To love what you do or to do what you love is the question to be answered! অনেক দিন ধরেই আমার মনে খুব সাধারণ একটা প্রশ্ন ছিল!!!
যারা আমাদের দেশে এবং সারা পৃথিবীতে পাবলিক সার্ভিস এর পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করেন, তারা তাদের জীবনের একটা পর্যায়ে হলেও দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
আমাদের দেশও তার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম না। একজন পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষা উত্তীর্ণ ব্যক্তি যিনি হয়ত খুব তাড়াতাড়িই দেশের কোনও মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজের নেয়া সিদ্ধান্তের দ্বারা দেশ-জাতি তথা আপামর জনসাধারণের ভাগ্যকে পরিবর্তিত করবেন তিনি কেবলই জানেন কিছু সাধারণ জ্ঞ্যান নামের অসাধারণ তথ্য, যেগুলো আবার দেখা যাবে উনি নিজে যে বিষয়ে পারদর্শী (এইক্ষেত্রে শিক্ষাগত দিক) তার সাথে কোনভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
সবচেয়ে ভয়ংকর যে বিষয় সেটা হল, যাকে যেখানে নিয়োগ দেয়া হল তিনি হয়ত দেখা যাবে ঐ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না বা ঐ বিষয় তিনি কোনোদিন তার শিক্ষাজীবনে অধ্যয়নও করেন নি। এতে করে যেটা প্রথমেই সম্ভাবনা থাকে যে, একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে পর্যন্ত তার নেয়া সিদ্ধান্তগুলো কতখানি নির্ভুল হবে তার একটা আশংকা থেকে যায়।
এটা গেল একটা দিক।
আরেকটা বড় দিক আছে আমাদের ব্যবস্থার সেটা হল, যিনি ক্ষমতা পেলেন সিদ্ধান্ত নেয়ার তার নেতৃত্বগুণ কতটুকু আছে সেটা আমাদের এই দেশের পদ্ধতিতে দেখার, জানার বা বোঝার কোনও উপায় এই পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষায় দেখা হয় বলে আমার জানা নেই।
এটা উল্লেখের কারণ হল, ক্ষমতা আর দায়িত্ব একই সমান্তরালে চলে, সেই সাথে নেতৃত্বও।
এই দিকটা এজন্যে আমি তুলে ধরলাম কারণ, যিনি প্রশাসনে উচ্চ পর্যায়ে যাবেন তিনি যদি তার নেতৃত্বগুনের দ্বারা সবকিছু নিয়ন্ত্রন না করতে পারেন তাহলে তার অসাধারণ মানের সাধারণ জ্ঞ্যান কি কাজে আসবে আমার অন্তত বোধে আসে না।
আরেকটা বিষয় যেটা অবশ্য লক্ষ্যণীয় সেটা হল, যতদিনে একজন কর্মকর্তা শীর্ষ পর্যায়ে যাবেন, ততদিনে তার আজকের শেখা সমসাময়িক অসাধারণ সাধারণ জ্ঞ্যান আর থাকবে না (না তার মনে থাকবে, আর না সেই জ্ঞ্যান সমসাময়িক থাকবে, কোনটাই না)।
তাহলে, শেষে গিয়ে আমার একটাই কথা, এই যে যাদের নিয়ে এই দেশ, দেশের মানুষ আর দেশের জন্যে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত আবর্তিত হবে হয়ত কিছুদিন পরেই তাদের মধ্যে নেই কোনও নেতৃত্বগুণ (অন্তত এই মুহূর্তে পরীক্ষিত নয় কোনভাবেই)। আর আমার যেটা মনে হয়, সেই সাথে আমাদের দেশে কোনও প্রচলিত শিক্ষা মাধ্যমে এই জাতীয় কোনও শিক্ষাও দেয়া হয় না, যে কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়।
অন্য আরও একটা দিক এবার একটু আমরা দেখি, এই যে যারা উত্তীর্ণ হবে তারা প্রয়োজনের সময়ে কঠিন মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কিনা তাও জানার কোনও ব্যবস্থা আমাদের নেই।
তাহলে, সবকিছুর যোগফল কি দাঁড়াল???
যারা সবকিছু একসময়ে নিয়ন্ত্রণ করবে তারা কতখানি নেতৃত্বগুণের অধিকারী শঙ্কটময় মুহূর্তে তারা আদৌ কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কিনা, তা না দেখেই (বলা ভালো, দেখার চেষ্টা না করেই) আমরা তাদের মাঠে ছেড়ে দিচ্ছি এই আশায় যে তারা দেশকে খুব ভালো কিছু উপহার দেবে আর দেশ সেটা কাজে লাগাবে আপামর জনসাধারণের কল্যাণে!!!
এই পর্যায়ে এসে এটা কি একটু বেশিই হাস্যকর হয়ে গেল না???
এই কথাগুলো আমি তাদের উদ্দশ্যে লিখলাম, যারা অনেক দিন আগে অনেক কষ্ট করে আজ আমাদের নীতি-নির্ধারকদের আসনে বসেছেন।
এত দিনেও কি আমাদের সময় হয় নি, এই বিষয়ের সংশোধন করার???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।