আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি। ১)রাসুলের(সাঃ) হারুনঃ
‘হে আলী! তুমি আমার কাছে সেরুপ যেরুপ ছিল হারুন,মুসার কাছে। কেবল আমার পরে কোন নবী আসবে না’। (সুত্রঃছহি বুখারিঃ৬/৩,মুঃ১৩১৪ তাবুকের যুধ্ব অধ্যায়,সহি মুসলিম ৭/১২০ আলীর ফাজাইল অধ্যায়,সুনানে ইবনে মাজা ১/৫৫, ফাযায়েলে আসহাবে নবী অধ্যায়ে,মুসনাদ ইবনে আহমদ ১/১৭৩,১৭৫, ১৭৭, ১৭৯, ১৮২,১৮৫ এবং ২৩০)।
২)রাসুলের(সাঃ) স্থলাভিষিক্তঃ
জেনে রেখো যে,আলী তোমাদের মাঝে আমার ভাই,উত্তরসুরী এবং স্থলাভিষিক্ত।
সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে। (সুত্রঃতারীখে তাবারী,২/২১৭,আল কামিল ফিল তারীখ ২/৬৪,মাআলিমুত তানযিল ৪/২৭৮)।
৩)জ্ঞানের নগরীর দরওয়াযাঃ
‘আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী তার দ্বার। কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাকে দ্বার দিয়েই আসতে হবে ’। (সুত্রঃ তারীখে বাগদাদ১১/৪৯-৫০,আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৭/৩৭২,আল-মুস্তাদরাকে হাকেম ৩/১২৬-১২৭,জামেউল উসুল ৯ঃ৪৭৩/৬৪৮৯,আল জামেউস সাগীর ১ঃ৪১৫/২৭০৫)।
৪)সর্বপ্রথম নামাযীঃ
‘সর্বপ্রথম যে আমার সাথে সালাত আদায় করেছে সে হলো আলী’। (সুত্রঃকানযুল উম্মাল, ১১ঃ৬১৬/৩২৯৯২,আলে ফেরদৌস ১ঃ২৭/৩৯)।
৫)কেয়ামতের দিন বিজয়ীঃ
যেমন এরশাদ হচ্ছে, “অবশ্যই যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তারাই সৃষ্টির সেরা”(সুরা আল-বায়িনাহঃ৭)।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেছেন,যখন উক্ত আয়াত নাজিল হলো তখন রাসুল(সাঃ)হযরত আলী(আঃ)কে উদ্দেশ্য করে বললেন,”এই আয়াতের সাক্ষ্য প্রমান আলী তুমি এবং তোমার শিয়ারা(অনুসারীরা),তোমরা কিয়ামতের দিন আসবে তোমাদের ব্যাপারে রাজি হবেন এবং তোমরা আল্লাহর উপর রাজি হবে এবং তোমাদের শত্রুর কালো মুখ ও বিশ্রী চেহারা নিয়ে আসবে”। (সুত্রঃতাফসীরে দুররে মনসুর,খঃ৬,পৃঃ৩৭৯;আরজাহুল মাতালেব,পৃঃ১২২,৮৭৭(উরদু);নুরুল আবসার,পৃঃ৭৮,১১২;ফুসুলুল মোহিম্মা, পৃঃ১২৩;শাওয়াহেদুত তানজিল,খঃ২।
পৃঃ৩৫৬;মুসনাদে হাম্বাল,খঃ৫,পৃঃ২৮তারিখে বাগদাদ,খঃ১২,পৃঃ২৮৯;ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাত,পৃঃ৬২, আল ফেরদৌস ৩ঃ৬১/৪১৭২)।
৬)অন্তরসমুহের কা’বা স্বরুপঃ
রাসুল(সাঃ) ইমাম আলী(আঃ)কে বলেনঃ ‘তুমি কা’বার ন্যায়। সবাই তোমার কাছে আসে কিন্তু তুমি কারো কাছে যাও না। (সুত্রঃউসুদুল গবাহ ৩১৪৬)।
৭)রাসুলের(সাঃ) উত্তরসুরী
রাসুল(সাঃ) হযরত আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ ‘ এ হলো আমার ভাই,আর আমার পরে আমার ওয়াসী এবং খলিফা।
তার নির্দেশের প্রতি করনপাত করো এবং তার আনুগত্য করো। (সুত্রঃতারীখে তাবারী ২ঃ৩৩১,মাআলিমুত তানযিল ৪ঃ২৭৯,কানযুল উম্মাল ১৩ঃ১৩১)।
৮)হেদায়াতের পতাকা
রাসুল(সাঃ) বলেন, ‘বিশ্ব প্রতিপালক আলীর ব্যাপারে আমার সাথে কঠিনভাবে অঙ্গীকারাবদ্ব হয়েছেন। অতঃপর আমাকে বলেছেনঃনিশ্চয়ই আলী হলো হেদায়াতের পতাকা,ঈমানের শীষ্র চূড়া,আমার বন্ধুগনের নেতা আর আমার আনুগত্যকারী সকলের জ্যোতিস্বরুপ। (সুত্রঃহিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১ঃ৬৬,শারহে নাহজুল বালাগাহ-ইবনে আবীল হাদীদ ৯ঃ১৬৮)।
৯)সর্বপ্রথম মুসলমান
রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ ‘তোমাদের মধ্যে সবার আগে হাউজে কাউসারে প্রবেশ করবে সেই ব্যাক্তি যে সবার আগে ইসলাম গ্রহন করেছে। আর সে হলো আলী ইবনে আবি তালিব। (সুত্রঃআল-মুস্তাদরাক-হাকেম ৩ঃ১৩৬,আল ইস্তিয়াব ৩ঃ২৭,২৮;উসুদুল গাবাহ ৪ঃ১৮;তারীখে বাগদাদ ২ঃ৮১)।
১০)নবীকুলের সার নির্যাস
রাসুল(সাঃ) বলেনঃ ‘যে ব্যাক্তি আদমকে তার জ্ঞানে,নুহকে তার ধীশক্তিতে, ইব্রাহীমকে তার দুরদরশিতায়,ইয়াহিয়াকে তার সংযমশীলতায় আর মুসা ইবনে ইমরানকে তার সাহসিকতায় দেখতে চায় সে যেন আলী ইবনে আবি তালিবের প্রতি লক্ষ্য করে। (ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব-ইবনে আসাকির ২ঃ২৮০/৮১১,আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭ঃ৩৬৯)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।