাদ করা এবং সম্মানজনক কোন ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য ইসলামী দাবীর পাশাপাশি এ দাবীতে আন্দোলন গড়ে তোলা মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব মনে করে ইসলামী জনতা প্রায় ২ মাস যাবৎ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছে।
নিয়মতান্ত্রিক এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দৈনিক প্রথম আলোর ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডকে বৈধতা দেয়ার মাধ্যমে ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে উৎসাহ যোগাতে-ই কি মুফতী ফজলুল হক আমিনী সাহেব প্রথম আলোর বিরুদ্ধে হরতাল দেয়ার ঘোষণা করায় জামায়াতে ইসলামীর প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে ১২ দলে থাকা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রথম আলোর বিরোধীতা করে বিবৃতি দেয়া ধর্মীয় নেতাদের নামে মনগড়া বিবৃতি সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পাঠিয়ে মুফতী ফজলুল হক আমিনী সাহেবের হরতাল ঘোষনার বিষয়টিকে সুগভীর চক্রান্ত আখ্যাদিয়ে বলা হয়েছে “ ইসলাম ধ্বংসের জন্য আজ চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের আয়োজন চলছে, সেদিকে নজর না দিয়ে নির্দিষ্ট কোন পত্রিকার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা নেহায়েত কোন সুগভীর চক্রান্ত”। প্রশ্নবিদ্ধ ১২ দলের নামে জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠনের এ বিবৃতিতে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রথম আলো তাদের অপকর্মের জন্য মা প্রার্থনা না করা পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মুফতী মুজিবুর রহমান, মুফতী শাহজাহান রশীদ, মুফতী মুহিউদ্দীন, মুফতী আব্দুর রাজ্জাক, প্রিন্সিপ্যাল মুফতী মুহিব্বুল্লাহ, মুফতী মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুল আলীম, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা আকতার হোসেন, মাওলানা আবুল বাশার, মাওলানা মোঃ জাকারিয়া, মুফতী মোস্তফা কামাল, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মুফতী নূরুল ইসলাম, মুফতী আল-আমীন, মুহাদ্দিস মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুল মালেক, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা মোঃ আকরাম হোসেন, মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা মাছুম বিল্লাহ, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা আলাউদ্দীন, মাওলানা খায়রুল ইসলাম, মাওলানা কাওছার আহমদ বাগিচাপুরী, মাওলানা জামাল উদ্দীন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মুফতী দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা ইসমাইল হোসেন, মুফতী মুনিরুল ইসলাম, মুফতী সারোয়ার হোসেন, মাওলানা আশরাফুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামা ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ বলেন, দৈনিক প্রথম আলো একটি সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্তকে ফতোয়াবাজী আখ্যাদিয়ে গত ২৪ ফেব্র“য়ারী’১২ ‘‘ফতোয়াবাজি অব্যাহত, পুলিশকে সংবেদনশীল হতে হবে’’ শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে “বিবাহিত নারীর সঙ্গে পরপুরুষের মেলামেশা সহজভাবে দেখা হয় না। এর মূলে রয়েছে কুসংস্কার, সামাজিক অনগ্রসরতা, অশিা এবং সর্বোপরি নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চিরায়ত বিদ্বেষ” বলে মন্তব্য করেছে।
এরপর গত ২১ এপ্রিল’১২ ‘স্বাস্থ্যবটিকা’ শিরনামে প্রকাশিত টিপসএ “কাঁচা নোনা শূকরের মাংস রক্তপাতের নাকের ভিতরে ডুকিয়ে আটকে রাখুন” বলে পরামর্শ দেয়া এবং একজন টুপি পরিহিত ব্যাক্তিকে ব্যাঙ্গক্তি করে কার্টুন প্রকাশ করেছে। যার কারনে দেশের ধর্মপ্রান জনতা দৈনিক প্রথম আলোর ইসলাম-ঈমান ও কুরআন-হাদীস বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধের দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে পত্রিকাটি তাদের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের ব্যাপারে কোন শব্দ না করায় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা প্রথম আলো বর্জন এবং এর ডিকারেশন বাতিলের দাবী করেছে বলে আমরা সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদে অবগত হয়েছি।
যে আন্দোলনের সাথে পর্যায়ক্রমে একাত্বতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতী ফজলুল হক আমিনী প্রথম আলোর ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধে প্রয়োজনে হরতাল করার ঘোষণা দিয়েছেন, ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই প্রথম আলোর ২৪ ফেব্র“য়ারী’১২ তারিখে প্রকাশিত সম্পাদকীয় প্রত্যাহার করার জন্য আহবান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত ও হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর বড় সাহেবজাদা শাহ্ আহমাদ উল্লাহ আশরাফ সংবাদ সম্মেলনে প্রথম আলোর বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়েছেন অন্যথায় প্রথম আলো বর্জন করার ঘোষনা দিয়েছেন। খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক প্রথম আলো বর্জনের আহবান জানিয়েছেন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ( কওমী মাদরাসা শিা বোর্ড)-এর মহাসচিব মাওলান আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদী এক বিবৃতিতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে সম্পাদকীয় প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলোর ডিকারেশন বাতিল করত: সম্পাদকীয় প্রকাশের দায়ে প্রকাশক ও সম্পাদক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন এর আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী প্রথম আলোর সমালোচিত সম্পাদকীয় সম্পর্কে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত এবিষয়ে এক লেখায় লিখেছেন, কার স্বার্থে দৈনিক প্রথম আলো পরকিয়াকে বৈধতাদিতে চায়।
