আমি জাতির আধার রাতের আলো... জাননে কি প্রাচীনকালে মহাস্থানগড় ছিল বাংলার রাজধানী; যার নাম ছিল পুণ্ড্রনগর, ইতিহাসে যা পুণ্ড্রর্বধন নামে পরচিতি। আড়াই হাজার বছর আগের ইতিহাস ও ঐতহ্যিকে বুকে ধারণ করে গড়ে উঠেছিল বগুড়ার মহাস্থানগড়। বগুড়া শহর থেকে উত্তরে ১৩ কিলোমিটার দূরে বগুড়া জেলার এক গৌরবোজ্জ্বল র্কীতি খ্রিষ্ঠপূব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পঞ্চাশ শতাব্দীর মধ্যে একটি সমৃদ্ধিশালী জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠে। এখানে র্মৌয, গুপ্ত ও পাল রাজাদরে প্রাদশেকি রাজধানী ছিল। কিন্ত এখন সেই রাজধানী নেই, রয়েছে ইতিহাসের পাতায় বাংলাদশেরে সব প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশষে ও প্রত্নতাত্ত্বকি বহু নর্দিশন।
ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় প্রাকৃতকি সৌর্ন্দযরে অর্পূব লীলাভূমী। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান র্ধমাবলম্বীদরে র্তীথস্থান হিসেবে মহাস্থানগড়রে ব্যাপক পরিচিতি রয়িছে। হিন্দু রাজা পরশুরামকে যুদ্ধে পরাজতি করে হজরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী মাহীসওয়ার (রহ.)। তার ধীরে ধীরে মহাস্থানগড় হয়ে ওঠে মুসলমি অধ্যুষতি এলাকা হিসেবে। সেই থেকে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার র্ধমপ্রাণ মুসলমান মহাস্থানগড়ে আসতে থাকেন।
এভাবেই মহাস্থানগড় হয়ে ওঠে র্পযটকদরে গুরুত্বর্পূণ স্থান। মহাস্থানগড়রে বিশাল ঐতিহাসিক পটভূমি থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের বাইরে বহু নারী-পুরুষ প্রতিদিন এখানে আসে। ধীরে ধীরে মহাস্থানগড় হয়ে ওঠে অন্যতম বিনোদন এলাকা। একটুখানি বিনোদন পাওয়ার আশায় প্রতদিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে শত শত নারী-পুরুষ আসে বিশেষ করে মুসলমান ও হিন্দু র্ধমাবলম্বীদরে প্রধান র্ধমীয় অনুষ্ঠানরে দিন গুলোতে উপচপেড়া ভিড় লক্ষ্য করার মতো। বগুড়া ও এর র্পাশ্বর্বতী জয়পুরহাট, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ আসে মহাস্থানগড়ে একটু আনন্দ উপভোগ করার জন্য।
মহাস্থানগড়রে ইতিহাস ও ঐতহ্যিরে গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৬৭ সালে করতোয়া নদীর কিনারা ও মহাস্থানগড়রে টিলা সংলগ্ন এলাকায় প্রতষ্ঠি করা হয় প্রত্নতাত্ত্বকি এই জাদুঘর। পরে বাংলাদশে সরকাররে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সেটি দেখাশোনা করে। উত্তরাঞ্চলরে ঐতিহাসিক স্থানগুলো মহাস্থানগড়, দিনাজপুর, পাহাড়পুর, শরেপুর, রানী ভবানীপুর এলাকা থেকে বভিন্নি সময়ে উদ্ধার করা প্রাচীন সামগ্রী ধীরে ধীরে জাদুঘরে শোভা পেতে থাকে। হাজার হাজার বছর আগরে