আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, এখন যাত্রাপালায় নগ্ন নৃত্য থাকেই

কয়েকদিন আগে পর্নোগ্রাফি নিয়ে সরকার নতুন আইনের নীতিমালা করেছে। পর্নোগ্রাফি আইনের নীতিমালায় ছিল কার ও মোবাইল ফোনে বা কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি থাকতে পারবেনা। কোন যুবক কোন মেয়েকে টিজিং করতে পারবে না। যেীন উত্তেজক কোন ছবি বা ভিডিও কেউ সংরক্ষন করতে পারবে না । কোন নগ্ন নৃত্য বা যেীন উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কোন কিছুই কেউ যাতে না করে তার জন্য এই পর্নোগ্রাফি আইন তৈরি করেছেল সরকার এবং সুশিল সমাজের লোকের এবং নারি আন্দোলন কারী নেত্রীরা।

যাতে সমাজে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এবং নির্বিগ্নে জীবন চলাচল করতে পারে সেই জন্য এই আইন তৈরি করেছিল তারা। যার সাজা হিসেবে জেল জরিমানার ও বিধান করেছিল তারা। অথচ এই সমাজের প্রসাশনিক দায়িত্ববান লোকজনের মুখেই যদি এই কথা শুনা যায় তাহলে দেশের আইন করে ই বা কি লাভ। তাহলে নির্বিগ্নে বলা যেতে পারে আইন কি শুধু সমাজের অবহেলিত লোকজনের জন্যই। যারা সমাজে আইনের সাজা বাস্তবায়ন করবে তারাই যদি এই কথা বলে।

দেখেন একজন ওসি যা বললেনঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলার রেলবাজার হাট ও হান্ডিয়াল কলেজের মাঠে যাত্রা ও সার্কাসের নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চালানো হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা এসব চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবাহান এবং মূলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও রেলবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মহরম হোসেনের উদ্যোগে ১৮ এপ্রিল থেকে রেলবাজার হাটে যাত্রা ও জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। প্রতিরাতে এখানে যাত্রার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়াখেলা। অপর দিকে বিএনপির নেতাদের সহযোগিতায় উপজেলার হান্ডিয়াল কলেজের মাঠে সার্কাসের আসর বসিয়েছেন হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল করিম।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বৈশাখী বিনোদনের নামে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা আর্থিক ফায়দা লুটতে এই যাত্রা, সার্কাস ও জুয়ার আসর বসিয়েছেন। আশপাশের গ্রামগুলো থেকে প্রতিদিন শত শত উঠতি বয়সী যুবক আসরে অংশ নিচ্ছে। এতে একদিকে তাদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে অন্যদিকে জুয়ার আসরে হারাচ্ছে নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ। এ ছাড়া যাত্রা ও সার্কাসে চলা মাইকের শব্দে পড়ালেখা করতে পারছে না এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। যাত্রার আসর ঘুরে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, রাত ১২টার পর থেকে যাত্রামঞ্চে অশ্লীলতা শুরু হয়।

একদিকে চলে অশ্লীল নৃত্য অন্যদিকে জুয়ার আসর। প্রশাসনের লোকজন মাঝেমধ্যে এসে ঘুরে যান। কিন্তু তাঁরা কখনোই আয়োজকদের কিছু বলেন না। উপজেলার কুবিরদিয়ার গ্রামের আবদুল ওহাব ও আবদুল করিম জানান, তাঁদের দুজনের দুই ছেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এক সপ্তাহ ছেলেরা রাতে পড়তে পারছে না।

মাইকে অশ্লীল গানের শব্দে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রেলবাজারের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, বাজারের পাশেই তাঁর বাড়ি। মা-বাবা দুজনই অসুস্থ। কয়েক দিনে মাইকের শব্দে তাঁরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে যাত্রা, সার্কাস চলছে।

এখানে কার কী বলার আছে। যারা আইন রক্ষা করবে, তারাই যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে কিছু করার থাকে না। সার্কাসের আয়োজক হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাউকে সার্কাস দেখতে বাধ্য করি নাই। যাদের ভালো না লাগে, তাদের এসব দেখতে আসর দরকার নেই। ’ যাত্রার আয়োজক মূলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবাহান ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মহরম হোসেনের বলেন, ‘যা চলছে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই চলছে।

খারাপ কিছু থাকলে প্রশাসন বন্ধ করে দিত। ’ চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, এখন যাত্রাপালায় নগ্ন নৃত্য থাকেই। এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। তবে জুয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈশাখ উদ্যাপন উপলক্ষে যাত্রা ও সার্কাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

তবে সেখানে কোনো অশ্লীল বিষয় উপস্থাপন ও জুয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হবে। অশ্লীল কিছু থাকলে অথবা এলাকাবাসীর সমস্যা হলে যাত্রা-সার্কাস দুটোই বন্ধ করে দেওয়া হবে। তথ্যসুত্র এখন আপনারা বলেন এই ওসির কি সাজা হবে বা ওই ওসি কি আইনের আওতায় আসবে নাকি ওসিরা বা প্রসাশনের লোকেরা আইনের উর্ধ্ধে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।