প্রথম আলো ইসলামী বিধি বিধান সম্পর্কে কটুক্তি ও অবজ্ঞা করে সরাসরি ইসলামের ওপর আঘাত করেছে বলে মন্তব্য করে সংবাদ পত্রে প্রদও এক যৌথ বিবৃতিতে সিলেটের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে প্রথম আলোর উল্লেখিত সম্পাদকীয় প্রত্যাহার করার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী, কেন্দ্রীয় নেতা সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী।
আন্দোলনের শুরুতে দেশের ৭৫ জন ইসলামী চিন্তাবিদ গবেষক ও মুফতী বলেছেন, প্রথম আলো কর্তৃপকে আত্মপ সমর্থনের সময় দেয়ার পরও এ ব্যাপারে তারা কোন বক্তব্য প্রথম আলো পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ না করে প্রমান করেছেন, তারা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্যই ২৪ ফেব্র“য়ারী বিতর্কিত সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। প্রথম আলো উক্ত বক্তব্যের দ্বারা ইসলাম, সমাজ ও বিবেকের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অবস্থান নিয়েছে। মুসলমাদের এখন প্রথম আলো বর্জনের কার্যকরী পদপে গ্রহন করা জরুরী।
বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা.এস.এম. আব্দুল আজিজ গত ২৪ ফেব্র“য়ারী’১২ ইং তারিখে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে সম্পাদকীয় প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলো নিষিদ্ধকরন এবং পত্রিকার সম্পাদক ইসলাম-মুসলমান ও কুরআনের দুশমন মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ এর সভাপতি মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল- ফিরোজী “প্রথম আলো” এর সম্পাদক নাস্তিক মতিউর রহমানের কোরআন-হাদীস এর প্রতি ধৃষ্টতার কারনে ফাঁসি দাবী করেছেন।
দৈনিক প্রথম আলোর ধর্মীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটি’র নেতারা বলেছেন, প্রথম আলো সম্রাট আকবরের দ্বীনে ইলাহী পুনঃ প্রবর্তনের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে।
সমমনা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রথম আলো পত্রিকা সম্পাদকীয়তে বিয়ের পর পরনারীর সাথে মেলামেশাতে কোন সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করে মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। তারা বলেন, প্রথম আলো বর্জন করা ঈমানী দাবিতে পরিণত হয়েছে।
দেশের প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য প্রথম আলো নিজেরা বয়কট করা এবং অন্যদেরকে ও বর্জন করতে উৎসাহিত করা।
নেতৃবৃন্দ হলেন- জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃ পরিষদের সভাপতি প্রিন্সিপাল মোঃ আলমগীর ও মাওলানা আইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ লিবিয়া ভ্রাতৃ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ফোরাম সভাপতি আশিক রহমান মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, কওমী মাদরাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদ সভাপতি মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ ফয়েজী ও সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ ইসমাঈল মাদানী, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা ছাত্র পরিষদ সহ-সভাপতি নাযীর আহমাদ শিবলী, নদী ও পানি সম্পদ রক্ষা কমিটির সভাপতি দেদার বখত জালালাবাদী, মজলিসুল উলামার সভাপতি মাওলানা মোঃ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী দাওয়াত সংস্থার মহাসচিব আবুল কালাম, আমরা ঢাকাবাসীর সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব জামাল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ মহাসচিব তুরাব আলী ভুইয়া, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় শরয়ী পর্দা রা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ার ও মহাসচিব মাওলানা তাজুল ইসলাম ফয়েজ কারী, বাংলাদেশ জনপরিষদ সভাপতি এম এ গফুর মাষ্টার ও মহাসচিব বেলাল সরকার, ভণ্ড ও প্রতারক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক, জাতীয় ধর্মীয় খানকা রক্ষা কমিটির সভাপতি মাওলানা আবুল কাসেম নূরী ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল্লাহ, বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কবি মুহাম্মদ ইউসুফ, কে এস পি’র মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হারুন অর রশিদ ও জাতীয় মুতাওয়াল্লী পরিষদ কে এ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ মুসলিম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আবুল বারাকাত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।