এই চরম হাঁসির পোষ্টটি দেখতে আপনাকে পরের পাতায় যেতে হবে...
সংবিধীবদ্ধ সতর্কীকরণ: রাজনৈতীক খোঁচাখুঁচিতে যাদের অরুচি আছে তাদের প্রবেশ না করাই ভালো।
পাতা ওল্টাও... (এই ডায়লগটা টোনাটুনির ছড়া থেকে নেয়া)
বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং বর্ষীয়ান আইনজীবি রফিকুল হক সম্প্রতী বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে বলেছেন, মন্ত্রি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অর্থ কেলেঙ্কারী ধামাচাপা দিতেই ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। তাঁর এই বক্তব্য সচেতন মহল অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। সবাই জানেন ব্যারিষ্টার হক কোন দলের বা নেতার মনোরঞ্জনের জন্য কথা বলেন না। চাঁছা ছোলা সত্য কথা স্পষ্টভাবে মুখের ওপর ভয়হীন ভাবে বলে দেয়াই তাঁর স্বভাব।
২০০৭-২০০৮ সালের সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় গুটিকয়েক প্রতিবাদী মানুষের মধ্যে তিনি একজন। তত্বাবধায়ক সরকার আর রাজনৈতীক সরকারের মধ্যে তুলনা বোঝাতে সে সময়ে তিনি রাজনৈতীক সরকারকে তথা জনগনকে মালিক আর তত্বাবধায়ক সরকারকে দারোয়ান বা পাহারাদারের সাথে তুলনা করেছিলেন। তাঁর এই বক্তব্য সেই সময়ে জনমনে বিশেষ করে রাজনীতিকদের মনে নতুন করে সাহস সঞ্চার করেছিল। তিনি শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া উভয়েরই আইনজীবি ছিলেন এবং তাঁর সহায়তায়ই উভয়ই তত্বাবধায়ক সরকারের সময় মুক্তি পেয়েছিলেন।
যাই হোক এখন বলবো আর একজন আইনজীবির কথা।
এঁকে অবশ্য অনেকেই বটতলার আইনজীবি বলেন। মহাজোট সরকার গঠনের আগে দেশের মানুষ এঁর নামও শোনেনি। শেখ হাসিনা এঁকে আইনমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রি নিযুক্ত করেন। তারপর থেকেই নিজগুনে তিনি পরিচিত হতে থাকেন। তাঁর পদলেহী, তোষামোদি উক্তি বিশেষতঃ বিরোধীদের প্রতি তাঁর চরম আক্রমণাত্মক বচনাবলী দ্বারা তিনি দ্রুতই পরিচিতি লাভ করে ফেলেন।
বাঁশের চাইতে কঞ্চি যেমন দড় হয়, আইন মন্ত্রাণালয়ে সেরকম মন্ত্রির চাইতে এই প্রতিমন্ত্রিটি বেশী দড় বা সক্রিয় (শেখ হাসিনার প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে) হয়ে ওঠেন। প্রথমদিকে মানুষ এঁর কথায় রাগ করতো, ঘৃণা করতো এখন বিনোদিত হয়। এঁর নাম কামরুল ইসলাম।
এখন আসা যাক পোষ্টের আসল অংশে। ইতিমধ্যে অবশ্য অনেকেই আঁচ করতে পেরেছেন আমি কি বলতে চাইছি।
এহেন কামরুল ইসলাম গতকাল এক বোম ফাটানো হাঁসির কান্ড করেছেন। কথায় বলে কচু গাছ কাটতে কাটতে নাকি ডাকাত হয়। এই মন্ত্রি প্রবর বেসামাল কথা বলতে বলতে মনে হয় তাঁর ভেতরে অবশিষ্ট কান্ড-জ্ঞানের শেষ বিন্দুটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন।
গতকাল আওয়ামীলীগের এক সমাবেশে তিনি ব্যারিষ্টার হককে দায়িত্বশীল কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন! ব্যারিষ্টার হকের উপরোল্লিখিত মন্তব্য সম্পর্কে বলেছেন, কোন ভারসাম্যহীন মানুষই নাকি এহেন মন্তব্য করতে পারে! প্রকারান্তরে তিনি ব্যারিষ্টার হককে একজন ভারসাম্যহীন মানুষ বলেছেন। এই দেখুন প্রথম আলোতে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি।
অথচ মন্ত্রিপ্রবরের মনে হয় জানা নেই তাঁর সম্পর্কে মানুষ কি বলে। তা জানলে অথবা আঁচ অনুমান করার মতো বোধ তাঁর থাকলে বহু আগেই তিনি এহেন মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরত করতেন।
যাই হোক সংবাদটি পড়ে আমার কিন্তু বেদম হাঁসি পেয়েছে, তাই আপনাদের সাথে অনুভুতি শেয়ার না করে পারলাম না।
ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।