আমি একজন ছাএ রমজান শুরুর আগে দেশজুড়ে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পণ্য সংগ্রহের এ সময়ে গত সপ্তাহে সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছুটা সংকট তৈরি করা হয়েছে। এতে বেশির ভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাড়তি দামে পণ্য কিনলেও এখন বাজারে দাম কমছে। গত সপ্তাহে চড়া দামে চিনি ও ভোজ্যতেল বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা কমতে শুরু করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় ঈদ পর্যন্ত দাম স্থিতিশীল রাখার আশ্বাস দেন ব্যবসায়ীরা। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে ব্যবসায়ীরা আবারও তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তবে গত সপ্তাহে মিলগুলো সরবরাহ সংকটের কথা বলে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ান। এতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজিতে গড়ে ৫ টাকা দাম বেড়েছে। তবে পাইকারিতে ইতিমধ্যে কমেছে। খুচরা পর্যায়ে বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম কমেছে প্রতি লিটারে ২ টাকা। ভোজ্যতেল ও চিনি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আমদানি পণ্যের জাহাজ আসতে দেরি হওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে।
গত সপ্তাহে মিলগুলোতে পণ্যের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, গত সপ্তাহে সরবাহ সংকটে দাম বাড়লেও এখন তা কমেছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে এ পণ্য দুটি তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে দাম বৃদ্ধির সুযোগ নেই। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে রমজানে এ নিত্যপণ্য দুটির দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে জানান তিনি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিঞা জানান, খাদ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চড়া দামে বিক্রির সুযোগ নেই ব্যবসায়ীদের। রমজান উপলক্ষে ইতিমধ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে জরিমানাও করা হয়েছে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে বাড়তি দামে বিক্রির সুযোগ থাকবে না। এর সুফল পড়বে এদেশের অধিকাংশ গরীব, দুঃখী জনগনের উপর।
তারা পবিত্র রমযানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে এটাইতো আমাদের কাম্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।