মাথায় যাদের চুল কম (কিন্তু বংশগত টাক নন) , চুল ঘন করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টর ওয়েল। ক্যাস্টর ওয়েল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রিসিনোলেইক এসিড নামে একটি উপাদান থাকে যা ...শুধু ক্যাস্টর অয়েল এবং এক জাতের ফাংগি তে পাওয়া যায়। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে এর কার্যকারীতা বহু পরীক্ষিত। পাশাপাশি ক্যাস্টর অয়েল শুস্ক চুলের রুক্ষতাও দূর করে।
ফল পাবার জন্য সপ্তাহে একবার করে কমপক্ষে দুইমাস ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঘুমাবার আগে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব না হলে, মাথায় লাগিয়ে ১০ মিনিত ম্যাসাজ করে কমপক্ষে দুই ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। আরো ভালো ফল পাবার জন্য, একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে ভিতরের তরল টা মিশিয়ে নিন।
বাজারে দেশী ও বিদেশী দুই ধরণের ক্যাস্টর অয়েল ই পাওয়া যায়।
দেশী গুলো পাবেন ফার্মেসী গুলো তে। ৭০ টাকা মূল্যের বোতল গুলো বড় চুলে ৪ বার ব্যবহার করতে পারবেন। বিদেশী গুলো পাবেন যে কোন সুপার শপ (আগোরা, মিনা বাজার, আলমাস) অথবা বিউটি পার্লার সামগ্রীর দোকানে (যেমন গাউসিয়ার ফেন্সী, ইস্টার্ন প্লাজার রিমস ইত্যাদি)। দাম আনুমানিক ২৫০ টাকা। দেশে প্রস্তুতকৃত ক্যাস্টর অয়েল ও যথেষ্ট কার্যকরী।
শুধু মাথার চুল নয়, যারা চোখের পাপড়ি ঘন করতে চান তারা প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় দুই-তিন ফোটা চোখের পাপড়িতে ব্যবহার করুন।
সতর্কতাঃ ক্যাস্টর অয়েল, মধুর মত ঘন। তাই চটচটে ভাবের কারণে কারো কারো অস্বস্তি হতে পারে। ক্যস্টর অয়েল এর মধ্যে রিসিন নামে একটি পদার্থ থাকে যা পেটে গেলে ক্ষতি হয়। বোতলে ভরার আগেই পরিশোধনের মাধ্যমে রিসিন নির্মুল করে ফেলা হয়।
তারপর ও অতিরিক্ত সতর্কতার কারণ, চুলে ব্যবহারের জন্য তৈরী বোতলের ক্যাস্টর অয়েল মুখ থেকে দূরে রাখুন। (রিসিন নির্মূল করে, ক্যাস্টর অয়েল বিভিন্ন বোতলজাত খাদ্যে প্রিজারভেটিভ হসেবে ব্যবহার করা হয়) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।