রাজনীতিবীদদের ঘৃণা করি--- ভাস্কো-দ্য-গামা আর কলম্বাসের ভীষণ মন খারাপ। ঈশ্বরের বিশেষ দূত আজ তাদেরকে জানিয়েছে যে, বঙ্গদেশের ১ কন্যা তাদের অর্জিত সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।
ভাস্কো-দ্য-গামা - দোস্ত, কি করি বলতো।
কলম্বাস- আমিও কিছুই বুঝতে পারতেছিনারে দোস্ত।
ভাস্কো-দ্য-গামা - ভালোইতো শান্তিতে ছিলাম।
কি অশান্তি শুরু হইল!
কলম্বাস- দোস্ত চল, ঈশ্বরের কাছে যাই।
ভাস্কো-দ্য-গামা - বা: তোর বুদ্ধির তারিফ করতে হয়!
ভাস্কো-দ্য-গামা আর কলম্বাস ঈশ্বরের দরবারে উপস্থিত।
ঈশ্বর- কি ব্যাপার বীরপুঙ্গবের দল, কি খবর?
কলম্বাস- হে ঈশ্বর! বড়ই অন্তর জ্বালায় আছি!
ঈশ্বর- আমি সবই জানি। তো এখন কি করতে পারি?
ভাস্কো-দ্য-গামা -ঈশ্বর, আমরা ঐ দেশে যেতে চাই।
ঈশ্বর- আমারতো মনে হয় তোমাদের সেখানে যাওয়া ঠিক হবেনা।
কারণ ঐ কন্যার সমর্থকগণ যদি জানতে পারে তোমরা ঐখানে গিয়েছ, তবে তোমাদের সমূহবিপদ।
কলম্বাস আর ভাস্কো-দ্য-গামা একযোগে- কিরকম, কিরকম!
ঈশ্বর- তারা যদি তোমাদের পরিচয় জানতে পারে তবে নির্ঘাত গায়েব করে দিবে। কারণ উহারা তাদের নেত্রি ব্যতীত আর কারো কোনো অর্জন স্বীকার করেন
কলম্বাস আর ভাস্কো-দ্য-গামা একযোগে- হা্য় ঈশ্বর! তবুও আমরা যেয়ে দেখতে চাই জনাব।
ঈশ্বর কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, আচ্ছা, ঠিক আছে। তবে তোমাদের ২ জনকেই বোবা-কালা করে পাঠাবো।
তবে তোমরা শুধু একজন আরেকজনের কথা শুনতে পাবে।
কলম্বাস আর ভাস্কো-দ্য-গামা একযোগে- ঈশ্বর মহান!
ঈশ্বর কলম্বাস আর ভাস্কো-দ্য-গামাকে ঢাকা শহরে পাঠালেন। কলম্বাসকে মিরপুর-১২ আর ভাস্কো-দ্য-গামাকে গুলিস্তানে।
কলম্বাস মিরপুর-১২থেকে হাঁটতে হাঁটতে যতই সামনের দিকে যেতে থাকল, নেত্রিকে নিয়ে নানাধরনের চাটুকারিতামূলক ব্যানার দেখে মনে মনে ঈশ্বরের কাছে বলল, হায়! ঈশ্বর কেন যে আইলাম! এই দেশে কি এই নেত্রি ছাড়া আর কোনো মানুষ নেই! মিরপুর-১০ এ এসে তারতো চক্ষু চড়কগাছ!
পিতা দিল স্বাধীনতা, কন্যা দিল সাগর---- কলম্বাস আর পড়তে পারলোনা, তার ২ চোখ অশ্রুতে ভরে গেল।
ঐদিকে,ভাস্কো-দ্য-গামা দেখল যে একটা ময়দান ভরা অনেক মানুষ।
আরো মানুষ আসছে। সবার হাতে জনৈক নেত্রি আর সমুদ্রবিজয় নিয়ে নানা ধরনের ব্যানার। ভাস্কো-দ্য-গামা তাদের সাথে ময়দানে গেলেন। দূরে মঞ্চ হতে ১ জনের পর ১ জন শুধু ভাষণ দিয়ে চলছেন। সবার মুখে শুধু নেত্রি আর সমুদ্র।
মনের দু:খে ভাস্কো-দ্য-গামা মাথা নিচু করে হাঁটতে থাকলেন।
ঘন্টা কয়েক পরে ফার্মগেট ওভারব্রীজের নীচে মানুষের বিশাল ভীড়। সবাই দেখছে, ২ জন ভীনদেশী মানুষ একজন আরেকজনের কানের কাছে ফিস করে কি যেন বলছে, আর একটু পর পর একবার জোরে জোরে হেসে উঠছে আবার একটু পর হাউমাউ করে কাঁদছে।
তাদের বলা কথাগুলি ঈশ্বরও শুনলেন আর তিনিও হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়লেন। কথাগুলি ছিল কিছুটা এরূপ- সাগর কন্যা, সাগর বিজয়ী হে নেত্রি, সাগর রত্ন, সাগর জননী---------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।