সোনা, রুপা, লোহা, ব্রোঞ্জ, পাথর, কাঁসাসহ বভিন্নি মূল্যবান ধাতব পর্দাথ ও পোড়ামাটরি তৈরী মূর্তি আত্মরক্ষার জন্য ধারালো অস্ত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় তজৈসপত্র ইত্যাদি সামগ্রী শোভার্বধন করে মহাস্থানগড় জাদুঘররে। প্রায় সাড়ে তনি হাজার মাটির দর্ঘ্যৈ, আড়াই হাজার মাটির প্রশস্ত ও উঁচু টিলা বগুড়ার মহাস্থানগড়রে নৈসগিক দৃশ্য দখেতে প্রতদিনি হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় জমায় এখান।
দেশের বভিন্নি এলাকা থেকে স্কুল, কলজে, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা শিক্ষা সফররে জন্য রয়েছে মহাস্থানগড়রে মতো ঐতিহাসিক এ জায়গাক। আড়াই হাজার বছর আগরে মানুষরে তৈরী ইমারতগুলো এখানে ঠাঁয় দাড়িয়ে রয়ছে। বছররে সব সময় দশে-বদিশেরে র্পযটকরা এখানে আসনে। মহাস্থানগড়রে সুউচ্চ টিলার ওপর হজরত শাহ সুলতান বলখীর (রহ.) মাজারে কেউ আসে জিয়ারত করত,কেউ আসনে মহাস্থানগড়রে ধ্বংসাবশষে প্রত্নতাত্ত্বকি নর্দিশনরে নানা তথ্য ও ইতিহাস জানত। দশেরে বভিন্নি শিক্ষা সফর থেকে ছাত্রছাত্রী, শক্ষিক, গবষেক, বিশেষেজ্ঞরা শিক্ষা সফররে সুন্দর স্থান হিসেবে বেছে নিয়ে এখানে এসে থাকনে।
এছাড়া লখেক, সাহত্যিকি, সাংবাদকি, শিক্ষাবিদ ভ্রমণরে স্থান হিসেবে মহাস্থানগড়ে আসনে। মহাস্থানগড় ও এর আশপাশরে যসেব ঐতিহাসিক নির্দশন আজও তার ঐতহ্যি নিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে ।
অতীত ইতিহাস-ঐতহ্যিকে সমুন্নত রাখতে বিশ্বঐতহ্যিরে (ওর্য়াল্ড হরেটিজে) সদস্য হয়েছে বাংলাদশেরে তিনটি ঐতিহাসিক স্থান। সে গুলো হলো, খুলনার বাগরেহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ, নওগাঁ জলোর পাহাড়পুর ও সুন্দরবন। বগুড়ার মহাস্থানগড় আড়াই হাজার বছর আগরে র্মৌয যুগ, পাল আমল, গুপ্ত আমলরে ইতিহাস বহন করে এলেও এখন র্পযন্ত ওর্য়াল্ড হরেটিজেরে সদস্য হতে পারেনি মহাস্থানগড়।
বাংলাদশে সরকাররে সহযোগীতা পেলে বগুড়ার মহাস্থানগড় সহজেই ওর্য়াল্ড হরেটিজেরে সদস্য হতে পার। সরকার ইচ্ছা করলই বগুড়ার মহাস্থানগড়রে অতীত ঐতহ্যি কাজে লাগিয়ে একে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে দশেরে শ্রষ্ঠেতম কিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে। এখন যভোবে নারী-পুরুষরা মহাস্থানগড়ে এসে আনন্দ উপভোগ করনে, সরকারীভাবে আরও সুন্দর সুন্দর বিনোদনের ব্যবস্থা করা হলে এখানে গড়ে উঠতে পারে কক্সবাজার, সুন্দরবন, পাহাড়পুর, ময়নামতি ও কুয়াকাটার মতো শ্রষ্ঠে বিনোদন কেন্দ্র। এতে করে মহাস্থানগড় ও তার র্পাশ্বর্বতী এলাকার শত শত বকোর যুবকদরে র্কমসংস্থান সৃষ্টি একদিকে অন্যদিকে বছরে সরকাররে কোটী-কোটী টাকা রাজস্ব আয় হব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।