আমি ৫০০৯৩ নম্বর ব্লগার আমি শ্যামও রাখলাম, আমি কূলও রাখলাম। আমি লোটাস কামাল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একছত্র অধিপতি, আমার নিজের স্বার্থের জন্য সাকিব-তামিমদের রকেট হামলার সামনে ঠেলে দিলাম। আপনারা তো জানেন আমি পরবর্তী আই সি সি প্রেসিডেন্ট হবো। তার জন্য আমি সব কিছু করবো। পাক-ভারতকে খুশি করতে পারলেই আমার লাভ, বাংলদেশ ক্রিকেট জাহান্নামে যাক।

বন্ধুরা, বুঝে নিয়েছেন নিশ্চয়ই, কি বলতে চেয়েছি। এই আওয়ামলীগারটা আমাদের ক্রিকেটকে যেমন খুশি তেমন নাচাচ্ছে। ঠিক যেমন করে পাকিস্তানী ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্রিকেট নিয়ে খেলা করে। পাকিন্তান এই খেলা করে করে আজ তাদের ক্রিকেটকে কি রকম ধ্বংস করেছে তা আমরা সকলেই জানি। ঠিক একই কায়দায় লোটাস কামাল আমাদের ক্রিকেট নিয়ে খেলা করছে।

তাই ভবিষ্যত অন্ধকার। যেখানে পৃথিবীর অন্য কোন দেশ ক্রিকেট সফর করছে না, সেখানে তিনি পাকিস্তনীদের ত্রাতা সেজেছেন। যেখানে আই সি সি এখনো নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান সেখানে ইনি সাকিব-তামিম-মাশরাফি-রাজ্জাকদের নিয়ে জুয়া খেলতে চলেছেন। আহা, কি বীরত্ব! আমি কি ডরাই সখি ভিক্ষারী রাঘবে! কদিন আগেই এই লোকটা জাতীয় দল থেকে স্বৈরতন্ত্রী করে তামিমকে বাদ দিয়ে কি খেলাটাই না করলো। আকরাম খান পদত্যাগ করলেন, জনগণের প্রচন্ড চাপে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন।

লন্ডন থেকে ফিরে কামাল সাহেব বলেছিলেন এখন না, এশিয়াকাপের পরে এটা নিয়ে কথা বলবেন। না , এনাকে আর কিছু বলা লাগেনি, তামিম চার ফিফটি করে দলকে ফাইনালে তুলে চার আঙুল উচিঁয়ে এমন জবাব দিয়েছে যে উনি আর কিছু বলতে সাহস পাননি। ভেবেছিলাম একটু হলেও লজ্জা আছে লোকটার। কিন্তু না, তিনি তো আওয়ামলীগার, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, তার লজ্জা থাকবে কেন? তাহলে তো কালো বিড়ালকে অমর্যাদা করা হয়, তাই অচিরেই ফিরে এলেন স্বরূপে। কিছুদিন না না করে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।

এটা সাংঘাতিক পাকিস্তানী মন্ত্র। এই মন্ত্র বা ভুত এখন লোটাস কামালের ঘাড়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিনিময়ে তাকে আই সি সির প্রেসিডেন্ট হতেই হবে। আচ্ছা, এখনো কি সে সময় হয়েছে? আমদের সাকিব-তামিমরা নিরাপদ তো? লংকানদের কথা মনে পড়লে গা শিউরে ওঠে। ।