মানুষ কিছু জানত না বলে সে জানার আগ্রহে ছিল ভরপুর,এখন মানুষ কিছু জানে বলেই সে অজানাকে পাঠিয়েছে বহুদূর "একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি,একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি-আজ বেলার কোন এক সময় কোন এক স্থান হইতে কোন একদল ঘাতক কোন একটা কারনে কোন এক জায়গায় কালজয়ী বীরপুরুষ,সময়ের বলিষ্ঠ সাহসী নেতা,সংগ্রামী অগ্রপুরুষ,আধুনিক রাজনীতির পথপ্রদর্শক,বিএনপির সাবেক এমপি,গাঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেউ বা কাহারা যদি উনাকে কোথাও যেকোন অবস্থাতে দেখেন তাহলে অনুগ্রহ করে আগে সরকারের হাতে তুলে দিবেন,বিএনপির হাতে নয়'।
টা হচ্ছে বর্তমানে কোন হারানো বিজ্ঞপ্তির একটি রাজনৈতিক উদাহরন। এটা একটা প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে যে হারানো ব্যাক্তি সরকারের বা বিরোধিদলের যেই হোন না কেন ওই মূহুর্তের জন্য তিনি "কালজয়ী বীরপুরুষ,সময়ের বলিষ্ঠ সাহসী নেতা,সংগ্রামী অগ্রপুরুষ,আধুনিক রাজনীতির পথপ্রদর্শক"। হারানো,গুম ইত্যাদি না হলেও চলবে কেবলমাত্র তাকে কোন রাজনৈতিক দলের লোক হতে হবে।
আর একজন লোক গুম হয়েছে না কিডন্যাপ হয়েছে এই ব্যাপারে তো কথা বলা হয়ই না বরং কেন তাকে গুম করা হয়েছে সেই ব্যাপারে আগে কিছুদিন সরকার,বিরোধীদল উভয়ের মধ্যে আলোচনা চলে,তারপর কিছুদিন আন্দোলন চলে,তারপর কিছুদিন একজন আরেকজনের মতামত নিয়ে খোচাখুচি চলে তারপর যদি সরকারি কাজের ফাকে একটু সময় মিলে তাহলে হয়ত চলবে দোষীদের ধরা নিয়ে তদন্তের অগ্রগতি কতদূর। আর মাঝ দিয়ে হারানো ব্যাক্তির অসহায় পরিবার লাস ভেগাসের জুয়ার আসরের মত মুখে হাত ঠেকিয়ে বসে থাকেন কোন একটু আশার আশায় যদি জুয়ায় লাইগা যায় অর্থাত কোন পজিটিভ খবর সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়। আরে ভাই,ঘুম থেকে উঠেন। মুখ ধুয়ে দেখুন আপনি কোথায় আছেন। হ্যা,আপনি বাংলাদেশেই আছেন যেখানে দূর্যোগ চলাকালিন অবস্থা বলে কিছু নেই।
আছে তো শুধু দূর্যোগ পরবর্তি অবস্থা অর্থাৎ তাকে নিয়ে কোন স্বার্থ উদ্ধার করা যাবে সেটা খুজে বের করা
বিএনপি বলে আওয়ামীলীগ তুলে নিয়েছে,আওয়ামীলীগ বলে বিএকপি তুলে নিয়েছে। আরেহ ভাই,তুলে নিয়েছে তো বুঝলাম। এটা এখন না ভেবে তুলে নেওয়া ব্যাক্তিটিকে তুলে আনুন এবং জিজ্ঞেষ করুন কাহারা তুলে নিয়েছিল। যদিও আন্দাজ করা যায় ওই লোক কি বলবে,হয়ত বলবে,"আমি রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম,হটাত মাথায় একতা বাড়ি খেয়ে চিতপটাং,তারপর কিছুই মনে নেই। যখন হুশ ফিরেছে তখন দেখি আমি একটা হোটেলে রুমে বসে ঘুমাচ্ছি আর সামনের টিভিতে "ইনসেপশন" নামের একটা মুভি চলতাছে।
