আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১ লা বৈশাখ উদযাপন যেন বাঙ্গালীয়ানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, অশ্লীল না হয়ে যায়। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য কিন্তু অশ্লীল গান, মূর্তি, নাচ, অদ্ভুত অর্ধ দিগম্বর নয় ।

I never knew how to worship until I knew how to love. ষড়ঋতুর বৈচিত্রময় রূপ রাঙিয়ে তোলে আমাদের সবুজ দেশটাকে একেকটি রূপে, কখনো কাঠ-ফাটা রোদ তো কখনো বরষার কোমল পরশে। এরি মাঝে কোকিলের ডাক আমাদের কাছে ঋতুরাজ বসন্তের বার্তা জানিয়ে দেয়। আমরা বাঙ্গালী, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্য যেন জানান দিয়ে যায় একেকটি ঋতুতে। বৈশাখ তার কালবৈশাখী রূপ নিয়ে আমাদের জানিয়ে দেয় নতুন বছরের আগমনী বার্তা। পরাতন কে বিদায় আর নতুনের আরম্ভ এদিনটিকে বাঙ্গালীরা পালন করে তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী।

যেমন ব্যাবসায়ী রা তাদের পুরাতন হিসাব শেষ করে নতুন হিসেবের খাতা খুলে। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই ঐতিহ্য ও সংষ্কৃতি র মধ্যে লোক দেখানো পাশ্চত্য সংষ্কৃতি ঢুকে পড়েছে। যারা শুধু মাত্র এই ১ দিনের জন্য বাঙ্গালী হয়ে যায় ২০০০-৩০০০ টাকার ইলিশ কিনে, শখ করে পান্তা খেয়ে, তাদের অধিকাংশ বাংলা ১২ মাসের নাম বলতে পারে না। ২০০০-৩০০০ টাকার ইলিশ কিনে, শখ করে পান্তা খেয়ে লোক দেখিয়ে বাঙ্গালী হওয়ার কি দরকার? বৈশাখিতে আপনারা গরম ভাতে পানি দিয়ে পান্তা খাওয়ার কি দরকার? হাজার টাকা খরচ করে ইলিশ মাছ খাওয়ার? আপনারাই বলেন এটা ঐতিহ্য অর্থাত গ্রাম বাংলার মানুষ গরিব ছিল তা-ই পান্তা খাইত। আপনারা ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন!! কিন্তু এটা তো গরিবদের টিটকারী মারা হচ্ছে !!! তাদের আরো অপমান ও অপদস্ত করে হচ্ছে।

যদি পারেন বৈশাখ পালন করবেন গরিবকে গরম ভাত গরম টাটকা তরকারী দিয়ে। তাহ্লেও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কিছুটা হলেও দেখাতে পারবেন। কেননা অতিথি পরায়ণতা গ্রাম বাংলার একটা ঐতিহ্য বটে। তথাপি আবারো বলবঃ ১ লা বৈশাখ উদযাপন যেন বাঙ্গালীয়ানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, অশ্লীল না হয়ে যায়। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য কিন্তু অশ্লীল গান, মূর্তি, নাচ, অদ্ভুত অর্ধ দিগম্বর নয় ।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।