আমি একজন আম জনতা আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩নং ইউনিটটি। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় এবং নানা সমস্যার কারণে ৩নং ইউনিট বন্ধ হয়ে যাবার পর আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। বিদুৎকেন্দ্রটি জার্মান অলস্টর্ম কোম্পানি দিয়ে মেরামত করানোর কথা ছিল। এ বাবদে বাংলাদেশী টাকায় তাদের ডিমান্ড ছিল ১০ কোটি টাকা এবং ছয় মাস সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকা বিশেষ করে সময় বিবেচনায় তাদের সঙ্গে চুক্তিতে না গিয়ে দেশীয় প্রকৌশলীদের দিয়েই শুরু হয় এর মেরামত কাজ।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে ১০ জন দেশীয় প্রকৌশলী দু’মাস সময় নিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা ব্যয় করেই সংস্কার কাজ শেষ করে ফেলে । ফলে আগামী ১৫ বছর ইউনিটটিতে আর বড় ধরণের সংস্কার কাজ করতে হবে না বলে জানান আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আলম। আর এর ফলে সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। তার চেয়ে বড় কথা এর মাধ্যেমে আমাদের দেশীয় প্রকৌশলীরা যে মনোবল আর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে সেটা ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজে লাগবে। আর সেটা হলে এভাবে দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ থেকে সরকার এবং জনগণ রক্ষা পাবে।
আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে অভিনন্দন!! : ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।