“এপিটাফ” শবদটির সাথে প্রথম পরিচয় হয়েছিল প্রায় একযুগ আগে। খুব সম্ভবত ক্লাস 9 এ পড়ার সময়। জেমস এর একটা এ্যালবাম বের হয়েছিল “ঠিক আছে বন্ধু” নামে। ঐ ক্যাসেটের প্রথম গানটি ছিল
“ যে দিন বন্ধু চলে যাব
চলে যাব বহু দূরে,
ক্ষমা করে দিও আমায়
ক্ষমা করে দিও
মনে রেখ কেবল একজন ছিল
ভালবাসত শুধুই তোমাদের”
সেই গানটার নামই ছিল এপিটাফ। যদিও শব্দটিকে পরিচিত করেছিলাম গানের ছন্দে কিন্তু তার প্রকৃত অর্থ তখনই বুঝতে পারিনি।
দু’বছর পেরিয়ে যায়….ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের হাফ ইয়ারলি দিয়ে হঠাৎ করেই চট্টগ্রাম যাই। আর চট্টগ্রাম ওয়ার সিমিট্রিতেই ঘটে “এপিটাফ”শব্দটির প্রকৃত ব্যাখ্যা। সমাধি ফলকের মাঝেই দেখি আমার প্রিয় গানটির শিরোনাম।
সপ্তাহখানেক আগে বাল্যবন্ধুকে নিয়ে হঠাৎ করেই এক প্রাচীন সিমিট্রিতে যাই। বড় বড় ঘাসের চাঁদরে মাথাতুলে দাড়িয়ে থাকা শ্যেওলা ধরা মলিন সমাধির পাশে বসে বিমর্ষ হয়েছিলাম।
আজ আমি যার সমাধির পাশে বসে আছি,একদিন সেও আমার মত করেই হেঁটে বেড়াত,বুক ভরে শ্বাসনিত এই সবুজ প্রকৃতির কাছ থেকে। সেও হয়তো অন্যকারো সমাধির পাশে এরূপ বসে ছিল,ভেবেছিল আমার মত করেই। আজ দৃ্শ্যপট বদলে গিয়েছে। তার ভূমিকায় আমি,আর সে আজ ঐ এপিটাফ!!!
আচ্ছা আমিওতো একদিন হারিয়ে যাব,আমারোকি এপিটাফ থাকবে?যদি না থাকে তবে চিরন্তন ধারাবাহিকতায় বাঁধা পরবে। আগামী প্রজন্মের কোন বহেমিয়ান তো তাহলে এপিটাফ কি তা জানবেনা! আর না জানলে তো ভবিষ্যতের প্রজন্ম বঞ্চিত হবে আমার আরেকটি প্রিয় গানের আবেগ থেকে…..
“আবেগ হয়েই তাই বেচে থাকবো আমার এপিটাফে” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।