পুরা মুভি দেখার আগেই আপনারা আইসা তুলে নিলেন"(শর্তঃএক্ষেত্রে লোকটাকে বেচে থাকতে হবে নাহলে কবর দেওয়ার ৭২ দিন পর লাশ তুলে কেমিকেল টেস্ট করতে হবে। এতো ঝামেলায় না গিয়ে সরকারী না হয় বিরোধীদলকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী দোষ দিয়ে দিন)
হরতালের ২য় দিনে একটা ব্যাপার দেখে আমার খুব আফসোস এবং মজা দুটই লাগে। আমার প্রিয়/অপ্রিয় HSC পরীক্ষা দাতা ও দাত্রীরা,এবার তাহলে পরীক্ষা আগাইয়া আনার আন্দোলনে নাইমা যান,নাহলে দেখা যাবে পরীক্ষা যেদিন শেষ তার এক সপ্তাহ পরে রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে আর তারও এক সপ্তাহ পরে ভর্তি পরীক্ষা শুরু। এটুকু হয়ত আপনাদের বুঝতে বাকি নাই যে এই ইলিয়াস আলী কুফা হয়ে আপনাদের পিছে দৌড়াচ্ছে,সরকার উসাইন বোল্টের মত দৌড়াচ্ছে ইলিয়াস আলীর পিছে আর বিরোধী দল ভ্যাম্পায়ার এর মত দৌড়াচ্ছে সরকারের পিছনে। ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবার যে জোর চেষ্টা চলছিল তাতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ যে প্রথম দেশ হিসেবে ধ্বংস হতে যাচ্ছে এটা এখন চোখ বন্ধ করেও দেখা যায়।
আইন্সটাইন স্যার বাইচা থাকলে স্বীকার করে নিতেন যে একটি দেশ ধংসের জন্য পারমানবিক বোমার কোনই প্রয়োজন নাই। একজন ইলিয়াস আলীই যথেষ্ট।
অবশেষে শেষ কথা, চারিদিকে সবাই খালি ইলিয়াস আলীকে খুজে বেড়াচ্ছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীতে এদেশে কি হয়েছিল এটা অনেকে বলতে না পারলেও ১৭ এপ্রিল,২০১২ সালে কে হারিয়ে গিয়েছিল তা এখন সবাই বলতে পারবে। সবাই যখন তাকে খোজার চেষ্টা চালাচ্ছে তখন আমিই বা বসে থাকি কি করে।
আল্লাহর নাম নিয়ে তাকে জায়গা মত খোজা শুরু করলাম যেখানে এখনও কেউ খুজে নাই কিন্তু খুজতে গিয়ে টাস্কি খেয়ে গেলাম। একজন ইলিয়াস আলীকেই কেউ পায় না আর আমি কিনা কমপক্ষে ১০০ জনকে পেয়ে গেলাম!!! কয়জন ইলিয়াস আলীকে এবার আপনাদের দরকার বলেন।
N.B: হ্যা,আপনারা ঠিকই ধরেছেন। আমি তাকে ফেসবুকে সার্চ দিয়েছিলাম। সবাই যেহেতু খুজতাছে তাই আমিও ভাবলাম শুধুমাত্র নাম ইলিয়াস আলী হলেই হল।
ব্যাক্তি যেই হোন না কেন আসল কথা হল তিনি একজন মানুষ এবং তার পরিবারও সবাই মানুষ। তাই তাদের ইমোসন থাকবে। এটা নিয়ে খেলা করার অধিকার কারো নেই। স্বার্থটাকে নাহয় পরে বিচার করলেন। নাহলে শেষে কোন স্বার্থই আপনাদেরকে পালাতে দিবে না।
আপনারাও গুম হবেন তাহলে। "ঘরে থাকলে খুন,বাইরে থাকলে গুম" এই নীতি অনুসরন করা আর বলে কয়ে চুরি করা দুটই এখন সাধারন মানুষের কাছে একই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।