যুক্তরাজ্যের একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা বারটোল্ড ওয়াইজনারের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তিনি প্রায় ৬০০ সন্তানের পিতা। তবে তাঁর সন্তানসংখ্যা ঠিক ঠিক কত, তা নির্দিষ্ট করা সম্ভবহয়নি। তিনি এই ৬০০ সন্তানেরজনক হয়েছেন তাঁর শুক্রাণু দান করার কারণে। এক খবরে টেলিগ্রাফজানিয়ে ছে, ১৯৪০ সালের পর থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত গোপনে তিনি একাই প্রায় এক হাজার ৫০০ পরিবারেশুক্রাণু দান করেছিলেন।
বারটোল্ড ওয়াইজনার জন্মেছিলেন অস্ট্রিয়ায়।
তিনি ছিলেন একজন জীববিজ্ঞানী। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রায়োগিক পরীক্ষাচালানোয় বিশ্বাসী ছিলেনতিনি। বারটোল্ডও তাঁরস্ত্রী মিলে ১৯৪০ সালে একটিফার্টিলিটি ক্লিনিক চালু করেছিলেন। তিনি১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত শুক্রাণু গবেষণা করেন এবং বিভিন্ন পরিবারকে তাঁর শুক্রাণু দান করেন। গবেষকেরাসাম্প্র তিক ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছেন প্রায় ৬০০ সন্তানের ‘জনক’ বারটোল্ড।
সম্প্রতি গবেষকেরা ডিএনএপরীক্ষা করে দেখেছেন বিভিন্ন পরিবারে বড় হওয়া প্রায় ৬০০ সন্তানের সঙ্গেবারটোল্ডের ডিএনএর মিল রয়েছে। তবে তাঁর কত সন্তান এখনো জীবিত বা ঠিক কতজন সন্তানের জনক তিনি, এ সংখ্যা নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি। কারণ এ-বিষয়ক নথিটি নষ্ট করে ফেলেছেন তাঁর স্ত্রী। উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে মারা গেছেন বারটোল্ড।
চল্লিশের দশকেরপরের সময়টাকে সুপ্রজনন বিদ্যার যুগ বলেই গবেষকেরা মনে করেন।
কারণ এ সময় প্রজননবিদ্যা নিয়ে গবেষকেরা বিভিন্ন গবেষণাকরছিলেন। এ সময় গবেষকেরা ধারণাকরতেন, বিদ্বান বা জ্ঞানী মানুষের জিন ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন, যাতে পৃথিবীতে বিদ্বানের সংখ্যা বাড়ে আর এ কাজে বোকাদের নিরুত্সাহিত করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে শুক্রাণু দানেরবিষয়ে বর্তমানেআইন রয়েছে। এখন একজন সর্বোচ্চ ১০ বার শুক্রাণু দান করতে পারেন সেখানে।
এ ধরনের আরও তথ্য জানতে-
http://cf914504.linkbucks.com ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।