© এই ব্লগের সকল পোষ্ট,ছবি,থিম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কোথাও বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করা নিষেধ । আসলে ব্লগ আপনাকে আমাকে না খাওয়ালে আর না পরালেও মডারেটর /এডমিনদের কিন্তু ঠিকই খাওয়াচ্ছেন। যাঁদের ৭ দিন এর পর্যবেক্ষণ শেষ হয় কখনো কখনো ৭ মাসে । এই ৭ মাস,দুঃখিত ৭ দিনের পর্যবেক্ষণ শেষ হতে হতে অনেক নবীনরা ই আশা ছেড়ে দিয়ে লেখার ভাবনাই বন্ধ করে দেন।
আচ্ছা ঐসব নবীনদের লেখার কথা বাদই দিলাম,আস্তিক-নাস্তিক দের খিস্তি খেউর,ব্লগ সিন্ডিকেট,অশালীন ভাষা ও লিংক চেয়ে পোষ্ট গুলো বা ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেও প্রায়ই দেখা যায় ঢিলেঢালা ভাব।
ঠিক যেন বাংলা সিনেমায় পুলিশের আগমন সব কিছুর শেষে।
আচ্ছা এটা না হয় বাদই দিলাম। ইদানীং কালে ব্লগ হয়তো পাখি ভাইয়ের বারা ভাতে ছাই দিয়ে দেয়ার উপক্রম। ভুল বললাম,এটাতে ব্লগের দোষ না,দোষ না গুন ও না । কিন্তু এতে করে ফেসবুক,ইয়াহু এর পরে জুটি খুঁজে নেওয়ার নতুন মাধ্যম হতে যাচ্ছে ব্লগ হয়তো।
আহা !কি শুরু করতে গিয়ে কি ই বা বকছি। এই যে আপনি নিজের সময় আর অর্থ ব্যয় করে ব্লগে সময়টা দিচ্ছেন। কখনো কি ভেবেছেন এর ফলে আপনার পাওয়ার ভাগ কতটুকু? ২৪ ঘণ্টা হিসেবে যদি ১০০ টা পোষ্ট আসে তাহলে কয়টা পোষ্ট আপনার কাছে সু-পাঠ্য বলে বিবেচিত হবে?ধরে নিলাম ১০ বা ২০ টাই ধরি,এই পোষ্ট বা লেখা গুলো হয়তো ঠিকই আছে,কিন্তু তা আপনার ব্যক্তি জীবনের কোন অংশে প্রভাব ফেলে,ভেবেছেন কি?
আর বাকী যেই ৯০ বা ৮০ টা পোষ্ট আছে আবর্জনা হিসেবে সেগুলো ব্লগে থেকে, আসলে তার ধর্মই পালন করে। কখনো কি দেখেছেন,ব্লগ থেকে ভালো লেখা গুলোর জন্য সম্মাননা জানাতে? মাঝে মাঝে তীর-ধনুকে বাঘ সাদৃশ্যে গুণীরা তাঁদের সংকলনে ঐসব লেখাকে স্থান দেন। হয়তো যিনি স্থান পান তিনি হয়তো ধরেই নেন আমি সার্থক !আসলেই কি সার্থকতাটা কি এখানে স্থান পাওয়ার মাঝে?নাকি আপনি যেই ক্লাসে ক্লাস করছেন সেখানে ফাস্ট হওয়ায়,যেখানে আপনাকে জানানো হয় সম্মান।
আজকাল সবাই বিশ্বাস করেন,ব্লগ মত প্রকাশের বিকল্প মাধ্যম। মানি সেটা,কিন্তু,এই মাধ্যম কে শক্তিশালী করে মত গুলোকে আধুনিক ব্রাক্ষণদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কোন পরিকল্পনা কখনো হয়তো দেখা যায় না।
আবার,ব্লগকে কেন্দ্র করেই অনেক হিট-অন্বেষী সন্ন্যাসিনী – যোগী/সন্ন্যাসী তৈরি হয়েছেন। যাঁদের মতান্তরে ২০-৩০ টা নাকি মাল্টি থাকে। আচ্ছা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে বলতে চাই,এই হিট কি আপনি বাড়ি নিয়ে গিয়ে কি রান্না করে খান ?তো, সেই সব মহান মাল্টি-ধারী-ধারিণীদের ধরার কোন সুযোগই আবার রাখা নাই ব্লগে।
যার ফলশ্রুতি তে,ক্যাচাল নামক বস্তু বা বিষয়ের উদয় হলেই,সকলের খিস্তি-খেউরের ডায়রিয়া শুরু হয়।
তো অনেকেই মাল্টি গ্রহণ করে অনেক যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা আসলে বলতে গেলে বুদ্ধিমান কাপুরুষ। যোদ্ধা আসলে তাঁকেই বলা শ্রেয় যে সম্মুখে এসে দাঁড়ায়।
ও !অনেক ব্লগারাই আজকাল সেলিব্রটি চেয়ে ও বেশী লুকায়িত থাকেন ।
থাকেন না আসলে থাকতে ভালোবাসেন। ধরা ছোঁয়ার বাইরে বলতে গেলে। জ্ঞাতার্থে বলতে চাই,আজ পর্যন্ত যত বিপ্লব দেখেছি,কোথাও দেখিনি গর্তে থেকে আন্দোলনে জয়ী হতে।
সেটা হোক ছাগু ফাইটিং আর হোক লুল ফাইটিং এ । মাউস-মনিটর আর ব্লগে ছাগু ফাইটিং এ শহীদ বা গাজীদের বলছি,ব্লগে এসবের ধোয়া উঠানো খুবই সহজ,কিন্তু আন্দোলনের ডাক পড়লে সবাই তখন সাথে আছি বলেই পিঠ চাপরায় কিন্তু সাথে এসে দাঁড়ায় না।
অন্যদিকে এই সব ছাগুদের ব্যান করা হয় না ব্লগ হিটের স্বার্থেই।
আবার শোনা যায়,সুশীল লুল শ্রেণীর কথা। যাঁদের সাথে সবারই ভালো সম্পর্ক কম-বেশী। কারণ মিষ্টি কথায় চিড়ে ভিজাতে কি করে হয় তা তাঁরা ভালোই জানেন। আর যাঁদের সাথে লুলামীটা করা হয় তাঁরা কি শুরুতে কিছুই বোঝেন না? এখানে ও সবাই বহাল তবিয়েতেই থাকেন অন্য সব বারের মতই।
আরো কিছু বিষয়ের মত,যেটা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে আস্তিক-নাস্তিকের বিষয়। এই দুই দলের মহান পূজনীয়রা,এঁদের মধ্যে কেউ কেউ সেরা ব্লগার হোন,জাতীয় ভাবে,আন্তজাতিক ভাবে পান নমিনেশন। তাঁরা পারলে ব্লগেই নাস্তিকতা-আস্তিকতার কথাই খই ফুটিয়ে ভেজে খান। অথচ বাস্তব জীবনে তার প্রতিফলন অশ্ব ডিম্ব।
আর আমরা যা করি তা হলও,ঘরের খেয়ে বনের মোষ তারাই।
ভালো কিছু খুঁজে বের করে সহস্র সময় অপচয় করে চেষ্টা করি ভালো কিছু খুঁজে বের করতে। আর সেই খুঁজে পাওয়ার ফল প্রাপ্তি শূন্য।
বিদায় । । ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।