একমাত্র সত্য ও সুন্দরের জন্য দেশে হচ্ছে কী? ব্যারিস্টার রফিকুল হকের এই কথা এখন আর ব্যক্তিবিশেষের বিস্মিত স্তম্ভিত খেদোক্তি নয়, সারাদেশের প্রতিটি জনপদের প্রতিজন মানুষের। শুধু কিছু মানসিক রোগী এবং দুগ্ধপোষ্য কয়েক লাখ সদ্যোজাত শিশু ছাড়া, সবারই চোয়াল হা হয়ে গেছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় এবং কিংবাক্যবিমূঢ়। এক ধরনের জনযট, যানজট এবং তাম্রতপ্ত গরমে অস্থির ও অতিষ্ঠ আবহাওয়া বিষাক্ত ভিমরুলের মতো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে শহর, বন্দর, গঞ্জ ও গ্রামগুলোকে। এর সঙ্গে বিদ্যুতের নিয়ন্ত্রণহীন স্বেচ্ছাচারী ভেল্কিবাজি মানুষের সহনশীলতার পিঠকে ঠেকিয়ে দিয়েছে দেয়ালে।
বস্তা ভর্তি টাকাসহ ঘুষকাণ্ডে তুষ হয়ে বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ক্রিজ থেকে আউট হওয়া আবার ‘উজিরে খামাখা’ হয়ে বহাল থাকার নিম্নশ্রেণীর কেলেঙ্কারির রেশ ধামাচাপা দেয়ার জন্যই জাতির স্কন্ধে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে আরেক ভয়ানক দুঃসংবাদ, এককালের তুখোড় ছাত্রনেতা, তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনাময় রাজনীতিবিদ জননেতা ইলিয়াস আলী গুম হয়ে গেছেন। সবাই যখন ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে উদ্বেগ উত্কণ্ঠায় নিদ্রা ও বিশ্রামহীন, সেই ফাঁকে ‘মামুদের বাড়িতে আগুন লেগেছে, সেই আঁচে চালগুলো ফুটিয়ে নেই’ প্রবাদ বাক্যকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুত্ বিভাগের আরেক দফা বারটা বাজিয়ে দিয়েছে বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড। তারা যদিও ‘ভাত দেয়ার মুরোদ নেই’ অবস্থায় আছে, তবুও দেশ ও জাতির ঘাড় মটকে খাওয়ার খাসলত ত্যাগ করতে পারেনি। ব্যাপক-বিশাল সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে গা ভাসিয়ে তারা এবার সব নীতি-নৈতিকতা ও চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়ে ৮ কোটি টাকার মিটার কিনছে ২১ কোটি টাকায়। অর্থাত্ যে মিটার ৮ কোটি টাকায় পাওয়া যায় কিনতে, তার দাম ২১ কোটি টাকা দেখিয়ে, মাঝখানে ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চমত্কার ব্যবস্থাপনা দাঁড় করিয়েছে।
তাও আবার ছহি ও বিশুদ্ধ টেন্ডারের নামে। সব টেন্ডার জমাদানকারীদের গলাধাক্কা দিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পেয়ারের ও পছন্দের সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে মিটার কেনার কার্যাদেশ প্রদান করে বর্তমান সরকারের দুর্নীতির ভারে ধুলায় লুটিয়ে পড়া শিরে আরও একটি পালক লাগিয়ে দিয়েছে। আর তাদের এই পালক সংযোজন কর্মে রাষ্ট্রকে গচ্চা দিতে হবে ১৩ কোটি টাকা। আখেরে যা পরিশোধ করতে হবে দেশের হতভাগ্য সাধারণ মানুষকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।